
‘অসমাপ্ত মুক্তিযুদ্ধ’কথাটি শুনে আমরা মোটেই অভ্যস্ত নই। বিশেষত নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধ মানে ১৯৭১। এখানেই সফল হয়েছে ইতিহাস বিকৃতির ধারা। তাই বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা যখন স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর প্রকৃত ইতিহাস রচনা নিয়ে হতাশার কথা ব্যক্ত করেন, তখন অনেকেরই বলার মতো কিছু থাকে না।
বিশ্বের কোনো দেশেই শাসন ক্ষমতার পরিবর্তন হলে ইতিহাস, ঐতিহ্য ও প্রচলিত ধারাবাহিকতার এত আমূল পরিবর্তন হয় না, যা ঘটেছে এই বাংলাদেশে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকাণ্ডের পর। স্বাধীনতা-বিরোধীদের কাছে শুধু ব্যক্তি বঙ্গবন্ধু লক্ষ্য ছিল না, তাদের উদ্দেশ্য ছিল বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তথা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সমাপ্তি টানা। যা তারা সম্ভবত সফলভাবেই করতে পেরেছে।
ব্যক্তি বঙ্গবন্ধু লক্ষ্য ছিল না বলেই ৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর থেকে ঘড়ির কাঁটা উল্টো ঘুরতে শুরু করে। মুক্তিযুদ্ধ প্রতিস্থাপিত হয় স্বাধীনতা যুদ্ধ দিয়ে, জয় বাংলা - জিন্দাবাদ দিয়ে। বাঙালি জাতীয়তাবাদ রূপান্তরিত হয় বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে। কলমের খোঁচায় বন্ধ হয় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার। অন্তর্ভুক্ত হয় কলঙ্কিত ইনডেমনিটি অ্যাক্ট। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশকে ধর্মান্তরিতও করা হয়।
ইতিহাস বিকৃতি স্বাধীনতাবিরোধীদের একটি সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা। যার প্রকৃত কারণ ছিল এ জনগোষ্ঠীর শেকড় উপড়ে ফেলে মানসিকতার পরিবর্তন ঘটানো। বর্তমান সময়ের সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ তারই ফলাফল। ইতিহাস বিকৃতির প্রসঙ্গ আনলে ঘটনাবলীর তালিকা অনেক দীর্ঘ হবে। কিছু বিষয়ের উপর আলোকপাত করছি, যা আড়াল করা হয়েছে বা প্রজন্মকে জানতে দেয়া হয়নি কিংবা আমরা জানাতে ব্যর্থ হয়েছি।
মুজিব বাহিনী ও সিভিল মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার
অনেকেই জেনে অবাক হয় যে, আমাদের মুক্তিযুদ্ধে মুজিবনগর সরকারের অধীন ওয়ার কাউন্সিলে সেনাবাহিনীর উপর কর্তৃত্বের ভূমিকা ছিল মুজিব বাহিনীর। প্রতিজন সেক্টর কমান্ডারের সমপর্যায়ের কমান্ডার ছিল মুজিব বাহিনী থেকে নিযুক্ত। মুজিব বাহিনীর কমান্ডারদের সেনাবাহিনীকে মনিটর করার ক্ষমতা ছিল। এভাবে সবচেয়ে বড় দুটি বাহিনীর অভূতপূর্ব সমন্বয়ের ফলে মুক্তিযোদ্ধারা ঠিক নয় মাসও নয়, সাড়ে আট মাসে দেশ স্বাধীন করতে সক্ষম হন।
আমাদের ইতিহাসে সেক্টর কমান্ডারদের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, কিন্তু কেউ কি জানে সমপর্যায়ের সিভিল মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারদের নাম?
