বর্তমানে কানাডাপ্রবাসী চলচ্চিত্র, নাটক ও থিয়েটারের জীবন্ত কিংবদন্তী অভিনেতা আরিফুল হক মূলধারা জনপ্রিয় অনলাইন পত্রিকা বিবার্তা২৪ডটনেটে এসেছেন। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে এই খ্যাতিমান অভিনেতা যখন বিবার্তা কার্যালয়ে আসেন তখন ফুল দিয়ে তাকে স্বাগত জানান বিবার্তা সম্পাদক বাণী ইয়াসমিন হাসি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চিত্রপরিচালক মতিন চৌধুরী, শিল্পী আঞ্জুমান আরা বকুল, বিবার্তার বার্তা সম্পাদক হুমায়ুন সাদেক চৌধুরী, চিফ রিপোর্টার মৌসুমী ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অভি মঈনুদ্দীন।

অত্যন্ত প্রাণবন্ত পরিবেশে আরিফুল হক বিবার্তা পরিবারের সদস্যদের সাথে তার বর্ণিল জীবনের নানা দিক নিয়ে কথা বলেন। এ সময় বিবার্তা সম্পাদক তার ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে সফররত এই অভিনেতাকে জানান।

এক যুগেরও বেশি সময় ধরে স্থায়ীভাবে কানাডাতে বসবাস করছেন তিনি। তবে গত ১৫ নভেম্বর মাত্র ১৭দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন এই বিশিষ্ট অভিনেতা।

একটা সময় এ দেশের মঞ্চ নাটক, টিভি, চলচ্চিত্রে নিজেকে উজাড় করে দিয়ে অভিনয় করেছিলেন কিংবদন্তী এই অভিনেতা। তিনি একসময় চাকরি ছেড়েই নিজেকে পেশাজীবী অভিনেতা হিসেবে গড়ে তোলেন। তবে জীবনের প্রয়োজনে তিনি ২০০০ সালে সপরিবারে কানাডায় স্থায়ী হন। এরপর ২০১২ সালে দেশে এসে হানিফ সংকেতের নির্দেশনায় ‘পাঁচফোড়ন’-এ অভিনয় করেছিলেন।

সঙ্গীতশিল্পী হিসেবেই নিজেকে মেলে ধরতে চেয়েছিলেন আরিফুল হক। তাই সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কলকাতার দক্ষিণী সঙ্গীত বিদ্যালয় থেকে রবীন্দ্র সঙ্গীতের উপর চার বছরের ডিপ্লোমা কোর্সও সম্পন্ন করেন তিনি। ১৯৬৪ সালে ঢাকায় চলে আসেন। এখানে এসেও স্বপ্ন ছিলো নিজেকে সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার। কিন্তু অডিশন দেয়ার পর নানান জটিলতার কারণে তা আর হয়ে ওঠেনি। এক সময় টেলিভিশনে অভিনয়ের তার সুযোগ আসে। আতিকুল হক চৌধুরীর নির্দেশনায় একুশে ফেব্রুয়ারির একটি নাটকে অভিনয়ের পর দর্শকের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পান তিনি। আর গানে ফেরা সম্ভব হয়নি তার।

উত্তম কুমারের সাথে ‘উত্তরায়ণ’ সিনেমাতেও অভিনয় করেছিলেন এই শক্তিমান আরিফুল হক। এটি নির্মাণ করেছিলেন বিভূতি লাহা। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবি হচ্ছে ‘লালন ফকির’, ‘সারেং বউ’, ‘বড় বাড়ির মেয়ে’, ‘সূর্যকন্যা’, ‘সুন্দরী’, ‘সখি তুমি কার’, ‘কথা দিলাম’, ‘নতুন বউ’, ‘এখনই সময়’, ‘পিতা মাতা সন্তান’, ‘তোমাকে চাই’ ‘দেশপ্রেমিক’, ‘ঘৃণা’, ‘স্বপ্নের নায়ক’ ইত্যাদি।’

বিবার্তা/যুথি/জিয়া