নাটোরের গুরুদাসপুরে রেজো (৩৮) নামের এক যুবকের বাড়িতে স্ত্রীর অধিকার পেতে লতা বেগম নামের এক নারী অবস্থান নিয়েছেন।
১১ সেপ্টেম্বর, সোমবার দুপুরের ওই ঘটনায় রেজো ও তার স্ত্রী তাঁকে পিটিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
রেজো উপজেলার খুবজীপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর দিয়ারপাড়া গ্রামের এবাদ আলী প্রামাণিকের ছেলে। আর ভুক্তভোগী লতা খাতুন একই ইউনিয়নের বিলশা গ্রামের আইয়ুব আলী প্রামাণিকের মেয়ে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
লতা (২২) জানান, সাত বছর আগে পারিবারিকভাবে আনন্দনগর গ্রামে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পাঁচ বছর পর মোবাইল ফোনে রোজোর সাথে পরিচয় হয়। একসময় রেজোর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। লতার প্রথম পক্ষের একটি ছেলে সন্তান থাকলেও রেজোর বিয়ের প্রলোভনে স্বামীর সাথে বিচ্ছেদ হয় তার। বিচ্ছেদের পর থেকে রেজো স্বামী-স্ত্রীর মতো শারীরিক সম্পর্ক করলেও স্ত্রীর অধিকার দিচ্ছে না।
লতা আরও জানান, রেজো ঢাকায় একটি পোষাক কারখানায় তাকে শ্রমিকের চাকরি পাইয়ে দিয়ে দুই বছর ধরে তিনি বেতনও হাতিয়ে নিয়েছেন।
রেজো অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাকে মানবিক কারণে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন। মাঝে মধ্যে মুঠোফোনে কথা ছাড়া তার সাথে কোনো সম্পর্ক নেই।
রেজোর বন্ধু রিপন মণ্ডল জানান, লতা ও রেজোর মাঝে মধ্যে কথাবার্তা বলতে শুনেছি। বিয়ের বিষয়টি তার জানা নেই।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএন) শ্রাবণী রায় বলেন, লতা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকসানা আক্তার বলেন, ভুক্তভোগী লতাকে উদ্ধার করে আইনি সহায়তার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বিবার্তা/জনি/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]