ছয় দফা এবং মুক্তিযুদ্ধের সূচনা
আমাদের মুক্তিযুদ্ধ মূলত শুরু হয়েছিল ৬৬-এর ছয় দফার মাধ্যমে। বঙ্গবন্ধু ছয় দফাকে এক দফায় পরিণত করার কথা বলতেন। কারণ ছয় দফা দাবির পৃথক সেনাবাহিনী, পৃথক মুদ্রা, পৃথক কেন্দ্রীয় ব্যাংক তথা কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণহীনতা বিশ্বের কোনো রাষ্ট্র, কোনো সরকার মানতে পারে না। ছয় দফা হচ্ছে অসম্ভব দাবি, যা মেনে নেয়ার অর্থ রক্তপাতহীন স্বাধীনতা।
এ ছয় দফার কারণেই বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা হয়। অথচ ছয় দফা দাবিতে বঙ্গবন্ধু ছিলেন অটল। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার কথা বলা যায়। যার ফলে ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান ঘটে। পরবর্তিতে গুরুত্বপূর্ণ দুটি ঘটনা ঘটে, যা স্বাধীনতার প্রকাশ্য দাবি স্বরূপ।
একটি দেশের জাতীয় সঙ্গীত নির্ধারিত হয় স্বাধীনতার পরে, যেমন- ভারত জাতীয় সঙ্গীত নির্ধারণ করে স্বাধীনতার দুই বছর পর, ১৯৫০ সালে। পাকিস্তান ১৯৫৪ সালে।
পৃথিবীতে বাংলাদেশেই একমাত্র দেশ, যেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার সংগ্রাম শুরুর আগেই জাতীয় সঙ্গীত ও জাতীয় পতাকা নির্ধারণ করা করা হয়েছিল। স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর এ দু'টি পদক্ষেপ কতটা দুঃসাহসিক, ঝুঁকিপূর্ণ, গুরুত্বপূর্ণ ও দূরদর্শী তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
জিয়াউর রহমান: সফল ছদ্মবেশধারী:
জিয়াউর রহমান ছিলেন পশ্চিম পাকিস্তানে বেড়ে উঠা এবং পশ্চিম পাকিস্তানী হিসেবে সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়া একজন। ১৯৫৫ সালে পাকিস্তানে সৈন্য ছাড়া সেনা-কর্মকর্তাদের সংখ্যা ছিল ৯০৮ জন। ৯০৮ জনের মধ্যে বাঙালি ছিলেন মাত্র ১৪ জন এবং জিয়া এ ১৪ জনের অন্তর্ভুক্ত নয় । Source: Disparity between East and West Pakistan।
জিয়ার কর্মজীবন ছিল পশ্চিম পাকিস্তান কেন্দ্রিক এবং গোয়েন্দা হিসেবে সে দক্ষতার পরিচয় দান করে। ১৯৬৯ সালে জিয়াকে বাংলাদেশে পাঠানো হয় গণঅভ্যুত্থানের পর বিশেষ মিশন কার্যকর করতে। একটি ঘটনার উল্লেখ না করলেই নয়। ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধের পর এম এ জি ওসমানী কয়েকজন বাঙালি অফিসারদের তালিকা দিয়েছিলেন যারা পাক-ভারত যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য খেতাব পাওয়ার যোগ্য ছিল। পাকি-সেনাবাহিনী ওসমানীর সুপারিশকৃতদের একজনকেও পুরস্কৃত করেনি। অথচ জিয়াকে হিলাল-ই-জুরুত পদক দেয়া হয়। অন্যদিকে ১৯৭১-এর যুদ্ধে ভূমিকা রাখার জন্য পাক-বাহিনী মেজর জেনারেল আমীর হামজা খানকে হিলাল-ই-জুরুত পদক দেয়া হয়। এ সময় জিয়ার প্রাপ্ত হিলাল-ই-জুরুত পদক বাতিল করা য়ৌক্তিক হলেও তার পদক বাতিল করেনি পাক-বাহিনী। কেন বাতিল করেনি তার জবাব ৭৫-এর পরে আমরা পেয়েছি। কিন্তু জিয়াউর রহমান ও উইং কমান্ডার আমিনুল ইসলামকে ৭১-এ নজরদারিতে রাখার কথা কেউ বলে না। যুদ্ধ চলাকালে জিয়া সক্রিয় ছিল মাত্র দুই মাস। কামালপুর অপারেশনে সর্বাধিক সংখ্যক সেনাসদস্য নিহত হওয়ায় সন্দেহজনক ভূমিকা পরিলক্ষিত হওয়ায় তাকে নিষ্ক্রিয় করা হয়।
