
নীলফামারীর ডিমলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী চক্রের বিরুদ্ধে। বিদ্যালয়ের সম্পত্তি উদ্ধারে থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের কালিগঞ্জ শ্রীমন্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে রেকর্ডভুক্ত প্রায় ৩ একর ১৭ শতাংশ জমি। গত রবিবার (১ ডিসেম্বর) ওই এলাকার আব্দুস ছালাম, আশরাফুল ও সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল লোক লাঠি ও অস্ত্র নিয়ে পেশি শক্তির জোরে বিদ্যালয়ের জমিতে লাগানো পাকা আমন ধান কেটে নিয়ে যায়। পরেদিন ওই জমিতে হাল চাষ করে জবরদখল করে তা নিজেদের দখলে নেন।
নীলফামারীর জেলা প্রশাসক কার্যালয় আরএম শাখার স্বারক নম্বর ০৫.৪৭.৭৩০০. ০১৯.০১.০০২.২৫.১৮৯৯ তারিখ ১২/১১/২০২৫ সুত্রে জানা যায়, বিজ্ঞ সহকারি জজ আদালত ডিমলা, নীলফামারীর অন্য-৭১/২০১৩ নম্বর মোকাদ্দমা সরকার পক্ষে গত ২৭/০৮/২০২০ তারিখে বিদ্যালয়ের নামে জমির মাকিকানার রায় প্রদান করে ২০/০৯/২০২০ তারিখে ডিগ্রি হয়। বিবাদীগন আদালতে আপিল করেন যার নম্বর অন্য আপিল ৩৬/২০২০ নম্বর মোকাদ্দমাটি গত ২১/০৫/২০২৫ তারিখে না মঞ্জুর করে খারিজ করে বিদ্যালয়ের নামে জমির মালিকানা বহাল রাখে আদালত। বিবাদিগনের পক্ষে আমিনুর ইসলাম বাদি হয়ে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ, ঢাকা সিবিল রিবিশন নম্বর -৩৫২১/২০২৫ মোকাদ্দমা দায়ের করেন। সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে গত ২৬/০৮/২০২৫ ইং তারিখে আবেদনকারির আবেদন গ্রহন করে হাইকোর্ট বিভাগের বিধিমালা অধ্যায় ৮ এ এর বিধি ৩(৬) এর অধিনে শুনানির অপেক্ষায় পক্ষ গুলোকে মামলার জমির দখল ও অবস্থানের ক্ষেত্রে তিন মাসের জন্য স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ প্রদান করেন।বিষয়টি নিয়ে সহকারি কমিশনার (ভুমি) রওশন কবির উভয় পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করে আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে বিদ্যালয়ের জমি জবর দখল না করার নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু চক্রটি বিষয়টি আমলে না নিয়ে বিদ্যালয়ের লিজকৃত সম্পত্তির আমন ধান পুনরায় লোকজন দিয়ে কেটে নেয়।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল করিম জানান,বিদ্যালয়ের জমি উদ্ধারে ১০ জনকে অভিযুক্ত করে ডিমলা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। আশা করি সরকারি সম্পত্তি রক্ষায় প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।
ডিমলা থানার ওসি (চলতি দায়িত্ব) পরিতোষ চন্দ্র বর্ম বলেন, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ ব্যাপারে ডিমলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) রওশন কবির বলেন, আদালতে নির্দেশ অমান্য করে কেউ প্রভাব বিস্তার বা পেশিশক্তি ব্যবহার করলে বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হবে।
ডিমলা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বীরেন্দ্র নাথ রায় বলেন, বিদ্যালয়ের জমি জবর দখলের বিষয়টি তিনি প্রধান শিক্ষকের কাছে শুনেছেন বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরানুজ্জামান বলেন, শ্রীমন্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি জবর দখলের বিষয়টি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমাকে অবহিত করেছেন। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর। আইনের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে বিদ্যালয়ের জমি অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে উদ্ধার করা হবে।
বিবার্তা/সুজন/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]