শিরোনাম
"শেখ হাসিনা, রোহিঙ্গা সংকট ও নোবেল পুরষ্কার"
প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৫:২৪
ব্যারিস্টার এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার
প্রিন্ট অ-অ+

দারিদ্রসীমা অতিক্রম করে উঠে আসার সংগ্রামরত একটি দেশ বাংলাদেশ। যখন একদিকে প্রবল বন্যা আক্রান্ত, লাখ লাখ বানভাসি মানুষের দুর্গতি লাঘবে সরকার সর্বশক্তি প্রয়োগ করছেন, ঠিক এই সময় প্রতিবেশী মিয়ানমারে শুরু হয়েছে গণহত্যার পুনরাবৃত্তি। লাখ লাখ মানুষ বন্যার পানির মতো বাংলাদেশে ঢুকছে। নানা অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সত্ত্বেও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিয়ানমারের মুসলিম রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছেন। ইউএনএইচসিআর-এর শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেছেন, শরণার্থীদের প্রতি বাংলাদেশের মানুষ যে মমত্ববোধ দেখিয়েছে, তা তিনি তার কর্মজীবনে কখনো দেখেননি।


রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েই শুধু ক্ষান্ত হননি, এই সংকট নিরসনে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে ৭২তম সাধারণ অধিবেশনে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে কফি আনান কমিশনের প্রস্তাব বাস্তবায়নসহ তিনি সুনির্দিষ্ট পাঁচ দফা প্রস্তাব রাখেন। এরই মধ্যে নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ সদস্য জাতিসংঘের মহাসচিবকে এক বিশেষ অধিবেশনে পুরো রোহিঙ্গা সংকটটি ব্যাখ্যা করতে আহ্বান জানিয়েছে। সংকট সমাধানে শেখ হাসিনার দেয়া ৫ দফা প্রস্তাব প্রতিধ্বনিত হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের কণ্ঠে। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে ৮ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন বিশ্বনেতারা। শেখ হাসিনার ভাষণের পরেই এশিয়ার দেশ পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, কাজাখাস্তান, পূর্ব ইউরোপ ও পশ্চিম এশিয়ার মাঝামাঝি অবস্থানে থাকা তুরস্ক, মধ্যপ্রাচ্যের বাহরাইন, আরব আমিরাত, কুয়েত, সৌদি আরব, তিউনিসিয়া, আর ইউরোপের আয়ারল্যান্ড ও জার্মানি মিয়ানমার সংকট নিরসনের প্রশ্নে সরব হয়। ফলশ্রুতিতে, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক কমিশনার (ইউএনএইচসিআর) শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করে বলেছেন রাখাইনে সন্ত্রাস বন্ধ করতে হবে এবং শরণার্থীদের ফেরৎ নিতে হবে। যুক্তরাজ্য মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণের সুযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটেও মিয়ানমারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে কথা শুরু হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক’দিন আগে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সাথে এ বিষয়ে আলাপ করেছেন। মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া এ প্রশ্নে যথেষ্ট সোচ্চার। এই বাস্তবতায় মিয়ানমারের নিরাপত্তা উপদেষ্টা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে নিউইয়র্কে দেখা করেছেন এবং দ্বিপক্ষীয় আলাপ শুরু করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় কাউন্সিলার অং সান সুচি সুর নরম করে শরণার্থী ফেরৎ নেয়ার কথা বলছেন। তবে তাতে যাচাই বাছাইয়ের শর্ত জুড়ে দিয়েছেন। অনস্বীকার্য যে মিয়ানমারের ওপর বিশ্ব নেতৃবৃন্দের চাপ বাড়ছে।


রোহিঙ্গা সমস্যা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার ওপর একটা ভয়ানক চাপ। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, “আমরা ১৬ কোটি মানুষের দেশ। সবার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পেরেছি। সেখানে আরও ৭ লাখ মানুষকেও খেতে দিতে পারবো।” উল্লেখ্য, চল্লিশের দশকে বিশ্বশাসক ব্রিটিশ সরকারও অবিভক্ত বাংলাদেশে পঞ্চাশ লাখ লোককে অনাহারে মরতে দিয়েছে। নোবেলজয়ী উইন্সটন চার্চিলের মনে ভারতের দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষের জন্য কোনো মমত্ববোধ ছিলো না। কিন্তু শেখ হাসিনার মাঝে আর্তমানবতার জন্য সংবেদনশীল মানবিকতা আছে। একইভাবে বিশ্বশান্তির অগ্রদূত হিসাবে আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় ১৯৯৯ সালে শেখ হাসিনা পার্বত্য শান্তি চুক্তি সম্পাদন করেন। যার সাদৃশ্য রয়েছে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট হুয়ান ম্যানুয়েল সান্তোসকে কলম্বিয়ার গৃহযুদ্ধ অবসানে কমিউনিস্ট ফার্ক (রেভ্যুলুশনারি আর্মড ফোর্সেস অব কলম্বিয়া) বিদ্রোহীদের সঙ্গে ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তি সম্পাদনের জন্য তাঁকে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। এছাড়াও, সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসাবে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশের মধ্যে ছিটমহল বিনিময় চুক্তি ছিল মানবাধিকার সুরক্ষার আরও একটি যুগান্তকারী ঘটনা। ৬৮ বছর দেশহীন থাকা অর্ধ লক্ষ মানুষ দেশের পরিচয় পেয়েছেন শেখ হাসিনার দক্ষ কূটনৈতিক সফলতার মাধ্যমে।


