শিরোনাম
প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থা : বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা
প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৯:৩১
প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থা : বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা
মো. মঈনুল হোসেন
প্রিন্ট অ-অ+

অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন এবং টেকসই সমাজ সৃষ্টিতে দক্ষ মানবসম্পদের বিকল্প নেই। আর দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টির জন্য প্রয়োজন শিক্ষা। একটি জাতির উন্নয়নে শিক্ষার বিকল্প নেই।


প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থাই হচ্ছে সকল শিক্ষার ভিত্তি - এ উপলব্ধি থেকে স্বাধীনতার পর পরই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থাকে সর্বজনীন ও বাধ্যতামূলক করেন। তাই সদ্য স্বাধীন দেশের সংবিধানে ১৯৭২ সালে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক করার বিষয়টি সন্নিবেশিত করা হয়। শিক্ষাকে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার হিসেবে উল্লেখ করে সংবিধানের ১৫ (ক), ১৭ এবং ২৮ (৩) আর্টিকেলে বাংলাদেশের নাগরিকদের শিক্ষার প্রতি রাষ্ট্রের দায়িত্ব বর্ণনা করা হয়েছে।


প্রাচীন শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তন এবং স্বাধীন দেশের উপযোগী একটি শিক্ষাব্যবস্থার রূপরেখা প্রণয়নের উদ্দেশ্যে ১৯৭২ সালের ২৬ জুলাই প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ ডঃ কুদরত-এ-খুদাকে সভাপতি করে শিক্ষা কমিশন গঠন করা হয়, যার রিপোর্ট ১৯৭৪ সালের মে মাসে প্রকাশিত হয়। এর লক্ষ্য ছিল বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে সঙ্গতি রেখে একটি আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তন করা। কমিশন প্রাথমিক স্তরকে ৮ বছর মেয়াদী অর্থাৎ অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত করার সুপারিশ করে।


ডঃ কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থাকে একটি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এছাড়ংক্ষিতসালের সংবিধানের মূলনীতির আলোকে শিক্ষাকে ঢেলে সাজানোর পদক্ষেপ হিসেবে ২৬ অক্টোবর ১৯৭৩ সালে Primary Education Ordinance এবং ১৯৭৪ সালে Primary Education Taking over act- এর মাধ্যমে ৩৬১৬৫টি প্রাথামিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ এবং ১৫৭৭৪২ জন শিক্ষকের চাকরী সরকারীকরণ করা হয়, যা ছিল বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী ঘটনা। এরই সাথে প্রাথমিক শিক্ষা অবৈতনিক করা হয় এবং রেশনিং ব্যবস্থা করা হয়।


কিন্তু ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে সপরিবার নৃশংসভাবে হত্যার পর ডঃ কুদরত-ই-খুদার শিক্ষা কমিশনের রিপোর্ট আর বাস্তবায়িত হয়নি। একাধিকবার সামরিক শাসনের যাতাকলে পড়ে প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়ে। সামরিক শাসকরা কখনো প্রাথমিক শিক্ষার ব্যাপারে মনযোগী ছিলেন না। ফলে বিভিন্ন সময়ে প্রাথমিক শিক্ষা কমিশন গঠিত হলেও সদিচ্ছা ও আন্তরিকতার অভাবে তা কখনো আলোর মুখ দেখেনি।


১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হত্যার মধ্যদিয়ে যে হত্যার রাজনীতি শুরু হয় তারই ধারাবাহিকতায় দেশের সার্বিক শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া হয়।


১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সরকার দেশ পরিচালনা করেছে। সরকার এসেছে, সরকার চলে গেছে। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের এই পালাবদলে দেশের প্রাথমিক শিক্ষার কোনো উন্নতি হয়নি। কোনো সরকার প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি গুরুত্ব প্রদান করেনি।


দীর্ঘ ২১ বছর পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রাথমিক শিক্ষার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন এবং ১৯৯৭ সালে শামসুল হক কমিশন গঠনসহ জাতীয় শিক্ষানীতি -২০১০ ঘোষণা করেন, যার বদৌলতে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা বিশ্বের দরবারে একটি রোল মডেল।


সরকার বর্তমান বিশ্বের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থাকে গতিশীল ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। মানসম্মত শিক্ষা ও তথ্য প্রযুক্তিভিত্তিক জ্ঞানই মানবসম্পদ উন্নয়নের প্রধান হাতিয়ার। তাই রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতিকে শিক্ষিত ও যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা ও কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।


দেশের সব নাগরিকের জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। প্রথমেই বলতে হয় বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালে ২৬১৯৩টি বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণের মাধ্যমে ১১১০৪৩ জন শিক্ষকের চাকরি সরকারীকরণ করেন। প্রধান শিক্ষকদের পদমর্যাদা তৃতীয় শ্রেণী হতে দ্বিতীয় শ্রেণী এবং সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল উন্নীত করেন। এর ফলে প্রাথমিক শিক্ষকদের জীবনযাত্রার মান এবং ছাত্রছাত্রীদের মন-মানসিকতার ব্যাপক পরিবর্তন আসে। তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বে ২০১০ সালের প্রণীত শিক্ষানীতির আলোকে দেশের সকল স্তরের শিক্ষা ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষাকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প-২০২১ বাপস্তবায়নে বর্তমান সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। ইতিমধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য সফলভাবে অর্জিত হয়েছে। জাতিসংঘ গৃহীত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা MDG-4: Ensure Inclusive and Equitable Quality Education and Promote Lifelong Opportunities for All অর্জনে চালুকৃত কর্মসূচিসহ প্রযুক্তিনির্ভর প্রাথমিক শিক্ষা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বছরের প্রথম দিন সকল শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বই বিতরণ করা হচ্ছে।


