যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে কম মজুরিপ্রাপ্ত শ্রমিকদের জন্য আগামী বছরটি সত্যিই সুখের হবে। কারণ ২০১৭ সাল থেকে নিউ ইয়র্ক ও ক্যালিফোর্নিয়াসহ ১৯টি অঙ্গরাজ্য সর্বনিম্ন মজুরি বাড়িয়েছে।
দেশটির ম্যাসাচুসেটস এবং ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্য প্রথম শ্রমিকদের জন্য সর্বোচ্চ সর্বনিম্ন মজুরি নির্ধারণ করেছে। এই দুই অঙ্গরাজ্যে প্রতিঘণ্টায় শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ ডলার বা ৮৬১.৬৩ টাকা। ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রতি ঘন্টার সর্বনিম্ন মজুরি হবে ১০ ডলার বা ৭৮৩.৩০ টাকা।
আর নিউ ইয়র্কের মূল শহর নিউ ইয়র্ক সিটিতে প্রতিঘণ্টার সর্বনিম্ন মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ ডলার, ডাউনস্টেট উপশহর এলাকায় ১০ ডলার এর বাইরে অন্যান্য এলাকায় ৯.৭০ ডলার বা ৭৫৯.৮০ টাকা।
নিউ ইয়র্ক সিটির ফাস্টফুড শ্রমিক অ্যালভিন মেজর বলেন, ‘এই ১.৫০ ডলারের মজুরি বৃদ্ধি যে আমাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল তা আমি বরে বুঝাতে পারব না।’ চার সন্তানের জনক এই ৫১ বছর বয়সী বাবা তার রাজ্যে মজুরি বৃদ্ধির লড়াইয়ের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘খাদ্যের দাম বেড়েছে। বাড়ি ভাড়া বেড়েছে। সবকিছুই বেড়েছে। ফলে এই মজুরি বৃদ্ধির ফলে লোকে কিছুটা হাফ ছেড়ে বাঁচবেন।’
আরো যেসব রাজ্যে সর্বনিম্ন মজুরি বাড়ানো হয়েছে সেগুলো হলো, অ্যারিজোনা, ম্যাইনে, কলোরাডো, অলাস্কা, ফ্লোরিডা, মিসৌরি, মন্টানা, নিউ জার্সি, ওহিও এবং সাইথ ডাকোটা, আরকানসাস, কানেকটিকাট, হাওয়াই, মিশিগান এবং ভারমন্ট।
শ্রমিক এবং শ্রমিক নেতারা বলেছেন, মজুরি বৃদ্ধির ফলে এখন কোনো মতে জীবন-যাত্রার ব্যয় নির্বাহকারী শ্রমিকরা ব্যাপকভাবে উপকৃত হবেন এবং ভোক্তারাও আরো বেশি অর্থ ব্যয় করতে পারবেন। যার ফলে অর্থনীতি গতিপ্রাপ্ত হবে। কিন্তু অনেক ব্যবসায় মালিকের মতে, এর ফলে পণ্যদ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পাবে এবং মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিবে।
ওরেগন, নিউ ইয়র্ক, ক্যালিফোর্নিয়াসহ আরো বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে ঘণ্টাপ্রতি সর্বনিম্ন মজুরি পর্যায়ক্রমে আরো বাড়িয়ে ১২ বা ১৫ ডলার করা হবে। চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে সান দিয়েগো, সান জোসে এবং সিয়াটলসহ আরো ২২টি অঙ্গরাজ্যেও সর্বনিম্ন মজুরি বাড়ানো হবে।
উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সর্বনিম্ন মজুরি বাড়ানো হয় সর্বশেষ ২০০৯ সালে, ৭.২৫ ডলার বা ৫৬৭.৮৯ টাকা। সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার।
বিবার্তা/জিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]