অভিজ্ঞতা, প্রজ্ঞা, মেধা, বিচক্ষণতা, আত্মপ্রত্যয় ও দুরদর্শিতার কারণে তিনি এখন বিশ্ব নেত্রী। বিশ্ব বিখ্যাত ফোর্বস ম্যাগাজিন জরিপে বিশ্বের ৪৭তম ক্ষমতাধর নারী শেখ হাসিনা। যুক্তরাষ্ট্রের সাময়িকী ফরচুনে প্রকাশিত তালিকা মতে, বিশ্ব সেরা ৫০ নেতার মধ্যে শেখ হাসিনা দশম স্থানে। ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক নিউইয়র্ক টাইমস সাময়িকীর জরিপে বিশ্বের সেরা প্রভাবশালী ও ক্ষমতাধর নারী নেতৃত্বের মধ্যে তিনি ৭ম স্থানে ছিলেন। ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি বলেছেন, শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন ঘটেছে। কানাডার আর্ন্তজাতিক উন্নয়ন মন্ত্রী মেরী ক্লদ বিবেউ বলেছেন, শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়নে দক্ষিণ এশিয়ার স্তম্ভ। যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন অ্যাফেয়ার্স সাময়িকীতে মানবজাতির উন্নয়ন ও কল্যাণের বিভিন্ন ক্ষেত্রে মৌলিক চিন্তা, গবেষণা, উদ্ভাবন, সৃষ্টি ও আকর্ষণমূলক কাজের জন্য বিশ্বের যে ১০০ শীর্ষ ব্যক্তির তালিকা করা হয় সেখানে শেখ হাসিনার অবস্থান ১৩তম।


প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ৩০টি পুরস্কার ও পদক অর্জন করেছেন। উল্লেখযোগ্য, ২০১৬ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন ও তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য জাতিসংঘ 'ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ফর আইসিটি' পুরস্কার এবং ২০১৫ সালে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক সর্বোচ্চ পুরষ্কার ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ’লাভ করেছেন। এ বছরই শেখ হাসিনা রাজনীতিতে নারী পুরুষের বৈষম্য কমানোর ক্ষেত্রে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালনের জন্য ডব্লিউআইপি (ওম্যান ইন পার্লামেন্ট) গ্লোবাল অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। ২০১৪ সালে নারী ও শিশু শিক্ষা উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য ইউনেস্কো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘শান্তিবৃক্ষ পদক’পুরস্কারে ভূষিত করে। ২০১৩ সালে খাদ্য নিরাপত্তা এবং ক্ষুধা ও দারিদ্র্য বিমোচনে বিশেষ অবদানের জন্য জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর সাউথ-সাউথ কো-অপারেশন, ‘ডিপ্লোমা অ্যাওয়ার্ড’পদকে ভূষিত করে শেখ হাসিনাকে। ২০১২ সালে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য রক্ষা এবং সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে বিশেষ অবদানের জন্য কালচারাল ডাইভারসিটি পদকে ভূষিত করে। ২০১১সালে ইংল্যান্ডের হাউস অব কমন্সের স্পিকার জন ব্রেক্রো প্রধানমন্ত্রীকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে দূরদর্শী নেতৃত্ব, সুশাসন, মানবাধিকার রক্ষা, আঞ্চলিক শান্তি ও জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সচেতনতা বৃদ্ধিতে অনবদ্য অবদানের জন্য গ্লোবাল ডাইভারসিটি অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেন। একই বছর স্বাস্থ্য খাতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে নারী ও শিশু মৃত্যুর হার কমানোর ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) সাউথ নিউজ এবং জাতিসংঘের আফ্রিকা সংক্রান্ত অর্থনৈতিক কমিশন যৌথভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সাউথ সাউথ এ্যাওয়ার্ড-২০১১ : ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট হেলথ এই পুরস্কারে ভূষিত করে। শিশুমৃত্যু হ্রাস সংক্রান্ত এমডিজি-৪ অর্জনের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতিসংঘ ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে। ২০১০ সালেই বিশ্বখ্যাত ‘ইন্দিরা গান্ধী শান্তি পদক-২০০৯’এ ভূষিত হন প্রধানমন্ত্রী। ১৯৯৮ সালে নিখিল ভারত শান্তি পরিষদ শান্তি ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠায় অবদানের জন্য শেখ হাসিনাকে ‘মাদার তেরেসা পদক’এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অনন্য অবদান রাখার জন্য ইউনেস্কো শেখ হাসিনাকে ‘ফেলিঙ্ হুফে বইনি’শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করে। এই পার্বত্য শান্তি চুক্তির জন্য ১৯৯৯ সালে শেখ হাসিনার নাম নোবেল শান্তি পুরস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় এসেছিল।


