
গত কয়েকদিন থেকে কুড়িগ্রামের তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠানামা করলেও বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৬ টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র।
শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের জনজীবন। দিন ও রাতে হিমেল বাতাসে শীতের তীব্রতা বেশী অনুভূত হচ্ছে। বিশেষ করে নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের মানুষ জন রয়েছে শীত কষ্টে।
বিকাল থেকে পরের দিন সকাল পর্যন্ত শীতের তীব্রতা থাকে প্রচন্ড। দিনের বেলা সুর্যের আলোয় চারদিকে আলোকিত হলেও তেমন উওাপ থাকে না।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানা মাস্টারের হাট এলাকার নুর মোহাম্মদ বলেন শীতের কারণে কাজে যেতে দেরি হয়।ঠান্ডায় কাজ করতে মন চায়, কাজ না করলে পেটে ভাত যায় না।
নাগেশ্বরী উপজেলার নুনখাওয়া ইউনিয়নের শহিদুল ইসলাম বলেন এবছর ঠান্ডায় মোর ছাওয়া পোয়া নিয়ে খুবই কষ্টে আছি।এলাও কাইয়ো মোক কম্বল দিল না।
একই এলাকার খাইরুল বলেন ঠান্ডায় কাজ করলে হাঁত পা জ্বালাপোড়া করে। এদিকে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষাথীদের শীতের ঠান্ডায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেতে গড়িমসি করছে।
অনেক দিকে শীতের তীব্রতা থেকে রেহাই পায়নি গৃহপালিত পশু ও পাখি। এদিকে হাসপাতালগুলোতে রয়েছে শীতজনিত রোগীর প্রচন্ড ভিড়।
কুড়িগ্রাম সদর জেনারেল হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডা: স্বপন কুমার বিশ্বাস জানান শীতের কারণে শীতজনিত রোগীরা জেলা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলা হাসপাতালে রোগীরা আউটডোরে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করছে।
এবিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক অন্নপূর্ণা দেবনাথ বলেন শীতবস্ত্রের তালিকা সম্পন্ন হয়েছে অতি শীঘ্রই শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হবে।
বিবার্তা/বিপ্লব/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]