এখানে মা-দূর্গা উবু হয়ে পড়ে আছে - দুই চোখে অশ্রু তার;
যেনো সন্তানের ম্লানমুখে তাঁকাবে না আর!
কালীমা’র দুই চোখে অভিমান, ফিরিয়ে রেখেছে মুখ-
যেনো শক্তির খড়গ হাতে তাড়াবে না তষ্করের তাণ্ডব!
লক্ষ্ণীর আসনে বসে গেছে নিশাচর পেঁচা-
যেনো শস্যদানা গাভি কবুতর ফলিবে না গাঁয়ে
ঘর-বাড়ি মাথা তুলে দাঁড়াবে না নিজ নিজ পায়ে!
ছিন্নভিন্ন হয়ে স্বরস্বতী গেছে নিরুদ্দেশে
যেনো বিদ্যার বিভায় আর জাগিবে না মানবিক বোধ!
এ যে একাত্তরের গ্রাম!
একাত্তরে, সেই বিসর্জনে-
জীবন দিলাম, সম্ভ্রম দিলাম,
পুত্র ও কন্যা দিলাম
ঘর-বাড়ি মন্দির দিলাম!
এসব আবার তবে কেনো চাই?
আবার তাণ্ডব কেনো?
কেনো সে-ই হায়েনার বর্বরতা?
আমার পিতার রক্তে কেনা
আমার পুত্রের রক্তে কেনা
আমার কন্যার সম্ভ্রমে কেনা
আমার বোনের সম্ভ্রমে কেনা
মায়ের অশ্রুতে কেনা
এ কোন্ মাতৃভূমি?
আমি কি আমার ধর্ম ভুলে যাই?-
‘সবার উপরে মানুষ সত্য
তাহার উপরে নাই’।
বিবার্তা/মৌসুমী
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]