ঘটনাটি ২০১৬ সালের ঈদের জামাতকে কেন্দ্র করে। আমি লাখো মানুষের সাথে ঈদের নামাজ পড়ার জন্য কিশোরগঞ্জ শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে। হঠাৎ কিছু শব্দ কানে আসলো।
রাজনৈতিক মাঠে এই ধরনের শব্দ প্রতিনিয়ত শুনতে-শুনতে আমার অনুমান নিশ্চিত করার জন্য পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞেস করায় তিনি মুখে আঙ্গুল দিয়ে চুপচাপ থাকতে বললেন। নয়তো নীরবে বাসায় যাওয়ার ইশারা করলেন। কিন্তু যাদের নিয়ে ঈদের নামাজ পড়তে এসেছি, তাদের রেখে যাওয়াও অসম্ভব। আবার কিছু বললে লক্ষ-লক্ষ মানুষ আতংকিত হয়ে উঠলে সর্বনাশ হয়ে যাবে। দেখি, খুব তারাতারি নামাজও শুরু হয়ে গেছে।
সালাম ফিরিয়ে সবাইকে নিয়ে বাসায় এসেই দেখি মোবাইলে মেসেজ। টিভি খুলে দেখি, অনুমান নিমর্ম বাস্তবতায় রূপ নিয়েছে।
গুলশান হামলার রেশ না কাটতেই ঈদের সকালে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় দেশের সবচেয়ে বড় ঈদ জামাতের মাঠের কাছে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের ওপর বোমা হামলা এবং গোলাগুলিতে দুই কনস্টেবলসহ চারজন নিহত হয়েছেন।
স্যোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। ঠিক যেন হলিউডের কোনো অ্যাকশন সিনেমার দৃশ্য। ভিডিওটিতে দেখা যায়, ছয়জন বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট পরা পুলিশ সদস্যকে পেছনে রেখে নীল পাঞ্জাবি ও জিন্স প্যান্ট পরিহিত এক পুলিশ কর্মকর্তা চায়নিজ রাইফেল হাতে ঘটনাস্থলের মুফতি মোহাম্মদ আলী (রহ.) জামে মসজিদ অতিক্রম করছেন।
তিনজন পুলিশ সদস্যকে কাভারে রেখে মসজিদের পরের বাসাটির গেইটের সীমানা প্রাচীরকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে সন্ত্রাসীদের উদ্দেশে একের পর এক গুলি ছুড়ছেন। গেইটের ভেতরে কিছুটা ঝুঁকে তাকে টার্গেট করে ছোড়া সন্ত্রাসীদের পাল্টা গুলি থেকে গা বাঁচাচ্ছেন। এর মধ্যে কয়েকটি গুলি বিপজ্জনকভাবে তার সামনে এসে পড়ে। এরপরও ঝুঁকি নিয়ে তিনি সমানে চালিয়ে যান এই বন্দুকযুদ্ধ।
শোলাকিয়া ঈদগাহে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে অসীম সাহসিকতার সঙ্গে নেতৃত্ব দেয়া এই পুলিশ কর্মকর্তার নাম মো. মোর্শেদ জামান। জঙ্গি সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও ঈদগাহে আগত মুসল্লিদের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে দুই ঘণ্টার এই অভিযানে পুলিশ যে ৬৭২ রাউন্ড গুলি ব্যবহার করে এর মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী এই পুলিশ কর্মকর্তা একাই তখন ছোড়েন প্রায় ১০০ রাউন্ড গুলি।
পরিস্থিতি শান্ত হলে আমি ছুটে যাই ঘটনাস্থলে। মসজিদের অজুখানায় ঢুকিয়ে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে-কুপিয়ে নিমর্মভাবে এক পুলিশ সদস্যকে হত্যা, গোলাগুলির মধ্যে নিজের বাড়ির ভেতরে অদ্ভুদভাবে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঝর্ণা রানী ভৌমিক নামে গৃহবধূর মৃত্যুর বিষয়বস্তু অবলোকন করি।
বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেটবিহীন পুলিশ কর্মকর্তা মোর্শেদ জামান যে বাসাটির গেইটের সীমানা প্রাচীরকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে সন্ত্রাসীদের উদ্দেশে একের পর এক গুলি ছুড়েছেন; আমি নিজে দাঁড়িয়ে প্রায় অনেকক্ষণ পর্যবেক্ষন করি এবং মোবাইলে পুরো পরিস্থিতির ছবিও ধারণ করি।
আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায়, পুলিশ কর্মকর্তা মোর্শেদ জামানের দূর্দান্ত সাহসিকতা, অভিজ্ঞতা এবং নিজের প্রতি কমিটমেন্টের কারণে সেদিন লক্ষ-লক্ষ মুসল্লি প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন। শোলাকিয়া ঈদগাহে সন্ত্রাসীদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে জীবনবাজি রেখে লড়েন পুলিশের এই কর্মকর্তা। আমি তার সাথে কথা বললে মোর্শেদ জানান, পরিস্থিতি এতোটাই জটিল ও জঙ্গিদের অতি নিকটে ঈদগাহ ছিল; তখন শুধু মুসল্লিদের কথা চিন্তা করেছি। নিজের কথা চিন্তা করার সময় পাইনি। তাই বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট পড়ার কথাও মনে ছিল না।
মোর্শেদ জামানদের মত পুলিশ কর্মকর্তা গোটা পুলিশ বাহিনীর জন্য নক্ষত্র, গর্ব। অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের জন্য দৃষ্টান্ত ও যথাযথ দায়িত্ব পালনে অনুকরণীয়।
পুলিশের বিরুদ্ধে সাম্প্রতি একের পর এক অভিযোগ এতোটাই প্রকট আকার ধারণ করেছে, যাতে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি জনগণের এক ধরনের সন্দেহের অবতারণা হয়েছে। রাজধানীর মৎস ভবনের মোড়ে মানবজমিনের ফটো সাংবাদিক মো. নাছির উদ্দিনের মোটরসাইকেলের হেলমেট না থাকার অভিযোগে সার্জেন্ট মুস্তাইনের হাতে লাঞ্ছিত ও নিপীড়নের শিকারসহ তাকে শারীরিকভাবে আঘাত করা, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট মাহবুব আলম রাস্তা থেকে গাড়ি আটক করে থানায় এনে কখনও তা বিক্রি, আবার কখনও গাড়ির যন্ত্রাংশ বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ এবং কক্সবাজারের টেকনাফের এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ ও মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দেয়ার পর ১৭ লাখ টাকাসহ গোয়েন্দা পুলিশের সাত সদস্য সেনাবাহিনীর হাতে ধরা পড়ার নিউজ লাইন ধরে ধরে স্যোশাল মিডিয়া থেকে মূল গণমাধ্যমেও যেভাবে সমালোচনা হয়েছে, তা সত্যিই ভীতিকর ও এই বাহিনীর ভাবমূর্তি অনেকাংশে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলে প্রতীয়মান।
কিন্তু এতো-এতো সমালোচনার মাঝেও পুলিশ বাহিনীর কিছু কর্মকর্তা অসাধারণ কিছু কর্মকাণ্ড জাতিকে বার বার উপহার দিয়ে যাচ্ছে। কুমিল্লা দাউদকান্দি হাইওয়ে থানা-পুলিশের কনস্টেবল মো. পারভেজ মিয়ার কথা অনেকের ভুলে যাবার কথা নয়। ঢাকা থেকে চাঁদপুরের মতলবগামী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডোবায় পড়ে যায়। কুমিল্লা দাউদকান্দি উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ডের পাশে ট্রাফিক সামলাতে ব্যস্ত পারভেজ মিয়া হঠাৎ দেখতে পান অদূরেই সড়ক ঘেঁষা ডোবায় যাত্রী নিয়ে একটি বাস উল্টে পড়ে গেছে।
