'এমন সমাজ কবে গো সৃজন হবে।
যেদিন হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খ্রিষ্টান
জাতি গোত্র নাহি রবে'
বাণীগুলো বাউল সম্রাট লালন সাঁইজির। বিরল মানব দর্শনের আধ্যাত্মিক বাউল সাধক, সমাজ সংস্কারক ও দার্শনিক বাউল গুরু লালন সাঁই বাঙালির সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাথে নিগূঢ়ভাবে সংশ্লিষ্ট। তাঁর সম্পর্কে অধিক উপমা বা বাক্য ব্যয় নিতান্তই বাহুল্য। মৃত্যুর ১৩৪ বছর পর আজও তিনি বেঁচে আছেন মানুষের হৃদয়ে।
সাহিত্য ও সংস্কৃতির রাজধানী কুষ্টিয়ার ছেউড়িয়ায় প্রতিবছর বাউল সাধকগণ সাঁইজির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পালন করেন লালন উৎসব। তবে চলতি বছর উদ্বোধনের দিনেই শেষ হয় বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ'র আখড়া বাড়িতে বাউল সাধুদের দোল বা লালন স্মরণোৎসব। প্রতি বছর ৩ দিনব্যাপী উৎসব চললেও এবার রমজানের কারণে ছাঁটা হয়েছে উৎসবের পরিধি।
লালন স্মরণোৎসবে দিন-কাল কারো জানা না থাকলেও জনশ্রুতি আছে, লালন নিজেই তাঁর জীবদ্দশায় প্রত্যেক পূর্ণ-চন্দ্র তিথিতে এই উৎসব করতেন। এই উৎসবে দূর দূরান্ত থেকে তাঁর ভাবশিষ্যরা আসতেন। সেই থেকেই উৎসবটির চল। বাউল বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রায় দুইশ বছর হবে এই উৎসবের বয়স। তাঁর শিষ্যরা এই উৎসবকে ‘লালন স্মরণোৎসব’ও বলে থাকেন। উৎসবের সময় পূর্ণ চন্দ্রের দেড় দিন। পূর্ণ তিথির সন্ধ্যালগ্নে ‘রাখল সেবা’র মধ্য দিয়ে শুরু হয় মূল উৎসব। তবে আক্ষরিকার্থে উৎসবটি দেড় দিনের হলেও চলে তিনদিন।
দোল পূর্ণিমার তিথি অনুযায়ী ২৪ মার্চ, রবিবার বিকেলে লালন একাডেমি মিলনায়তনে লালন স্মরণোৎসব উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ আসনের এমপি মাহবুবউল আলম হানিফ। অনুষ্ঠানে মূল আলোচক ছিলেন গবেষক ও লেখক অ্যাডভোকট লালিম হক। কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক ও লালন একাডেমির সভাপতি মো. এহেতেশাম রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুর রউফ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সদর উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী এবং পুলিশ সুপার এ এইচ এম আব্দুর রাকিব।
প্রতি বছরই দোল উৎসবকে কেন্দ্র করে লালনের আখড়াবাড়ি চত্বর হয়ে ওঠে উৎসবমুখর। দেশি-বিদেশি লালনভক্ত, বাউল অনুসারী ও সুধীজনসহ মানুষের পদচারণায় মুখর হয় বাউল আখড়া। অসংখ্য বাউল পূর্ণিমার সন্ধ্যার আগেই লালনের আখড়াবাড়িতে নিজ নিজ আসনে বসেন। ‘আসনে’ বসা সাধু-গুরুদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ভক্তি-শ্রদ্ধার বিষয়। যার যেমন সামর্থ্য, কেউ সাদা বা রঙিন কাপড়ের টুকরোর ওপর, কিংবা শীতল পাতার মাদুর, এমনকি গামছা বিছিয়েও আসন পাতেন। প্রতি বছরই উৎসবের তিন দিনে সন্ধ্যায় স্মৃতিচারণমূলক আলোচনা হয়- যাতে অংশ নেন লালন বিশেষজ্ঞসহ অনেকে। আর তারপরই রাতভর চলে লালনের গান। বসে জমজমাট লোকশিল্প মেলা। তিনদিনের এই মেলায় কয়েক লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটে।