স্বাধীনতার পর মুজিব বাহিনীর অনেকে রক্ষীবাহিনী হয়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়। মুক্তিযোদ্ধা সেনাসদস্য ও পাকিস্তান ফেরত সেনাসদস্যদের মাঝে বিভক্তি সৃষ্টিতে সুচতুর ভূমিকা রাখে জিয়াউর রহমান। ৭৫ এর পর মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তারা জিয়ার চক্ষুশূল হয়ে দাঁড়ায় এবং অবৈধভাবে প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য জিয়া ১৩ জন সেক্টর কমান্ডারের ১০ জনকেই কৌশলে সরিয়ে দেয়। পাকিস্তান ফেরত কর্মকর্তাদের পদায়ন করা হয়। স্বাধীন বাংলাদেশে রাজাকারদের পুনর্বাসন এবং ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে জিয়ার নির্দেশে ক্যু এর অভিযোগে যাদের হত্যা করা হয় তাদের অধিকাংশ সেনা কর্মকর্তারাই ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা।
বঙ্গবন্ধুর সরকার স্বাধীনতার পর ১৪ জনকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়, তাদের একজন ব্রিগেডিয়ার জহুরুল আলম খান যে ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতারে নেতৃত্ব দান করে। ৭৫ এর পর জিয়া ১৪ জনকেই সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীতে আত্মীকরণ করে।
এ.কে. খন্দকার তার বইতে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে পাকবাহিনীর কাছে তথ্য পাঠানোর কথা উল্লেখ করেছে। সে লিখেছে, ‘উইং কমান্ডার আমিনুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিলেও পাক-বাহিনীতে তথ্য পাঠাত। পাকিস্তানী চর হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের সময় তাকে নজরদারিতে রাখা হয়।’ জিয়াউর রহমান ডিজিএফআই প্রতিষ্ঠা করে এই আমিনুল ইসলামকে ডিজিএফআই-এর প্রধান নিযুক্ত করেন।
তথাকথিত মুক্তিযোদ্ধা
বঙ্গবন্ধুর খুনীদের নাম পাকিস্তানের গুপ্তচর হিসেবে উল্লেখ না করে পরিচিতি দেয়া হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে। অথচ পাকিস্তানের পরাজয় যখন নিশ্চিত, ঠিক তখন স্বাধীনতার এক মাস আগে বঙ্গবন্ধুর খুনি রশীদ ও ৪ দিন আগে ফারুক যুদ্ধে যোগদান করে। বলার অপেক্ষা রাখে না যে পাক-বাহিনীর নির্দেশ ও পরামর্শ ছাড়া ৭১-এ ছুটি নিয়ে এসে মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করা হাস্যকর ও অসম্ভব বিষয়। ইতিহাস বিকৃতির তালিকায় সর্বশেষ নামটি এ.কে. খন্দকারের। সে যখন আফসোস করে লেখেন, বঙ্গবন্ধু কেন তার সাথে পরামর্শ করলো না তখন তার ভাবা উচিত যে সে ২০ বছর পর ১৯৬৯ সালে বাংলাদেশে এসেছিলেন। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যোগ দিয়ে পাকবাহিনীর গুপ্তচরবৃত্তি করার কথা এ.কে. খনদকারের স্বীকারোক্তিতেই জানা যায়।
কিংবদন্তী নেতাদের সন্তানদের কথা
বাঙালি হিসেবে আমাদের উদারতা সর্বজনবিদিত। তাই শেরে বাংলা এ.কে ফজলুল হকের মেয়ে রইসী বেগম ‘মুজিবকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি’ দেয়াসহ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিভিন্ন ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তৃতা বিবৃতির কথা ভুলে আমরা শেরে বাংলা এ.কে ফজলুল হককে শ্রদ্ধা করি। সোহরাওয়ার্দী যখন অপ্রাপ্তি ও রাজনীতিতে কোনঠাসা হয়ে যখন স্বেচ্ছা নির্বাসনে ছিলেন, তখন বঙ্গবন্ধু তাকে নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতি বানিয়ে রাজনীতিতে পুনর্জীবন দান করেন। তার মেয়ে বেগম আখতার সোলায়মান বেবী বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর আনন্দের প্রকাশ করে ভুট্টোকে চিঠি লেখে। আমরা উদার বলেই হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সম্মানের আসনে রেখেছি।
