ডিজিটাল যুগেও অ্যানালগ সত্যায়ন, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা!
প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০২৩, ১০:৫১
ডিজিটাল যুগেও অ্যানালগ সত্যায়ন, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা!
মহিউদ্দিন রাসেল
প্রিন্ট অ-অ+

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে চেষ্টা করছি সরকারি চাকরি পাওয়ার। সরকারি চাকরি একদিকে যেমন সোনার হরিণে পরিণত হয়েছে, অন্যদিকে এ চাকরির পেছনে ছুটতে গিয়ে প্রতিদিনই আমাদের নানা ধরণের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। মাত্রাতিরিক্ত চাকরির আবেদন ফি, সময় মতো পরীক্ষা না নেয়া, ফলাফল প্রকাশে দীর্ঘসূত্রিতা, কখনো কখনো প্রশ্নফাঁসের কারণে হতাশা, আবার কখনো কাগজপত্র সত্যায়িত করতে গিয়ে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।



প্রশ্ন হলো, ডিজিটাল বাংলাদেশে অ্যানালগ সত্যায়নের কী দরকার? যেখানে মৌখিক পরীক্ষায় মূল কাগজপত্র দেখাতে হচ্ছে, সেখানে সত্যায়নের নামে বাড়তি ঝামেলায় ফেলা হচ্ছে কেন? আমাদের মধ্যে যাদের পরিচিত প্রথম শ্রেণির গেজেটেড সরকারি কর্মকর্তা নেই, তাদের এটা করতে গিয়ে কী যে ভোগান্তি, তা বলে বোঝানো যাবে না। আজ সত্যায়িত হবে না, পরে আসেন, আমি আপনাকে চিনি না- এ ধরণের নানান বিড়ম্বনা। ফলে নিরুপায় হয়ে অনেকে অসততার আশ্রয় নিচ্ছে। কী করবে তারা?



সত্যায়নের ভোগান্তির কথা জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য পাস করা শিক্ষার্থী নিশাদুর রহমান বিবার্তাকে এসব কথা বলেন। তার কথাই প্রতিধ্বনিত হয়েছে সত্যায়নের জন্য ভোগান্তির শিকার হাজারো চাকরিপ্রার্থীর মনের কথা।


জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দশম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবরার হোসেন ফাহিম। স্নাতকোত্তর শেষ করে সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সত্যায়নের ভোগান্তির কথা জানিয়ে জবি’র এই শিক্ষার্থী বিবার্তাকে বলেন, আমি ২ বছর ধরে চাকরির জন্য লেখাপড়া করছি। সত্যায়ন বিষয়টি আমাদের জন্য চরম ভোগান্তির নাম। পরিচিত গেজেটেড অফিসার নেই আমার। এদিকে অনেক কাগজের কপি সত্যায়িত করতে হয় বলে অনেকে সত্যায়ন করে দিতেও আগ্রহী হয় না। এখন আমি কোথায় যাবো বলেন? নানাভাবে বুঝিয়ে নিজের কাগজ সত্যায়ন করি। নানা পরীক্ষায় এসব কাগজ দিতে হয় বলে এভাবে কয়দিন কয় জনের কাছে যাবো?


তিনি বলেন, অনেক কাগজপত্র হওয়ার কারণে মাঝে মাঝে কিছু কাগজ বাদ পরে যায়। ফলে সেটাকে নিয়ে আবার দৌঁড়াদৌঁড়ির বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। আমি যদি ভুয়া কাগজ জমা দেই তবে সেটা তো আমার ফাইনাল সিলেকশনেই ধরা পড়বে। চাকরির আগেই কেন সব কিছু সত্যায়িত লাগবে, তা আমার বোধগম্য নয়। এর একটি সহজ সমাধান হওয়া দরকার।