কিন্তু, ব্যতিক্রমী চিত্র দেখা গেল এই বছর। লালনের অসাম্প্রদায়িক চেতনা থেকে যে আচার-অনুষ্ঠানের সূচনা করেছিলেন সেই আচার-অনুষ্ঠান ও আয়োজন এবার ধর্মের কল বাজিয়ে সংক্ষিপ্ত করে ফেলা হয়েছে। বাউল-সাধুরা বলছেন রমজানের পবিত্রতা বিনষ্ট হয়, সেরকম না করেও আচার-অনুষ্ঠান পালন করা যেত। ইফতারের পর লালনের স্মরণে সঙ্গীতানুষ্ঠান বা সাধুদের সেবা দেওয়ার বিষয়টিতে গুরুত্ব দেওয়া যেত। এদিকে, জেলা প্রশাসন বলছে সাধুদের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে বাউল-সাধুসহ সকলেই বলছেন এই আয়োজন জেলা প্রশাসনের হাতে, সরকারি সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার ক্ষমতা কারো নেই। সেক্ষেত্রে, প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে জেলা প্রশাসন লালন স্মরণ উৎসবকে কেন সংক্ষিপ্ত করে শুধু আলোচনা অনুষ্ঠানে সীমাবদ্ধ করলেন? যদিও কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন বলছে একদিনেই লালন উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়েছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ আসনের এমপি মাহবুবউল আলম হানিফ বিবার্তাকে বলেন, এই অনুষ্ঠানের আয়োজন লালন একাডেমি ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় করেছে। এই বিষয়ের ব্যাখ্যা জেলা প্রশাসকের কাছে, এর ব্যাখ্যা জেলা প্রশাসন দিতে পারবে।
এদিকে সংক্ষিপ্ত লালন স্মরণোৎসব নিয়ে জানতে চাইলে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক ও লালন একাডেমির আহ্বায়ক মো. এহেতেশাম রেজা বিবার্তাকে বলেন, তিনদিনব্যাপী হয়ে থাকে লালন উৎসবের মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মূল যে রীতি, পূর্ণিমার দোল তিথিতে- তারা যেটা করে, শিষ্টাচার সাধুরা যারা বাইরে থেকে আসেন তারা ২৪ ঘণ্টা থেকে চলে যায়। বাকি তিনদিন মেলা বসে, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে। রমজান মাসে অন্যান্য পারসপেক্টিভ আমাদের মাথায় রাখতে হবে। দিনের বেলায় ওখানে খাবারের দোকান বসবে। অন্য সবকিছু চলবে, গান-বাজনা হবে সে জায়গাটায় অন্যান্য ধর্ম…! লালন হলো মানবধর্ম, অন্য কোনো ধর্মের কোনো কিছু যাতে আহত না হয়। সে কারণে আমরা সাধুদের সাথে কথা বলে আয়োজন সংক্ষিপ্ত করেছি। তারাও সম্মতি দিয়েছেন। সবার সাথে কথা বলে এটা করা হয়েছে। আজ থেকে তেইশ বছর আগেও রমজান পড়েছিল। ঠিক একইভাবে প্রোগ্রামটিকে ছোট করা হয়েছিল।
লালনের আধ্যাত্ম্য চেতনা ছিল ধর্ম, বর্ণ, গোত্রসহ সব প্রকার জাতিগত বিভেদের ঊর্ধ্বে। সেখানে আছে মানবপ্রেম ও মানবতা। যার মূল সুর অসাম্প্রদায়িকতা। সেই জায়গা থেকে লালনকে স্মরণ করে ঐতিহ্যবাহী এই উৎসব সংক্ষিপ্ত হওয়াতে সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের প্রভাব নিয়ে বিবার্তার প্রতিবেদক প্রশ্ন করলে জেলা প্রশাসক মো. এহেতেশাম রেজা বলেন, আমি আমার মতামত দিয়েছি এর অতিরিক্ত আর কিছু বলতে পারছি না।
লালনের আবির্ভাবের সময়টা ছিল বাঙালির জীবনে এক ক্রান্তিকাল। গ্রামীণ সমাজ নানাভাবে বিভক্ত। ধর্ম জাত-পাত নিয়ে সমাজে ছিল নানা সমস্যা। লালন এই জাত-পাত ও ধর্ম বর্ণ-বিভেদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। সবকিছুর উপরে তিনি স্থান দিয়েছিলেন মানুষকে। ফকির লালন সাঁই ভক্তদের নিয়ে দোল পূর্ণিমা তিথিতে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ার আখড়াবাড়িতে সাধুসঙ্গ করতেন। গানে গানে ছড়িয়ে দিতেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাণী। আর তাঁর জীবদ্দশায় শুরু হওয়া সেই ঐতিহ্যবাহী অসাম্প্রদায়িক উৎসবকে এই বছর সংক্ষিপ্ত করা হলো 'রমজানের পবিত্রতা ও গাম্ভীর্যতা রক্ষা'র কারণ দর্শানোর মাধ্যমে!
