‘ফররুখ আহমদ বাংলাদেশের মাটি ও মানুষকে লালন করেছেন’
প্রকাশ : ৩০ জুন ২০২৪, ১৭:০০
‘ফররুখ আহমদ বাংলাদেশের মাটি ও মানুষকে লালন করেছেন’
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

কবি ফররুখ আহমদের ১০৬তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।


২৮ জুন, শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ফররুখ গবেষণা ফাউন্ডেশন এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।


ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক সিরাজ উদ্দীনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম।


আলোচনায় অংশ নেন অধ্যাপক ড. আবুল কাসেম হায়দার, সমাজ চিন্তক শাহ আবদুল হালিম, কালের ধ্বনির সম্পাদক কবি ইমরান মাহফুজ, কবি হাসান আলীম, লেখক গবেষক আহমদ মতিউর রহমান, মনোবিজ্ঞানী ডা. সৈয়দ রিপন আহমদ, কবিপুত্র ওয়াহিদুজ্জামান বাচ্চু প্রমুখ।


অধ্যাপক আজম বলেন, যারা নানাভাবে বিভাজনের শিকার হয়েছেন তাদের মধ্যে ফররুখ আহমদ একজন। রাজনৈতিক কারণেই এমনটা হচ্ছে যা মোটেও কল্যাণকর নয়। তিনি আরো বলেন, যে কথাটা ফররুখ চর্চাকে সঙ্কটাপন্ন করে তোলে তা হলো অকারণে বিরোধের মুখোমুখি হওয়া। অথচ তিনি বাংলা সাহিত্যের এক অমর কবি-প্রতিভা। তিনি জাতীয় জাগরণের অন্যতম প্রাণপুরুষ, পরাধীন যুগে অধঃপতিত বাঙালি মুসলিম নবজাগরণের অন্যতম রূপকার। কবিতায় ফররুখ আহমদ যে বড় কাজ করেছেন এটা স্বীকৃত। অন্তত ৭০-এর দশক পর্যন্ত মূলধারার কবি বা সাহিত্যিক তাদের প্রত্যেকেই ফররুখ আহমদকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেছেন। কিন্তু এ ধারায় গত দুই দশক ধরে একটা ব্যত্যয় তৈরি হয়েছে। ফররুখ আহমদ বাংলাদেশের মাটি ও মানুষকে লালন করেছেন। তিনি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান ও আধুনিক চার প্রধান কবির একজন। ভাষা বৈচিত্র্যে তিনি কোনো কোনো ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলকে ছাড়িয়ে গেছেন। তাকে অস্বীকার করে বাংলাদেশের সাহিত্য বা সাহিত্যের ইতিহাস সৃষ্টি সম্ভব নয়।


সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, ফররুখ জাতিসত্তা ও গণমানুষের কবি ছিলেন। তার কবিতায় বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের মানুষের জীবনচিত্র অসাধারণভাবে ফুটে উঠেছে। কবিতায় তিনি তুলে এনেছেন বাংলার শেকড় ও সংস্কৃতি। অথচ কাজী নজরুল ইসলাম, ইসমাইল হোসেন সিরাজী, কবি ফররুখ আহমদকে আমরা ইতিহাস থেকে বাদ দেয়ার চেষ্টা করছি, যা অন্যায়।


তারা বলেন, ভাষার ক্ষেত্রে ফররুখ অনেক ঋদ্ধতার পরিচয় দিয়েছেন যা তার কবিতাকে আলাদা বৈশিষ্ট্য দান করেছে। তিনি সনেট রচনায় ছিলেন অত্যন্ত পারঙ্গম, যার সমকক্ষতা খুঁজে পাওয়া কঠিন।


অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন আমিরুল মোমিন মানিক, তাওহিদুল ইসলাম, ও শিশুশিল্পী মিহফাজ উদ্দিন। আবৃত্তি করেন কবি লিলি হক, অধ্যাপিকা হাসনা হেনা, কবি আতিক হেলাল ও কবি রবিউল মাশরাফি।


অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন।


বিবার্তা/জবা

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com