শিরোনাম
জার্মানিতে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা
প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০১৭, ১৭:১৯
জার্মানিতে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

জার্মানিতে নির্বাচনের প্রায় দু'মাস পরে চার দলের 'জামাইকা' জোট সরকার গঠনের লক্ষ্যে প্রাথমিক আলোচনা ব্যর্থ হলো। ফলে সংখ্যালঘু সরকার গঠন অথবা নতুন নির্বাচন ছাড়া কোনো বিকল্প থাকছে না। জার্মানিতে এরকম রাজনৈতিক সংকট অত্যন্ত বিরল ঘটনা।


দেশটিতে সাধারণত নির্বাচনের পর ঐকমত্যের ভিত্তিতে একাধিক দলের জোট সরকার গঠিত হয়। যেসব বিষয়ে মতৈক্য সম্ভব হয় না, সেগুলো সাধারণ কর্মসূচির বাইরেই থেকে যায়।


কিন্তু গত ২৪ সেপ্টেম্বরের নির্বাচনের অস্পষ্ট ফলাফলের কারণে যে চারটি দল মিলে জোট সরকার গঠনের জন্য প্রায় চার সপ্তাহ ধরে আলোচনা চালিয়েছে, তাদের মধ্যে একাধিক বিষয়ে পরস্পরবিরোধী অবস্থান দেখা গেছে। তবে আঙ্গেলা ম্যার্কেলের ইউনিয়ন শিবিরের দুই দল এবং সবুজ দল জানিয়েছে, রবিবার গভীর রাতে সব পক্ষ ঐকমত্য অর্জনের খুব কাছাকাছি চলে এসেছিল। কিন্তু উদারপন্থী এফডিপি দল এককভাবে আলোচনা ছেড়ে বেরিয়ে গেলে ‘জামাইকা' জোট সরকার গঠনের প্রক্রিয়া বানচাল হয়ে যায়।


এই অবস্থায় নানা সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনাকল্পনা চলছে। এসপিডি দল যদি গোঁ ছেড়ে আবার মহাজোট গঠনে সম্মত হয়, তবে স্থিতিশীল সরকার অথবা সংখ্যালঘু সরকার গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে ম্যার্কেলের ইউনিয়ন শিবির হয় এফডিপি কিংবা সবুজ দলের সঙ্গে জোট সরকার গঠন করতে পারে।


তবে এমন সরকার চালু রাখতেও বিরোধী পক্ষের কিছু সমর্থনের প্রয়োজন হবে। আর কোনোভাবেই সরকার গঠন করা সম্ভব না-হলে সংবিধান অনুযায়ী নতুন করে নির্বাচন ডাকতে হবে। সেক্ষেত্রে জার্মান প্রেসিডেন্টকে আগে চ্যান্সেলরের নাম প্রস্তাব করতে হবে। সেই চ্যান্সেলর যদি ম্যার্কেল হন, তাঁকে সংসদে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে হবে অথবা প্রেসিডেন্ট সংসদ ভেঙে নতুন নির্বাচনের ঘোষণা দিতে পারেন। ৬০ দিনের মধ্যে ওই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।


এমন প্রেক্ষাপটে জার্মানিতে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছ। নতুন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দল নিজেদের অবস্থান জানাতে চলেছে। তবে সব চেয়ে বেশি চাপের মুখে পড়েছেন এফডিপি দলের শীর্ষ নেতা ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনার। আলোচনা ভেঙে দেবার ফলে তাঁকে নিজের আচরণের ব্যাখ্যা দিতে হবে।


প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জার্মানিতে বিভিন্ন দলের মধ্যে বর্তমানে যে নেতৃত্বের সংকট চলছে, সেই পরিস্থিতিতে তারা আবার ভোটারদের মুখোমুখি হবার জন্য প্রস্তুত নয়। বাভেরিয়ার সিএসইউ দলের শীর্ষে রদবদলের সম্ভাবনা যথেষ্ট রয়েছে। ম্যার্কেল স্বয়ং নিজের সিডিইউ দলের মধ্যে আগের মতো সমর্থন পাচ্ছেন না। তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিচ্ছে। সবুজ, বাম ও উদারপন্থী শিবিরেও নেতৃত্ব নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে।


এমন জগাখিচুড়ি পরিস্থিতিতে নতুন নির্বাচন ঘোষণা করলেই কি ভোটাররা মাত্র দুই মাসের মধ্যে তাঁদের মত বদলে অন্যভাবে ভোট দেবেন? তাঁদের মধ্যে কি আদৌ ভোট দেবার আগ্রহ থাকবে? মনে করা হচ্ছে, নির্বাচনে মূল স্রোতের রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থকরা হতাশ হয়ে ভোট নাও দিতে পারেন এবং এএফডি-র মতো উগ্রপন্থি দলের সমর্থকরা নিজেদের শক্তি বাড়াতে প্রবল উৎসাহে মাঠে নামতে পারে। সূত্র : ডিডাব্লিউ


বিবার্তা/হুমায়ুন/কাফী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com