
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঘোষিত রায় পুরোপুরি সাজানো, ভিত্তিহীন এবং প্রহসনমূলক বলে বিবৃতি দিয়েছে স্বাধীনতার স্বপক্ষের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন গৌরব ‘৭১। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এফ এম শাহীন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আজ ঘোষিত রায় আমাদের কাছে পুরোপুরি সাজানো, ভিত্তিহীন এবং প্রহসনমূলক বলে প্রতীয়মান। এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার নগ্ন রূপ, যার সঙ্গে ন্যায়বিচারের ন্যূনতম সম্পর্কও নেই। আমরা দৃঢ়ভাবে এবং সর্বসম্মতভাবে এই অপতৎপরতাপূর্ণ ও অন্যায় রায় প্রত্যাখ্যান করছি।
এতে বলা হয়, আমরা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিতে চাই—এই রায় ১৯৭১ সালের পরাজিত শক্তির প্রতিশোধ। স্বাধীনতার শত্রুরা, যারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পরিকল্পনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করে বাঙালির অগ্রযাত্রা থামিয়ে দিতে চেয়েছিল, যারা একাত্তরের পরাজয়ের পর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকাতে নানামুখী নীলনকশা করেছিল—তারাই আজ আবার নতুন মুখোশে আবির্ভূত হয়েছে। একাত্তরের গণহত্যাকারীদের বিচারের প্রতিশোধ নেওয়ারই ধারাবাহিকতা আজকের রায়। তাদের উদ্দেশ্য সুস্পষ্ট—বাংলাদেশকে নেতৃত্বশূন্য করা, উন্নয়ন ও প্রগতির ধারা বাধাগ্রস্ত করা এবং আবারও বিশৃঙ্খলা ও অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া, যেন এই দেশ পূর্ব পাকিস্তানের পুরোনো দুঃস্বপ্নে ফিরে যায়।
এতে আরো বলা হয়, ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরের ৪ তারিখে পাকিস্তানের মিয়াঁওয়ালির কারাগারে বন্দী অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে সামরিক গোপন আদালত মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেছিল। নির্জন সেলে তাঁর সামনে খোঁড়া হয়েছিল কবর—যেন ইঙ্গিত দেওয়া হচ্ছিল স্বাধীনতার স্থপতির জীবনের সম্ভাব্য পরিণতি সম্পর্কে। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর লক্ষ্য ছিল যে কোনো মূল্যে তাঁকে হত্যা করা। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনীর ধারাবাহিক বিজয়ে পরিস্থিতির দ্রুত বদল তাঁদের সেই ঘৃণ্য পরিকল্পনাকে ব্যর্থ করে দেয়। বাংলার বিজয় ও পাকিস্তানের পরাজয় শেষ পর্যন্ত প্রমাণ করে—
ইতিহাসকে বন্দি করা যায় না। আজকের এই রায় আমাদের সেই রক্তাক্ত ইতিহাসের নিষ্ঠুর স্মৃতি ফিরিয়ে আনে। আমাদের মনে করিয়ে দেয়—স্বাধীনতার শত্রুরা এখনও সক্রিয়, এখনও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
বিবৃতিতে বলা হয়, কিন্তু এ দেশের মানুষ ভুলে যায়নি—কারা দেশকে এগিয়ে নিয়েছে, আর কারা দেশবিরোধী চক্রান্তে লিপ্ত থেকেছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, জননেত্রী শেখ হাসিনা—বাংলাদেশের উন্নয়ন, গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের প্রতীক। তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মানে এই জাতির স্বাধীনতা ও মর্যাদার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। আমরা আইনি পথেই এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবো এবং দেশপ্রেমিক জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সত্য ও ন্যায়ের বিজয় নিশ্চিত করবো।
এতে বলা হয়, এই লড়াই কেবল একজন নেত্রীর জন্য নয়—এটি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষা এবং ত্রিশ লাখ শহিদের রক্তে অর্জিত বাংলাদেশের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই।
যারা ইতিহাসের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়—তারা ইতিহাসেই পরাজিত হয়। স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের পরাজয় আবারও অবশ্যম্ভাবী।
বিবার্তা/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]