কাতারের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সাইবার হামলার সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাত জড়িত ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে রবিবার মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট এ খবর জানায়। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মে মাসের শেষের দিকে সাইবার হামলার মাধ্যমে ইরান, ইসরাইল এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন স্পর্শকাতর বিষয়ে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানির নামে বক্তব্য প্রকাশ করা হয়। ওই পোস্টে গাজা উপত্যকায় ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের প্রশংসা এবং ইরানকে একটি ‘ইসলামী শক্তি’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই সন্ত্রাসবাদে মদদ দেয়ার অভিযোগ এনে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি নেতৃত্বাধীন চার আরব দেশ। কাতারের সংবাদমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতে, বাহরাইন ও মিসর। অবশ্য, কাতার তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

এ প্রসঙ্গে ওয়াশিংটন পোস্টের খবরে বলা হয়, নতুন করে তথ্যপ্রমাণ বিশ্লেষণের ভিত্তিতে কাতারে চালানো ওই সাইবার হামলার সঙ্গে আমিরাতের জড়িত থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। গত সপ্তাহে এ বিষয়ে তারা নিশ্চিত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দৈনিকটি।

অবশ্য, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ আল-ওতিবা এ অভিযোগ নাকচ করেছেন। এক বিবৃতিতে একে ‘মিথ্যা’ বলেও দাবি করেন তিনি। সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট ও আল-জাজিরা

বিবার্তা/নিশি