এদিকে ভুক্তভোগী এসব চাকরিপ্রার্থীর কথার প্রমাণও মিলেছে চাকরির বিজ্ঞপ্তি দেখে।


গত ২ জুলাই, রবিবার বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) এর নির্বাহী পরিচালক (প্রশাসন) (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ ফারুক আলম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীগণকে মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য লিখিত পরীক্ষার মূল প্রবেশপত্র (রঙ্গিন প্রিন্ট), অনলাইন Applicant Copy, সকল শিক্ষাগত যোগ্যতা সনদের মূল কপি, জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্মনিবন্ধন সনদের মূলকপি, চাকরিতে প্রার্থীদের ক্ষেত্রে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত অনাপত্তিপত্র, স্থায়ী ঠিকানা প্রমাণের স্বপক্ষে নিজ এলাকার ওয়ার্ড কমিশনার/ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রদত্ত নাগরিকত্ব সনদের মূলকপি দেখাতে হবে। আর সকল কাগজপত্রাদির ১ সেট সত্যায়িত ফটোকপি মৌখিক পরীক্ষার বোর্ডে দাখিল করতে হবে।



এদিকে গত ২৫ জুন গণপূর্ত অধিদফতরের সদস্য সচিব নন্দিতা রাণী সাহা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণপূর্ত অধিদফতরের গ্রেড-১৮ হতে গ্রেড-২০ পর্যন্ত মোট ৬ ক্যাটাগরির ১৬৯টি শূন্য পদে সরাসরি জনবল নিয়োগের লক্ষ্যে ২০-০৫-২০২৩ ও ২৭-০৫-২০২৩ তারিখে অনুষ্ঠিত MCQ টাইপ লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল সনদপত্র, অভিজ্ঞতার মূল সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) নাগরিকত্ব সনদের মূল কপি, আবেদনে কোটার বিষয়টি উল্লেখ করা থাকলে তার অনুকূলে মূল সনদপত্র/প্রমাণপত্র (এতিম ও শারীরিক প্রতিবন্ধি, মুক্তিযোদ্ধা, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এবং আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা কোটা), মুক্তিযোদ্ধা কোটার ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি, মুক্তিযোদ্ধার পুত্র-কন্যার পুত্র-কন্যার ক্ষেত্রে প্রমাণক হিসেবে মুক্তিযোদ্ধার পুত্র-কন্যার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি এবং সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান/স্থানীয় কর্তৃপক্ষের এ সংক্রান্ত উত্তরাধিকারী সনদপত্র জমা দিতে হবে।


বিজ্ঞপ্তির শেষে স্পষ্ট করে এটাও বলা হয়, সকল কাগজপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, প্রবেশপত্রের ফটোকপি এবং পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ২ (দুই) কপি ছবি মৌখিক পরীক্ষার বোর্ডে জমা দিতে হবে।


এভাবে অধিকাংশ চাকরির ক্ষেত্রে সত্যায়নের কথা জুড়ে দেয়া হয়। ফলে ভোগান্তিতে পড়ে চাকরিপ্রার্থীরা। আর এ ভোগান্তি দূরীকরণে তাদের অনেকে অবৈধ পন্থার সহজ রাস্তাও বেঁছে নিচ্ছেন। রাজধানীর নীলক্ষেতসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে ‘সত্যায়িত’ লেখা সীল ও স্বাক্ষর নকল করে কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন তারা। আর এ কাজকে ঘিরে মুনাফা লুটছে একশ্রেণির অসাধু চক্র। ফলে জিম্মি হচ্ছেন পাস করা চাকরিপ্রার্থী শিক্ষার্থীরা।


সম্প্রতি সরেজমিনে নীলক্ষেতে দেখা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের গেইট থেকে নীলক্ষেতের দিকে গেলে রাস্তার ডানপাশে ফটোকপি দোকানগুলোর সামনে সিলের ছোট ছোট দোকানের ছড়াছড়ি। এ দোকানগুলো ছোট ছোট হলেও তাদের ব্যবসা কিন্তু জমজমাট। ‘এখানে আর্জেন্ট সিল তৈরি করা হয়’ এই শিরোনামে দোকানের সাথে কাগজও ঝুলিয়েছে তারা।


কথা হয় সিল দোকানদার আসগরের সাথে। কী ধরণের সিল তৈরি করা হয় জানতে চাইলে তিনি বিবার্তাকে বলেন, যেকোনো ধরণের সিল আমাদেরকে স্যাম্পল দেখালে আমরা তৈরি করতে পারি।


সত্যায়নের সিল তৈরি করতে পারেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই পারি। আপনার লাগলে স্যাম্পল দেন, করে দিচ্ছি।