সময় নষ্ট বা নিজের ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা না করে পুলিশ কনস্টেবল মো. পারভেজ মিয়া নেমে পড়েন পচা ও দুর্গন্ধে ভরা ডোবার পানিতে। তখন অনেকেই দেখেও পঁচা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানিতে নেমে যাত্রীদের উদ্ধারের জন্য এগিয়ে না আসলেও পুলিশ পারভেজ কিন্তু ঠিকই রীতিমত লাফিয়ে নেমে তার হাতের ইট দিয়ে প্রথমে বাসটির জানালার কাচ ভাঙেন। ডোবার পানিতে ডুবে থাকা বাসের ভেতরে প্রবেশ করেন। এরপর ভেতরে আটকেপড়া যাত্রীদের উদ্ধার শুরু করেন।
বাসে থাকা ৪০ জন যাত্রীর মধ্যে পুলিশ পারভেজ মিয়া তার বুদ্ধিমত্তা ও অদম্য সাহস নিয়ে ২৬ জন যাত্রীকে উদ্ধার করেন। শুধু তাই নয়, কোনো ধরনের ক্ষতি ছাড়াই কুমিল্লার মতলব দক্ষিণ উপজেলার বাখরপাড়া গ্রামের ফারুক মিয়া ও রিনা আক্তারের তিন মাসের ছেলে রাইয়ান, রাইয়ানের চার বছরের ভাই রিহাব, সাত বছরের বোন ফারজানা, আট বছরের সুমাইয়া ও ১০ বছরের সোনিয়াকেও উদ্ধার করেন।
এদিকে বাড্ডা থানার এসআই নির্মল কুমার আগরওয়াল তার একক প্রচেষ্টায় আরেকটি অসাধারণ কাজ করে শুধু একজন মা’কেই তার বুকের ধন ফিরিয়ে দেয়নি; বরং পুরো জাতিকে সচেতন হওয়ার জন্য বার্তাও দিয়েছেন।
গত ২৬ অক্টোবর জান্নাত নামের ১০ মাস বয়সী এক শিশু বাড্ডা এলাকার এক বাসা থেকে চুরি হয়ে যায়। শিশুর মায়ের মর্মস্পর্শী কান্না সেদিন সব পুলিশের সাথে এসআই নির্মলকেও বিচলিত করে তুলেছিল। তিনি মনে মনে পণ করেছিলেন, শিশুটিকে উদ্ধার করতে তার মেধা-শ্রম ও অভিজ্ঞতার সর্বোচ্চটুকু প্রয়োগ করবেন। তাই সম্পূর্ণ একক প্রচেষ্টায় টানা ছয় দিন বিভিন্ন রাস্তায় আর বস্তির অলি-গলি তন্ন তন্ন অর্থাৎ রীতিমত অনুবিক্ষণ যন্ত্র দিয়ে সার্চ করার মতন অবস্থান তৈরি করে অবশেষে ১ নভেম্বর রাজধানীর কড়াইল বস্তি থেকে শিশু জান্নাতকে উদ্ধার করেন।
‘দুর্ঘটনার পরপর বিপদে পড়া লোকদের বাঁচাতে এগিয়ে যাই। নিজের কথা চিন্তা করিনি। সাধ্য অনুযায়ী চেষ্টা করেছি। বাসের ৪০ জন যাত্রীর মধ্যে ২৬ জনকে একা বের করে এনেছি। বাসের কাচে হাত কেটেছে। তবে নিজের যাই হোক, যাত্রীদের বাঁচাতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে হচ্ছে’-এভাবেই তখন গণমাধ্যমে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেছিলেন ২৬ জন যাত্রীকে প্রাণে বাঁচানো কুমিল্লা দাউদকান্দি হাইওয়ে থানা-পুলিশের কনস্টেবল মো. পারভেজ মিয়া।
এদিকে এসআই নির্মল কুমার আগরওয়ালের অসাধারণ অর্জনের বিস্তারিত ছবি ও তথ্যসহ গুলশান জোনের ডিসি মোশতাক আহমেদ তার ফেসবুকে ভাইরাল করলে রাত প্রায় ১টার সময় আমি তাকে ফোন করে বাড্ডা থানার ওসির মাধ্যমে সময়ের সাহসী পুলিশের এসআই নির্মলের সঙ্গে কথা বলি।
তিনি জানান, আসলে পুলিশও মানুষ। তাই মানুষ হয়ে আরেকটা মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমার নৈতিকতার মধ্যে পড়ে। তার উপর দেশের সুসংঘঠিত পুলিশ বাহিনীর আমি একজন সদস্য। দেশের জনগণের সেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অঙ্গীকার নিয়ে এ পেশায় এসেছি। দায়িত্বটা আরো বেশি কাজ করেছে। তার উপর একজন মায়ের আর্তচিৎকার...!
