ফেসবুকে এক তরুণীর সঙ্গে বছরখানেকের পরিচয় হাসানুজ চৌধুরীর। নিয়মিত কথাবার্তায় মন দেয়া-নেয়াও হয়ে গিয়েছিল দুজনের। কিন্তু হঠাৎই দূরত্ব বাড়াতে শুরু করলো তরুণী।

প্রেমিকার এই হঠাৎ দূরত্ব মেনে নিতে পারলেননা ৩০ বছর বয়সী হাসানুজ। কেননা ততদিনে ঐ তরুণীর প্রতি দুর্বলতার সীমা অতিক্রম করে গেছে তার। দূরত্বে থাকার কারণ জানতে চলে গেলেন প্রেমিকার বাড়িতে। ভুয়া পরিচয়ে দেখাও করতে চাইলেন মনের মানুষটার সঙ্গে। হলোনা দেখা। সে যে বাড়িতে নেই। কি আর করা? পরেরদিন আবারো প্রেমিকার কাছে ছুটে গেলেন বিএড শিক্ষার্থী হাসানুজ। এবার আর নিরাশ হতে হলো না তাকে।

মনের মানুষটাকে দেখতে পেলেন বাড়ির আঙ্গিনাতেই। কিন্তু তরুণীর মনে কি চলছে কে জানে? হাসানুজকে দেখেই চলে গেলো বাড়ির ভিতরে। ঠাস করে লাগিয়ে দিলো দরজা। সহ্য হলো না হাসানুজের। নিজের বন্দুক দিয়েই গুলি চালালেন নিজের মাথায়। ব্যাস ভবলীলা সাঙ্গ হলো তার। প্রেমিকার বাড়ির কূয়ার ধারে পড়ে রইলো গোলাপী শার্ট আর কালো প্যান্ট পরা নিথর দেহটি। ডান হাতের মুঠোয় তখনো ভাজ করে ধরা রয়েছে একটি রুমাল। ফেসবুকে প্রেমের পরিণতি যে এমন মর্মান্তিক হবে, তা কেই বা জানত!

রবিবার ভারতের মেদিনীপুর শহরের বরিশাল কলোনির ২ নম্বর ওয়ার্ডে ঘটনাটি ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আত্মঘাতী হাসানুজ ভারতের বোলপুরের বাসিন্দা। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, ফেসবুকে প্রেমের পরিণতিতেই এই ঘটনা ঘটেছে। হাসানুজের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বিবার্তা/তৌহিদ/সোহান