মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে স্থানীয় বাসিন্দাদের সংঘর্ষে চার সেনা এবং এক সন্দেহভাজন হামলাকারী নিহত হয়েছে। এছাড়া ওই এলাকায় আরো সাতটি মৃতদেহ পাওয়া গেছে। তবে মৃতদেহগুলোর পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি। সব মিলিয়ে মঙ্গলবারের সংঘাতে ১২জন নিহত হয়েছে।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, প্রায় ৩০০ মানুষ পিস্তল এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে সৈন্যদের উপর হামলা চালায়।
বাংলাদেশ-বার্মা সীমান্তে রাখাইন প্রদেশে গত কয়েকদিন ধরে সংঘাত চলছে। এর আগে গত রবিবার এক হামলায় ৯ পুলিশ সদস্য নিহত হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর সমন্বিত হামলাগুলোর জন্য সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের দায়ী করছে দেশটির সরকার।
অবশ্য সাংবাদিকরা জানান, এসব হামলার জন্য কারা দায়ী সেটি তাদের কাছে পরিষ্কার নয়। কারণ সাংবাদিকদের ওই এলাকায় প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।
তবে হামলাগুলোর পেছনে যদি সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের ভূমিকা থাকে, সেটি রাখাইন রাজ্যের চলমান অস্থিরতাকে ভিন্ন একটি রূপ দেবে। কারণ ২০১২ সালে রাখাইন রাজ্যে সাম্প্রদায়িক ও জাতিগত সহিংসতায় শতাধিক মানুষ নিহত এবং হাজার হাজার রোহিঙ্গাকে বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিতে বাধ্য করা হয়।
রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা মুসলমানদের মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে স্বীকার করে না সে দেশের সরকার। দেশটির সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধরা মনে করে রোহিঙ্গা মুসলমানরা বাংলাদেশ থেকে সেখানে গেছে।
এদিকে জাতিসংঘ মিয়ানমারে এমন সংঘাতের ঘটনায় ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করে সকল পক্ষকে শান্ত থাকার আহবান জানিয়েছে।
বিবার্তা/নিশি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]