তৃতীয় প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৩) বাস্তবায়নের আওতায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গমনোপযোগী শিশুদের ভর্তির হার বৃদ্ধি, ঝরেপড়া রোধ, প্রাথমিক শিক্ষা চক্র সমাপন এবং এবং বিদ্যালয়বহির্ভূত, অনগ্রসর, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও ঝরে পড়া শিশুদের শিক্ষার জন্য ‘সেকেন্ড চান্স এডুকেশন’ ও আনন্দ স্কুল চালু রয়েছে। অভিভাবক ও স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিভিন্ন বিভিন্ন বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল চালু করা হয়েছে। এছাড়া দারিদ্রপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং কর্মসূচি পরিচালনা এবং উপবৃত্তির পরিধি সম্প্রসারণ করে বর্তমান সরকার প্রায় ১ কোটি ৩০ লক্ষ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তির আওতায় নিয়ে এসেছে। ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষাভীতি দূর করার জন্য পঞ্চম শ্রেণীর পাঠ শেষে দেশব্যাপী সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিন্ন প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা গ্রহণ করে ছাত্রছাত্রীদের সুষম মূল্যায়নের ভিত্তিতে বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি শারীরিক ও মানসিক বিকাশ এবং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মানসিকতা তৈরীর লক্ষ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রদের অংশগ্রহণে বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট এবং ছাত্রীদের জন্য বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট চালু করা হয়েছে।


২০ লক্ষাধিক ক্ষুদে শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে এ টুর্নামেন্ট দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা প্রচলন এবং আঞ্চলিক অনগ্রসরতা বিবেচনায় রেখে পাহাড়ী অঞ্চল, চর, হাওড়-বাওড়, চা বাগান ও দূর্গম এলাকাসহ বিদ্যালয়বিহীন গ্রামে প্রয়োজনীয় সংখ্যক প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষার্থী জন্য বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ এবং ছেলে ও মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য পৃথক ওয়াশ ব্লক নির্মাণ অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সদ্য জাতীয়করণকৃত সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৫০০০ এবং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪০০০০ সর্বমোট ৬৫০০০ অতিরিক্ত শ্রেণীকক্ষ নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। বিদ্যালয়বিহীন এলাকায় ১৫০০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের আওতায় মোট ১২৩৮ বিদ্যালয় নির্মাণকাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। প্রথমবারের মতো চাকমা, মারমা, সাদ্রী, গারো ও ত্রিপুরা - এই পাঁচটি নৃগোষ্ঠীর ২৪৬৬১ জন শিশুর মাঝে তাদের মাতৃভাষায় এবং দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের মাঝে ব্রেইল পদ্ধতির বই বিতরণ করা হয়েছে।


এ সকল পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে সাক্ষরতার হার ৭১ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষাকে শিশুদের নিকট আকর্ষণীয় করার লক্ষ্যে পাঠ্যপুস্তকে ইন্টার অ্যাকটিভ মাল্টিমিডিয়া ডিজিটাল শিক্ষা কন্টেন্ট তৈরি করা হয়েছে। সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর সরবরাহের মাধ্যমে ৮৯২৫টি মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম চালু করা হয়েছে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে একটি করে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপনের কার্যক্রম চলমান আছে।


টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য এবং মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষার স্বার্থে শ্রেণীকক্ষের পাঠ দান প্রক্রিয়াকে শিশুকেন্দ্রিক, অংশগ্রহণমূলক ও যোগ্যতাভিত্তিক করা হয়েছে। শিক্ষক প্রশিক্ষণের জন্য ইতিমধ্যে পিটিআইবিহীন ১২টি আধুনিক পিটিআই স্থাপন করা হয়েছে।


শিক্ষক প্রশিক্ষণ শিক্ষকদের সাময়িক ঘাটতি মেটাতে সক্ষম হলেও দীর্ঘ মেয়াদে শিক্ষকের পেশাগত উন্নয়ন তথা শিক্ষাব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য শিক্ষক শিক্ষার বিকল্প নেই। দীর্ঘ মেয়াদী পেশাগত শিক্ষা শিক্ষকদের যেভাবে সাহয্য করে থাকে তা স্বল্প মেয়াদী প্রশিক্ষণে সম্ভব নয়। তাই বর্তমান প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনষ্টিটিউটসমুহে (পিটিআই) দেড় বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন (ডিপিএড) কোর্সের আওতায় একীভূত শিক্ষা দর্শন অনুধাবন ও কার্যকর অনুশীলনের মাধ্যমে শিক্ষকদের পেশাগত উৎকর্ষ সাধন তথা প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সরকার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনষ্টিটিউট (আইআর) একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।


শিক্ষায় লিঙ্গ বৈষম্য দূর করার বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। শিক্ষায় লিঙ্গ সমতা আনার স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার ইউনেস্কো “শান্তিবৃক্ষ” পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছে।


সম্প্রতি দূর্গম অঞ্চলের অনগ্রসর জনপদের কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনটি পার্বত্য জেলার ২২৮টি বিদ্যালয় সরকারীকরণের অনুমোদন দিয়েছেন। এটি শিক্ষার প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ভালোবাসারই পরিচয় বহন করে।


উপরোল্লিখিত বিষয়গুলো থেকে প্রতীয়মান হয় যে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর পরে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে আমরা অচিরেই রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়ন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-২০৩০ অর্জন এবং মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করতে সক্ষম হবো ইনশাআল্লাহ।


লেখক : থানা শিক্ষা কর্মকর্তা, সূত্রাপুর, ঢাকা


বিবার্তা/ওরিন/হুমায়ুন/কাফী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com