লালন স্মরণোৎসবের তিন দিনের অনুষ্ঠান এক দিনে হওয়ায় বাদ পড়েছে অনেক আনুষ্ঠানিকতাই। আর এতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন লালনের ভক্ত-অনুসারীরা। উৎসবের পূর্বে আয়োজন নিয়ে লালন একাডেমিতে কোর কমিটির বৈঠকে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক ও লালন একাডেমির আহ্বায়ক এহেতেশাম রেজা সভাপতির ভাষণে বলেন, 'রমজানের পবিত্রতা ও গাম্ভীর্যতা রক্ষায় একাডেমির এডহক কমিটিসহ সবাই প্রস্তুতিমূলক সভা করেছি এবং স্মরণোৎসব এক দিনব্যাপী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।' সে সময় সাধু-বাউলরা জেলা প্রশাসককে ঘিরে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। প্রবীণ সাধু নহির শাহ বলেন, 'যেহেতু প্রশাসনের মাধ্যমে সাঁইজির আখড়াবাড়ি পরিচালিত হচ্ছে, অতএব তাদের সিদ্ধান্তই মেনে নিতে হবে। আমরা মূল ভুলে নকল নিয়ে ব্যস্ত থাকছি।'
রেওয়াজ অনুযায়ী আচার-অনুষ্ঠান সম্ভব হবে না জানিয়ে এই সাধক আরও বলেন, 'অনুষ্ঠানটা ২৪ ঘণ্টাব্যাপী হওয়া উচিত ছিল। রোববার বিকেলে অধিবেশন শুরু হবে, পরদিন বিকেলে অধিবেশন শেষ হবে অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টা পূর্ণিমা তিথিটা বিরাজ করে। একদিনে তিনটি সেবা হবে না। সেবা তো সময়ান্তে হবে। সময় হাতে না পেলে সেবা কীভাবে হবে?'
এই বিষয়ে জানতে চাইলে বাউল গানের জনপ্রিয় শিল্পী শফি মণ্ডল বিবার্তাকে বলেন, আমরা সাধু মানুষ, আমরা বললে কেমন দেখায়। আমরা কষ্ট পেয়েছি কিন্তু রাষ্ট্র যদি সিদ্ধান্ত নেয়, সেখানে আমাদের কিছু বলার থাকে না। জেলা প্রশাসন এটা আয়োজন করে। আমাদের শত ইচ্ছা থাকলেও সরকার যেটা সিদ্ধান্ত নেয়, সেটা আমাদের মেনে নিতেই হয়। আমরা দুঃখ পেয়েছি যদিও। এখানে একটা সাধুসঙ্গ হওয়া দরকার ছিল। যেহেতু রমজান মাস, আমরা রোজাকেও সম্মান করি। কিন্তু এই বছরই এরকম দেখলাম। সাধুদের বাল্যসেবাও হয়নি, আলোচনা অনুষ্ঠান, ইফতার পার্টির আয়োজন ছিল। আলোচনায় অনেক সুধী ব্যক্তিত্বরাই ছিলেন, তবে সাধুদের…
তিনি আরো জানান, একদিন ব্যাপী অনুষ্ঠান হওয়ার কথা থাকলেও অনুষ্ঠানের দুদিন আগে থেকে এবং দুদিন পর পর্যন্ত সাধুরা সেখানে ছিলেন। সব মিলিয়ে একবারে যে খারাপ হয়েছে তা না, কিন্তু লালন ফকিরের যে আচারটা সেটা হয়নি। বাল্যসেবা ও পূর্ণসেবা হয়নি। পূর্ণসেবা মূলত দুপুরে হয় তো, যার কারণে হয়তো রোজার মধ্যে এটা হয়নি। ফলে এক, আচারটার মধ্যে একটা আঘাত পড়েছে। দুই, সাধুসেবা হয়নি।
সাধারণত দোল পূর্ণিমার সন্ধ্যায় অধিবাসে রাখালসেবার মধ্য দিয়ে সঙ্গ শুরু হয়। পরদিন সকালে বাল্যসেবা ও দুপুরে পূর্ণসেবা করা হয়। এ ছাড়া তিন দিনব্যাপী লালন একাডেমি মাঠে বাউলমেলা ও লালন সঙ্গীতানুষ্ঠান হয়।
