শিরোনাম
প্লাস্টিকের তৈরি গ্রহে পরিণত হচ্ছে পৃথিবী
প্রকাশ : ২০ জুলাই ২০১৭, ০৯:৫৬
প্লাস্টিকের তৈরি গ্রহে পরিণত হচ্ছে পৃথিবী
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

কোনো সন্দেহ নেই যে, প্লাস্টিক একটি অতি আশ্চর্য উপাদান। স্থায়িত্ব এবং উপযোগিতার কারণেই ইস্পাত, সিমেন্ট এবং ইট ছাড়া মানুষের তৈরি আর সব কিছু থেকে এই জিনিসটির উৎপাদন হার বেশি। আর সেই সংখ্যাটি হলো ৮.৩ বিলিয়ন টন! যা কিনা নিউইয়র্কের ২৫ হাজার এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ের সমান। কিংবা ১০০ কোটি হাতির ওজনের সমপরিমাণ।

 

এই বিশাল পরিমাণ উৎপাদিত প্লাস্টিকের প্রায় ৭৯ শতাংশই ছড়িয়ে পড়েছে খোলা প্রকৃতিতে। প্লাস্টিক বর্জ্যে দিনে দিনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশ।

 

ড. রোল্যান্ড গেয়ার নামের এক বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘শিগগিরই এই পৃথিবী পরিণত হবে একটি প্লাস্টিকের তৈরি গ্রহে। আর যদি আমরা এমনটা না চাই, তাহলে বিশেষ করে প্লাস্টিকের তৈরি জিনিস ব্যবহারে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

 

সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার একদল ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোলজিস্ট প্লাস্টিকের উৎপাদন এবং ব্যবহার ও দূষণ সম্পর্কে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন। তাতে দেখা যায়, এই বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক পণ্যের অন্তত অর্ধেক উৎপাদন হয়েছে গত ১৩ বছরে।

 

বাতিল প্লাস্টিকের পুনর্ব্যবহার হয়েছে শতকরা মাত্র ৯ ভাগ। ১২ শতাংশকে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। আর বাকিটা ছড়িয়ে পড়েছে প্রকৃতিতে। আশংকাজনক হারে ছড়িয়েছে সাগর-মহাসাগরে। গবেষণায় যায়, ২০১৪ সালে রিসাইক্লিং বা পুনর্ব্যবহারযোগ্য হার ইউরোপে ছিল শতকরা ৩০ভাগ। সবচেয়ে কম রিসাইক্লিং হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে, মাত্র ৯ শতাংশ। আর এই অধিকহারে উৎপাদন শুরু হয় ১৯৫০ এর সময় থেকে।

 

যেহেতু প্লাস্টিক পণ্য পচনশীল নয়, তাই বিশেষজ্ঞদের মতে, এটিকে তাপ প্রয়োগ করে নিঃশেষ করে দেয়া দরকার। কিন্তু তারচেয়েও বেশি জরুরি প্লাস্টিকের সঠিক প্রয়োজন নিরুপণ করে তারপর এর উৎপাদনে যাওয়া। সেজন্য দরকার একটি সমন্বিত আলোচনা।

 

যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীদের হিসাব অনুযায়ী, ২০৫০ সাল দিকে উৎপাদিত প্লাস্টিকের পরিমাণ দাঁড়াবে ১২ বিলিয়ন টন। সূত্র: বিবিসি

 

বিবার্তা/নিশি

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com