কর্ণফুলীতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে নেই কার্যকর পদক্ষেপ!
প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০২৩, ২০:৫৪
কর্ণফুলীতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে নেই কার্যকর পদক্ষেপ!
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

চট্টগ্রাম কর্ণফুলী উপজেলায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেই। দিন দিন রোগী বাড়ছে। জেলা সিভিল সার্জন অফিস বলছেন, শতাধিক রোগী কর্ণফুলীতে কিন্তু উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার দাবি ৩০ জন মাত্র। তবে পাঁচ ইউনিয়নে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখা। কিন্তুু ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেই কারো। এই উপজেলায় সংক্রমণ ঠেকাতে প্রচারণা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা এখনও লক্ষ্য করা যায়নি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও সতর্কতামূলক প্রচারণার পদক্ষেপ নিচ্ছে না।


জানা যায়, উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স না থাকলেও অস্থায়ী কার্যালয় ও চিকিৎসক রয়েছেন। কিন্তু উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমন কোন পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। পাশাপাশি সামাজিক সংগঠন ও রাজনৈতিক দলগুলোর স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যদের কোন কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে না ডেঙ্গু প্রতিরোধে। উপজেলার অস্থায়ী কার্যালয় স্বাস্থ্য বিভাগে ডেঙ্গু রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে কিনা তাও প্রচার নেই। অনেকটা ঘুমিয়ে রয়েছে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারাও। ফলে কর্ণফুলীতেও এডিস মশার প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে।


বাড়ছে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এ জ্বরের লক্ষণ সবার ক্ষেত্রে সমান না হওয়ায় সতর্কতাবশত চিকিৎসকরা রোগীদের ডেঙ্গু পরীক্ষার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এ কারণেও ডেঙ্গু পরীক্ষার চাপ বাড়লেও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স না থাকায় ডেঙ্গু পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে।


উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স না থাকা উপজেলার বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা। চলে যাচ্ছেন চট্টগ্রাম নগরীতেও। তবে বেসরকারি ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোতে খবর নিয়ে জানা যায় প্রায় ৩০ জন ডেঙ্গু রোগী আক্রান্ত হয়ে পরীক্ষা করেছেন। অথচ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু পরীক্ষা বন্ধ থাকায় রোগীরা ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য স্থানীয় বেসরকারি ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ছুটছেন। আর সেই সুযোগে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তদের পরীক্ষা করিয়ে অধিক টাকা নিচ্ছেন তারা।


উপজেলাবাসীর অভিযোগ, স্বাস্থ্য বিভাগ, উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদগুলোর পক্ষ থেকে কোনও ধরনের প্রচারণা চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি এখনো। মশক নিধনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।


এ বিষয়ে কর্ণফুলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এস এম নওশেদ মোর্শেদ বলেন, ‘আমার কাছে থাকা তথ্যমতে গত ২৪ ঘন্টার আপডেট হলো-কিউর পয়েন্ট ডায়াগনস্টিক এন্ড রিসার্চ সেন্টারে ২৫ জন, যার মধ্যে তিন জন Immunoglobulin M (IgM), সাউথ চট্টগ্রাম হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিকে ২ জন, কর্ণফুলী হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টারে ৩ জন রোগীসহ মোট ৩০ জন রোগীর কথা জানা গেছে।


তিনি আরও বলেন, ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর পক্ষ থেকে বিভিন্ন এলাকা, স্কুল, মাদ্রাসাসহ প্রতিটি ইউনিয়নে জনবল দ্বারা সচেতনতামূলক প্রতিদিনই প্রোগ্রাম চলতেছে। তবে ঔষধ ছিটানো তাঁদের আওতায় না, সেটা স্থানীয় প্রতিনিধিদের কাজ।’


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিকিৎসকদের পরামর্শ, ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু হোক আর হেমোরেজিক হোক, এই সময় জ্বর হলেই পরীক্ষা করিয়ে ওষুধ নেওয়া উচিত। ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আবারও ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে রোগীর অবস্থা বেশি ঝুঁকিতে পড়তে পারে।


বিবার্তা/জাহেদ/এমজে

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com