রোহিঙ্গাদের নাগরিক হিসেবে গণ্য করে না মিয়ানমার। সেনাবাহিনীর নিপীড়ন থেকে বাঁচতে গত আগস্ট থেকে প্রায় চার লাখ ত্রিশ হাজার রোহিঙ্গা রাখাইন থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বিশ্বজুড়ে যে ধরনের উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে, মিয়ানমারের ভেতরকার মনোভাব তার পুরোপুরি বিপরীত।
এবার রোহিঙ্গাবিরোধী কার্টুন বা ব্যঙ্গচিত্র আঁকছে মিয়ানমারের কার্টুনিস্টরা। সেগুলো দ্রুত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। রোহিঙ্গাবিরোধী সেসব পোস্টে ‘লাইক’, ‘কমেন্ট’ পড়ছে এবং শেয়ার হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমারের সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে যেসব কার্টুনিস্ট জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন, তারা এখন রোহিঙ্গাদের লক্ষ্য করে নানা ধরনের বিদ্রুপাত্মক কার্টুন আঁকছে। এর মধ্যে যে কার্টুনটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক প্রচার হয়েছে সেটির শিরোনাম হচ্ছে, ‘কুমিরের কান্না’।
কার্টুনটিতে দেখা যায়, আহত কিছু প্রাণিদের মধ্যে একদল কুমিরছানা সাঁতার কেটে পশ্চিমা ক্যামেরাপারসনের কাছে গেছে। সেখানে গিয়ে মাইক্রোফোনের সামনে একটি কুমির বলছে, ‘আমি মাতৃভূমি ছাড়তে বাধ্য হয়েছি।’
বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি এ কার্টুনটিতে স্পষ্টত ইঙ্গিত করা হচ্ছে।
মিয়ানমারের একজন প্রখ্যাত কার্টুনিস্ট ইউ নাইং বলেন, রোহিঙ্গারা যা বলছে, তা সত্য নয়। ৫৮ বছর বয়সী এ কার্টুনিস্ট আরো বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি তার কাজের মাধ্যমে শুধু চিন্তার খোরাক জুগিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা দেশপ্রেমে চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে কার্টুন আঁকি।’
মিয়ানমারের সামরিক শাসকরা কয়েক দশক ধরে সে দেশের জনসাধারণকে প্রযুক্তি, বিতর্ক এবং মতামত থেকে দূরে রেখেছিল। দেশটির জনগণ কোনো বিষয় নিয়ে তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারতো না।
কিন্তু কয়েকবছর আগে মিয়ানমার কিছুটা উন্মুক্ত হওয়ার পর সেখানকার মানুষ ফেসবুক ও টুইটার নিয়ে মেতে উঠেছে। এখন রোহিঙ্গাবিরোধী নানা ধরনের কার্টুন এবং মতামত সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে।
বিবার্তা/নিশি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]