এসআই নির্মল কুমার আগরওয়াল আমাকে আরো বলেন, শিশু বাচ্চাটিকে ভিক্ষার কাজে ব্যবহার করার জন্য চুরি করা হয়েছিল। আমাদের সবার উচিত হবে, শিশু কোলে নিয়ে বা শিশুকে দেখিয়ে যারা ভিক্ষা করেন বা শিশুদের ভিক্ষা করার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে ভিক্ষা প্রদান করা। সন্দেহ হলে ভিক্ষুককে জিজ্ঞাসা করা বা পার্শ্ববর্তী থানায় খবর দিলে হয়তো অন্য কোনো মায়ের আর্তচিৎকারও বন্ধ করা সম্ভব হবে।
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার হোসেনদী গ্রামের বাসিন্দা পুলিশ কনস্টেবল মো. পারভেজ মিয়া ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে পুলিশের চাকরিতে যোগ দেন। রাজবাড়ী জেলার নিরঞ্জন আগরওয়াল ও সীতা দেবী আগরওয়ালের সন্তান নির্মল কুমার আগরওয়াল পুলিশে যোগদান করেন ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে।
ঐদিকে কিশোরগঞ্জ ওসি (তদন্ত) মো. মোর্শেদ জামান তার দুঃসাহসী পদক্ষেপ আর অভিজ্ঞতা দিয়ে জঙ্গি অভিযানে সাহসিকতাপূর্ণ ভূমিকা আর এদিকে কুমিল্লা দাউদকান্দি হাইওয়ে থানা-পুলিশের কনস্টেবল মো. পারভেজ মিয়া এবং রাজধানীর বাড্ডা থানার এসআই নির্মল কুমার আগরওয়ালের অর্জন পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। আস্থা আর ভালোবাসার জায়গায় এই ধরনের পুলিশ কর্মকর্তাকে জাতি সম্মান-শ্রদ্ধা জানাতেও ভুল করে না। বিশ্বাস ফিরে পায়।
একটু লক্ষ্য করলে দেখবেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জঙ্গি তৎপরতা যেখানে মহামারি আকার ধারণ করেছে, সেখানে বাংলাদেশ তা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে। তার অবদান দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। শত প্রতিকূলতার মাঝেও পুলিশ বাহিনীর অর্জন উল্লেখযোগ্য। এই পুলিশ বাহিনীর ইতিহাস-ঐতিহ্য গৌরবের। সম্মান আর মর্যাদার। কারণ মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ করেছিলেন এই পুলিশ সদস্যরাই। ২৫ মার্চের সেই কালো রাতে পাক হানাদার বাহিনীর হামলা প্রতিরোধ করতে গিয়ে রাজারবাগসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের শতাধিক সদস্য শহীদ হয়েছিলেন। রাজারবাগসহ দেশের বিভিন্নস্থানে প্রায় ১৪ হাজার পুলিশ সদস্য মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিলেন। এদের মধ্যে শহীদ হয়েছিলেন ৭৩৯ জন পুলিশ সদস্য।
আমাদের মনে রাখা উচিত, এক ব্যক্তির ভালো কর্মকাণ্ড দিয়ে যেমন পুরো জাতিকে মুল্যায়ন করা বোকামি আবার তেমনি এক ব্যক্তি পুলিশ কর্মকর্তার অপরাধের দায়ভার পুরো পুলিশ বাহিনীর উপর চাপিয়ে দেয়াও এক ধরনের অপরাধ।
পুলিশের পোশাক, প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে সকল আইন কানুন এক হলেও পুলিশের পোশাকের ব্যক্তি একেক জন একেক রকম। পরিবার, শিক্ষা, পরিবেশ-পরিস্থিতি এবং সর্বপোরি রাজনৈতিক অপশক্তি অনেক সময় একজন ভালো পুলিশ কর্মকর্তাকেও তার নিজের ন্যায়-নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে বাধ্য করে, যা আমাদের জন্য লজ্জার এবং এর দায়ভার আমাদের।
তারপরেও অনাকাঙ্ক্ষিত ও পরিকল্পিতভাবে ব্যক্তি পুলিশ কর্মকর্তার অপরাধে সাময়িক বহিষ্কার, বদলি বা লঘু শাস্তি প্রদান করা থেকে পুলিশ বাহিনীকে বেরিয়ে আসতে হবে।
অপরাধের প্রাপ্য শাস্তি নিশ্চিত করার মাধ্যমে অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাদের যেমন শাস্তির কঠোর বার্তা দেয়া প্রয়োজন, তেমনিভাবে সমাজ-রাষ্ট্রে বিশেষ বিশেষ অবদানের জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদেরও যথাযথ সম্মান ও পুরস্কারে ভূষিত করার মাধ্যমে অন্যদের অনুপ্রাণীত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত।
লেখক : সভাপতি, বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিষ্ট ফোরাম (বোয়াফ)
বিবার্তা/তন্ময়/কাফী
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]