ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে অন্তত ৪৪ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। সোমবার মধ্যরাতে বারামুল্লা এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। এরা সকলেই জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি পুলিশের।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিটি বাড়িতে ঢুকে তল্লাশির সময় দেখা হচ্ছিল কারো গায়ে ছররার আঘাত আছে কি না। দেহে ছররার আঘাত থাকার অর্থই হলো ওই ব্যক্তি সম্প্রতি বিক্ষোভ করেছিল। তাই সন্দেহভাজন অশান্তি সৃষ্টিকারীদের সঙ্গেই পেলেট বা ছররার আঘাত থাকা যুবকদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বরামুল্লার এসএইচওকে হুমকি দিয়েছেন পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবা।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মণিশ কুমার জানান, সোমবার উত্তর কাশ্মীরের ১০টি এলাকায় ৭০০টি বাড়িতে অভিযান চালায় সেনা, বিএসএফ, সিআরপিএফ ও পুলিশ। এসময় সেখান থেকে পেট্রোল বোমা, চীনের ও পাকিস্তানের পতাকা, লস্কর-এ-তৈয়বা (এএলইটি) ও জায়েশ-ই-মুহম্মদের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলোর প্রচার পুস্তিকা, বেআইনি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার মধ্যরাত ১টার সময় গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে নিরাপত্তারক্ষীরা। স্থানীয়দের বাড়ির ভেতরে থাকতে বলা হয়। এরপর বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ। গত এক দশকে এই প্রথম এরকম অভিযান চালানো হয়েছে বরামুল্লায়।
পুলিশ জানায়, কাজ়ি হামাম, গানাই হামাম, তাওইড গুঞ্জ ও জামিয়া এলাকা যেখানে জঙ্গিরা সাধারণত গা ঢাকা দিয়ে থাকে এসব এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়। তাদের কাছে আগেই খবর ছিল, ওই এলাকায় বেশ কয়েকজন জঙ্গি লুকিয়ে আছে। সেই খবরের ভিত্তিতেই তারা অভিযান চালায়।
উল্লেখ্য, গত জুলাইয়ের শুরুতে হিজবুল মুজাহিদিন গোষ্ঠীর কমান্ডার বুরহান ওয়ানি নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলির আঘাতে মারা যাওয়ার পর গত ১০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে ভারত শাসিত কাশ্মীরে অশান্তি চলছে। এসময় কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনী ব্যাপকহারে ছররা ব্যবহার করেছে বিক্ষোভকারীদের দিকে।
এখনও পর্যন্ত ৮০ জনেরও বেশি মানুষ ছররার আঘাতে মারা গেছেন, আহত হয়েছেন বহু বিক্ষোভকারী। অনেকের চোখও নষ্ট হয়ে গেছে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
বিবার্তা/নিশি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]