তিনি আপন যোগ্যতার স্ব-মহিমায় বিশ্বের শতকোটি মানুষের হৃদয়ে অধিষ্ঠিত। ইউরোপীয় পিস অ্যান্ড রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশনের (EUPRA) দ্যানিয়েলা ইরিরা নোবেল কমিটিকে দেয়া চিঠিতে বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে শরণার্থী সমস্যা বিশ্বশান্তির জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। বাংলাদেশ দারিদ্র থেকে উঠে আসার সংগ্রামরত একটি দেশ। নানা অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সত্ত্বেও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমারের মুসলিম রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে প্রমাণ করেছেন, ‘মানবতা’র শক্তি কতো বড়। শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন মানবিক হবার পূর্বশর্ত ধনী হওয়া নয়। শেখ হাসিনা সীমানা সীল করতে পারতো, যেমনটি ভারত করেছে। ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর নন ভায়োলেন্ট কনফ্লিক্ট (ICNCC) এর মেরি এলিজাবেথ কিং লিখেছেন, ‘এই মুহূর্তে বিশ্বে দু’জন বিশ্বমাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন, অ্যাঙ্গেলা মেরকেল ও শেখ হাসিনা। দুজনই শান্তির জন্য অসম্ভব ঝুঁকি নিয়েছেন। দুই নেতাকে দিয়ে বিশ্বকে এক সুতোয় গাঁথার ছবিটি কেন আমরা নষ্ট করব।’ ইউনিভার্সিটি অব অসলোর রেক্টর সেভিন স্টোলেন তাঁর মতামতপত্রে বলেছেন, ‘নোবেলের উইলের সঙ্গে সামাঞ্জস্যপূর্ণ প্রার্থী পাওয়া গেল অনেক বছর পর। অ্যাঙ্গেলা মেরকেল যদি সিরিয়ার শরণার্থীদের না নিতেন তাহলে কি হতো, তারা যুদ্ধ করতো। যুদ্ধ যত দীর্ঘ হতো তত বাড়তো মানুষের লাশ। একই ভাবে শেখ হাসিনা যদি মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের না নিতেন, তাহলেও যুদ্ধ হতো। এই যুদ্ধে শুধু আমাদের মানবিক বির্পযয় দেখতে হতো।' প্রসঙ্গত, ২০১২ সালেই শেখ হাসিনা বিশ্ব শান্তির দর্শন ‘জনগণের ক্ষমতায়ন’জাতিসংঘে সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হলে, নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য তাঁর নাম বিবেচনায় আসে।


বর্তমানে রোহিঙ্গা ইস্যুতে মানবিকতা এবং শান্তির অনন্য নজির স্থাপনের জন্য অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও আর্ন্তজাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধীনে পরিচালিত হয় ‘অক্সফোর্ড নেটওয়ার্ক অব পিস স্টাডিজ’, সংক্ষেপে এটাকে বলা হয় অক্সপিস। অক্সপিসের দুজন শিক্ষাবিদ ড. লিজ কারমাইকেল এবং ড. অ্যান্ড্রু গোসলার মনে করেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যেভাবে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে, সেটা সারা বিশ্বের জন্য এক অনুকরণীয় বার্তা। তাঁদের মতে, ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলো যখন শরণার্থী নিয়ে নানা সমস্যায় জর্জরিত, তখন বাংলাদেশ দেখাল কীভাবে এই সমস্যার মোকাবেলা করতে হয়। এরা দুজনই শেখ হাসিনাকে ‘মানবিক বিশ্বের প্রধান নেতা’হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে শেখ হাসিনার মানবিকতা, নেতৃত্ব, ধৈর্য ও সাহস বিশ্বময় প্রশংসিত হয়েছে। সকলের বিশ্বাস বর্তমান বিশ্বে শান্তি, অহিংসা ও মানবতার জন্য যদি নোবেল শান্তি পুরস্কার দিতে হয় তাহলে শেখ হাসিনাই তাঁর যোগ্যতম প্রার্থী।


অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ইন ক্যানবেরার অধীনে পরিচালিত, পিস অ্যান্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউটের প্রধান ড. হেনরিক উরডাল মনে করেন, ‘বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদানের জন্য শেখ হাসিনাকেই বিশ্ব শান্তির নেতার মর্যাদা দেয়া উচিত। সত্যিকার অর্থেই যদি শান্তিতে অবদানের জন্য কোনো পুরস্কার থাকে, তা হলে সে পুরস্কার পাবার একমাত্র যোগ্য ব্যক্তি হলেন শেখ হাসিনা।’


লেখক: আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট


বিবার্তা/মৌসুমী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com