শফি মণ্ডল আরো জানান, তারাবির নামাজের পরে দুই ঘণ্টা হলেও অর্থাৎ ছোটো করে হলেও সঙ্গীতানুষ্ঠান হওয়া উচিত ছিল। সেরকম আমাদের মনে হয়েছে। সেটাও হয়নি। যাই হোক, সরকারি সিদ্ধান্ত, আমাদের বলার কিছু নেই। আমরা আমাদের মতো গিয়েছি, ভক্তি শ্রদ্ধা করে, সাধুগুরুর সাথে দেখা করে চলে এসেছি।
চিত্রশিল্পী ও লেখক মোস্তাফিজ কারিগর বিবার্তাকে বলেন, কুষ্টিয়ার মানুষ হিসেবে আমার যেটুকু জানা তা থেকে বলছি, এইখানে লালন একাডেমি ঘিরে যে আনুষ্ঠানিকতা, মেলা বা আয়োজন হয়- সবটাই জেলা প্রশাসনের হাতে। এই প্রশাসনের সাথে সেখানে একটা দল আছে, কমিটি আছে, নানা পদ আছে, নানা বাজেট- সেটা নিয়ে ভোট বাণিজ্য হয়, নির্বাচন হয়। বাংলাদেশে বা বাংলা ভাষাভাষী এবং বিশ্বে যারা লালন ভাবধারার বা সুফিবাদী সমাজ, সেই সমাজের মানুষ মূলত এখানে এখন অচ্ছুত। লালন একাডেমি বা আয়োজকরা লালন উৎসব ও মেলার যে আনুষ্ঠানিকতা এর সাথে বাউল, সাধু বা সাধকদের জড়ায় না। ভুঁইফোঁড় এক শ্রেণির মানুষ এই জায়গাগুলো দখল করে নিয়েছে। লালন মেলাকেন্দ্রিক যে আলোচনা অনুষ্ঠান- সেখানে কুষ্টিয়া জেলার কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজনীতি সংশ্লিষ্ট মানুষ থাকেন। মূলত লালন ঘরানার লোক যারা, লালনপন্থী যারা, লালন মতালম্বী যারা, এদের আলাদা করে গুরুত্ব দেওয়া বা সম্মান করা হয় না। তারা এই আয়োজন উপলক্ষ্যে সাইঁজির ওখানে আসেন, নিজেদের মধ্যে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে চলে যান। মূল আয়োজনে তারা নেই।
মোস্তাফিজ কারিগর আরো বলেন, এবার মাইক বাজানো নিষেধ ছিল। কালিগঙ্গা নদী ভরাট করে একটা মাঠ করা হয়েছে, ওখানে মেলা হয়। মেলা উপলক্ষ্যে ডাক হয়। মেলায় সোফা ফার্নিচার থেকে শুরু করে জামা-কাপড়, হেন জিনিস নাই বিক্রি হয় না। এই চর্চার যে মানুষগুলো তারা এখন লালন সাঁইয়ের মাজার থেকে দূরেই থাকেন। তারা নিভৃতে এই চর্চাটা করেন। লালনের ভাবধারার লোকেরা এখানে অচ্ছুত।
অনুষ্ঠানের মূল আলোচক গবেষক ও লেখক অ্যাডভোকেট লালিম হক বিবার্তার প্রতিবেদকের কল প্রাথমিকভাবে রিসিভ করলেও পরে একাধিকবার কল করলেও আর রিসিভ করেননি। পরবর্তীতে তাকে ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হলে তিনি সেটির উত্তরও দেননি।
‘যা আছে ভাণ্ডে, তাই আছে ব্রহ্মাণ্ডে’- এই ছিল লালনের দর্শন। তিনি জাত-ধর্ম-বর্ণহীন এক অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠনে বিশ্বাসী ছিলেন। শেষ পর্যন্ত প্রশ্ন থেকেই যায়, অসাম্প্রদায়িক চেতনার সাধক লালনকে প্রতি বছর স্মরণ করে উৎসব করা হয় ঠিকই, কিন্তু তাঁর দর্শন কি সত্যিই বাস্তবে দেখা যাচ্ছে! লালনের স্মরণ ও উৎসব সাম্প্রদায়িকতার নগ্ন থাবায় বিষময় হয়ে উঠেছে কি?
বিবার্তা/এসবি/রোমেল/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]