ইতিহাস বিকৃতিতে রাজাকার পুনর্বাসন
সেনাপ্রধান হওয়ার পর থেকেই জিয়া নিষিদ্ধ ঘোষিত রাজাকারদের পুনর্বাসন এবং মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করা ব্যক্তিদের কোণঠাসা করতে শুরু করে। জামায়াত-শিবির তাদের কর্মকাণ্ড শুরু করে। নাগরিকত্বহীন গোলাম আজমের সন্তানকে দেশের গৌরব সেনাবাহিনীতে নিয়োগ দেয়া হয়। হ্যাঁ/না ভোটের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে বৈধতা দিতে মাঠে নামিয়েছিলেন রাজাকার শাহ আজিজকে। ১৯৭৮ সালের ২৯ জুন উপদেষ্টা পরিষদ ভেঙে জিয়া ২৮ সদস্যের মন্ত্রীসভা গঠন করেন এবং বিশ্বের বিস্ময়ের মত প্রধানমন্ত্রী করা হয় শাহ আজিজকে। স্থান পায় ডেপুটি স্পীকার শাহেদ আলী হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত মোহন মিয়া ও রসরাজ মণ্ডল। এখানেই শেষ নয়। রাষ্ট্রীয় পদে আসীন করার পর ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর জিয়া ৭৬ সদস্যের বিএনপি নামের দল গঠন করেন তাতে তরুণ প্রজন্মকে পাকিস্তানপন্থী বানাতে ছাত্রদলের সমন্বয়কের ভূমিকাও অর্পণ করেন শাহ আজিজকে। তার গঠিত বিএনপি নীতি ও শর্ত ছিল একটিই - আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযুদ্ধ-বিরোধী হতে হবে।
এরশাদের আমলে অনুসরিত হয় একই ধারা। এভাবে ইতিহাস বিকৃতির দৃষ্টান্ত দেয়া হলে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লেখা যাবে। অপশক্তি সফল হয়েছে কারণ আমাদের জনগণের একটি অংশ ভুলে যেতে শুরু করে জাতির স্বাধীনতা, অধিকার আদায় এবং শাসন ও শোষণের মুক্তির দূত বঙ্গবন্ধুকে। আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধকে সমার্থক করে ফেলেছি। ৭ই মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু সুস্পষ্টভাবেই বলেছেন, মুক্তির সংগ্রাম ও স্বাধীনতার সংগ্রামের কথা। স্বাধীনতা অর্জনের পর বঙ্গবন্ধু মুক্তির সংগ্রামের কথা তাঁর বিভিন্ন ভাষণ, বিবৃতি ও সাক্ষাতকারে তুলে ধরেন। মুক্তিযুদ্ধের পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে ১৯৪৮ থেকে ১৯৭১ এ ২৪ বছরের মধ্যে ১৮ বার গ্রেফতার হয়ে ১৩ বছরের বেশি সময় বঙ্গবন্ধুকে কাটাতে হয়েছে কারাগারের অন্ধ প্রকোষ্ঠে। প্রতিদানে অপশক্তির বুলেট তাঁর শিশুপুত্র রাসেলকেও রেহাই দেয়নি!
প্রকৃতপক্ষে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা যুদ্ধ এক নয়। মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও পরিধি ব্যা পক এবং স্বাধীনতা যুদ্ধ মুক্তিযুদ্ধের একটি অন্যতম প্রধান অধ্যায়। স্বাধীনতার সংগ্রাম স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে সীমাবদ্ধ, অন্যদিকে সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাম্রাজ্যবাদ, অপশাসন, শোষনসহ সকল ক্ষেত্রে মুক্তি অর্জন করে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সংগ্রামের নাম মুক্তিযুদ্ধ। এ মুক্তিযুদ্ধ এখনো অসমাপ্ত।
বিবার্তা/জুয়েল/কাফী
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]