
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়ন দিয়ে বয়ে চলা সরকারি দহ লিজ ছাড়াই জবর দখল করে মাছ চাষের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন বড়গাংদিয়া গ্রামের বাসিন্দারা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বড়গাংদিয়া গ্রামের মৃত মোফাজ্জেলের ছেলে মো. নাসির, মৃত কিয়াম উদ্দিনের ছেলে মো. নজরুল ইসলাম সহ অভিযোগকারীরা এই দহটি সরকার কর্তৃক লিজ নিয়ে একত্রে মাছ চাষ করেছেন। কিন্তু বৈশ্বিক মন্দা ও অনাবৃষ্টির কারণে দহতে পানি কম থাকায় আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে চলতি বছর সরকারি ঘোষণাকৃত মূল্যের দরপত্র উভয় পক্ষের সাধ্যের বাইরে হওয়ার কারণে সম্মিলিতভাবে দরপত্র দাখিল না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। দরপত্র দাখিলের সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় দহটি সরকারি খাস আদায় হওয়ার কথা তবে অভিযোগে উল্লেখিত বিবাদীদ্বয়সহ তাদের সহযোগী ব্যক্তিগণ দহটি লিজ গ্রহণ করেছে বলে দাবি করেছেন। অভিযোগ কারিদের দাবি দহটির লিজের ব্যাপারে জানতে গেলে বিবাদীরা তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর দাখিলকৃত অভিযোগে ২৫ জন ব্যক্তি বাদী হয়ে স্বাক্ষর করেছেন।
এ বিষয়ে মো. নাসির বলেন, আমি দরপত্র জমা দিইনি, তবে দীর্ঘদিন এই দহটি লিজ নিয়ে আমরা মাছ চাষ করছি তাই সহকারী কমিশনার (ভূমি) দরপত্র জমা দানের সময় শেষ হলে আমাকে ডেকে টাকা জমা দিতে বলে। আমি টাকা জমা দিয়েছি। সব কিছু তিনিই জানেন। কত টাকা জমা দিয়েছেন তা নাসিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি টাকার পরিমাণ বলতে পারেননি।
তবে এই ব্যপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাহিদুল ইসলাম বলেন, যেহেতু দরপত্রে কেউ অংশগ্রহণ করে নাই তাই দহটি খাস আদায় হবে। সংশ্লিষ্ট তহসিলদার এটা আদায় করবে। নাসিরের কাছে দহ বাবদ কোনো টাকা নেওয়া হয়নি বলে নিশ্চিত করেন এই সরকারি কর্মকর্তা।
বিষয়টি নিয়ে দৌলতপুর নির্বাহী অফিসার মো. ওবায়দুল্লাহর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি এখনো অভিযোগটি পাইনি। বোধহয়, সেভাবে দেখি নাই, না দেখে বলতে পারছি না।
বিবার্তা/তুহিন/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
পদ্মা লাইফ টাওয়ার (লেভেল -১১)
১১৫, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ,
বাংলামোটর, ঢাকা- ১০০০
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]