সিল দোকানদার আসগরের এ কথার সত্যতাও পাওয়া যায় নীলক্ষেত এলাকায়। এখানে দাঁড়ালে আশপাশের দোকানিদের হাঁকডাক শুরু হয়ে যায়, কি লাগবে ভাই? আসেন, আসেন, করে দিচ্ছি ইত্যাদি।


তবে ডিজিটাল যুগে এই সত্যায়ন থাকা এবং সেটাকে ঘিরে ব্যবসা গড়ে উঠা বিষয়গুলোকে নেতিবাচকভাবে দেখে অ্যানালগ এই পদ্ধতি থেকে আমাদের বের হয়ে আসা দরকার বলে জানিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদরা।


ডিজিটাল বাংলাদেশে চাকরির ক্ষেত্রে সকল কাগজপত্রের সত্যায়িত কপির প্রাসঙ্গিকতা সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বিবার্তাকে বলেন , আমি মনে করি পর্যায়ক্রমে এগুলো সবই ডিজিটাল পদ্ধতিতেই চলে যাবে। তবে এখনো সকল সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হয়তো এই সিস্টেম চালু করতে পারেনি। আমরা দেখছি, একজন প্রার্থীকে মূল সনদের অনেকগুলো কপি করতে হয়, সত্যায়িত করতে হয়, বহু টাকা খরচ করে আবেদন সম্পন্ন করতে হয়। একজন বেকার বা চাকরিপ্রার্থী এমনিতেই অর্থনৈতিক সমস্যায় থাকে। সেই অবস্থায় এগুলোকে আমি অযথা খরচ বলে মনে করি। চাইলেই এগুলো এড়িয়ে যাওয়া যায়।



সত্যায়িত প্রথার অযৌক্তিকতা সম্পর্কে বিশিষ্ট এই শিক্ষাবিদ বলেন, আমাদের দেশে কোনো চাকরিতে আবেদন করতে হলে আবেদনকারীকে অনেক বেশি কাগজপত্র জমা দিয়ে আবেদন করতে হয়। আবেদনের সময় অনেকেই ভুয়া সনদপত্র জমা দেয়, কেউ কেউ ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত ভুল করে। বাস্তব ক্ষেত্রে এরকম আরো অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়। তবে এই সকল বিষয় যদি আরো সহজ করা হয়, তবে সবাই উপকৃত হবে। যে কোনো চাকরিতে আবেদনের ক্ষেত্রে, যে সকল প্রতিষ্ঠানে ডিজিটালি করা সম্ভব সেখানে শতভাগ ডিজিটাল পদ্ধতিতেই আবেদন করা উচিত। সেখানে চাকরি প্রার্থী শুধুমাত্র তার একাডেমিক যোগ্যতার ঘোষণা দিবে এবং আবেদন করে ফেলবে। পরীক্ষার পদ্ধতি লিখিত বা মৌখিক যাই হোক না কেন, সে যখন প্রাথমিক ভাবে নির্বাচিত হবে, তখন তার একাডেমিক সমস্ত কাগজপত্র শুধু ডিজিটালি নয়, ফিজিক্যালিও জমা দিতে হবে। কারণ আমাদের দেশে সকল একাডেমিক সনদ এখনো ডিজিটালি যাচাই বাছাই করার সুযোগ নেই। তখন যদি দেখা যায় প্রার্থী আবেদনের সময় তার শিক্ষাগত যোগ্যতার যে ঘোষণা দিয়েছে, বাস্তবেও সেটার সাথে মিল আছে তখন তো বোঝাই গেল সে সত্যি বলেছে। এবং সে চাকরির জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত হবে। এখানে আর আলাদা করে সত্যায়িত করার কোনো প্রয়োজন রইল না। এটা খুবই সহজ পদ্ধতি বলে আমি মনে করি।


সত্যায়নকে ঘিরে মুনাফা লুটছে একশ্রেণির অসাধু চক্র। বিষয়টিকে কিভাবে দেখছেন, জানতে চাইলে ঢাবির সাবেক এই উপাচার্য বিবার্তাকে বলেন, আমাদের দেশে নানান ধরনের জালিয়াতি ও প্রতারণা হয়। একজন গেজেটেড অফিসারের স্বাক্ষর নকল করা, তার নামে সিল বানানো অপরাধ। আর এই অপরাধ করার রাস্তা তৈরি করে দিচ্ছে এই সত্যায়িত প্রথা। সেই কারণেই বলছিলাম, এই সিস্টেমটাই থাকার দরকার নাই। এটি সেকেলে হয়ে গেছে। এটি বাদ দিয়েই আবেদন করা সম্ভব। আমরা যখন কোনো পদের জন্য বিজ্ঞাপন দেই, সেখানে ৫০ হাজার আবেদন করে। এই বিপুল পরিমাণ প্রার্থীর জন্য গেজেটেড অফিসার খুঁজে সত্যায়িত করাটাও দুরূহ ব্যাপার। শেষ পর্যন্ত চাকরি পাবে হয়তো ১০/১৫ জন। শুধুমাত্র এই মনোনীতরা একেবারে অরজিনাল মূল সনদ নিয়ে অফিসে হাজির হবে। এটি হলে সত্যায়িত করার এই ব্যবসা খুব সহজেই বন্ধ হয়ে যাবে। সিস্টেমটাই যদি না থাকে তবে একে ঘিরে দুর্নীতি বা অনিয়মেরও প্রশ্ন থাকে না।


সত্যায়ন প্রসঙ্গে শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বিবার্তাকে বলেন, এটি আসলেই খুবই অসংগতিপূর্ণ। এখন তো সবকিছুই অনলাইনেই পাওয়া যায়, যেসব এখনো পাওয়া যায় না, সেগুলিও পাঠাবার ব্যবস্থা করা যায়। একটা QR code থাকলেই তো সব নাগালে পাওয়া কয়েক সেকেন্ডের ব্যাপার। এজন্য খরচও হয় খুব নগন্য। দুনিয়াজোড়া কাগজ, অর্থাৎ গাছ বাঁচানোর চেষ্টা জোরদার হচ্ছে। অথচ আমরা কাগজ নষ্ট করে আনন্দ পাই। আমি মনে করি এই সত্যায়ন, স্থায়ী ঠিকানা- এসব প্রাচীন আমলের প্রথা থেকে আমাদের বের হতে হবে। যতটা সম্ভব ডিজিটাল হতে হবে। এর বিকল্প হচ্ছে সবকিছুতে ধীর গতি, হয়রানি, অর্থের অপচয় এবং দুর্নীতি ।


সার্বিক বিষয়ে অবগত করে মন্তব্য জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্‌ উদ্দিন চৌধুরী বিবার্তাকে বলেন, সত্যায়নের বিষয়ে আপনি যে বিড়ম্বনার কথা বলছেন সেটা সম্পর্কে আমরাও অবগত আছি। আপনি এই বিষয়ে আইসিটি ডিভিশনের সচিবের সাথে কথা বলতে পারেন।


পরে এই বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিনের সাথে কথা হয়। তিনি বিবার্তাকে বলেন, ডিজিটাল যুগে অ্যানালগ সত্যায়ন অবশ্যই ভোগান্তির। তবে সেই ভোগান্তি লাঘবে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। আর সেই মোতাবেক আমরা কাজ করছি। আর একটা বিষয় হচ্ছে, পেপারলেস সিস্টেমের জন্য অবশ্যই দরকার ডিজিটাল সিগনেচার। আর এই ডিজিটাল সিগনেচারের কারণে অটোমেটিক একটা কিউআর কোড তৈরি হবে। এটা স্ক্যান করলে জানা যাবে বোর্ড থেকে সার্টিফাই করা হয়েছে কিনা অর্থাৎ এখানে আর সত্যায়নের প্রয়োজন হবে না।


তিনি বলেন, বর্তমানে যেই সব সার্টিফিকেট তৈরি হবে, সেগুলোতে ডিজিটাল সিগনেচার থাকবে। আর যেগুলো পুরনো, সেটাকেও কিভাবে ডিজিটাল করা যায়, সেই সিস্টেমে আনা হবে। ফলে সামনে আর সত্যায়নের প্রয়োজন হবে না।


বিবার্তা/রাসেল/রোমেল/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com