
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) বাংলা বিভাগের উদ্যোগে বাংলা সংসদের সহযোগিতায় ১২৬তম নজরুল জন্মজয়ন্তী পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ মে) সকাল ১১ টাই বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের ক্লাস রুমে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তবর্তীকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম।
"আমি চিরতরে দূরে চলে যাব, তবু আমারে দেব না ভুলিতে”—এই স্লোগানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান উন্মেষ রায়ের সভাপতিত্বে আলোচনা করেন, সহযোগী অধ্যাপক ড. শারমিন আক্তার,সঞ্জয় কুমার সরকার ও মোহসিনা হোসাইন,সহকারী অধ্যাপক সাকিবুল হাসান, পম্পা রাণী মজুমদার, প্রভাষক তাইয়্যেবুন নাহার (মিমি)।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপাচার্য বলেন, উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৃজনশীল ও মননশীল সংগঠনগুলোর কার্যক্রমগুলোকে উৎসাহিত করছি এবং শিক্ষার্থীদের দাবির কথা মাথায় রেখে কাজ করে চলেছি।
বাংলা সংসদের ভিপি শহিদুল ইসলাম বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন বাংলার জাতীয় কবি, যিনি বিদ্রোহ, মানবতা ও ভালোবাসার প্রতীক। তাঁর কবিতা ও গান অন্যায়, শোষণ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ভাষা। "বিদ্রোহী" কবিতায় তিনি শোষকের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন। পাশাপাশি, সাম্য, প্রেম ও ধর্মীয় সম্প্রীতির বাণী ছড়িয়ে দিয়েছেন। নজরুল আমাদের জাতীয় চেতনার এক অমর কণ্ঠস্বর।
অনুষ্ঠানের সভাপতি উন্মেষ রায় বলেন, নজরুল ইসলাম জাতি,ধর্ম,জেন্ডার নির্বিশেষে মানুষের পরিচয় সন্ধানে যে চেষ্টা তাঁর লেখায় ও কর্মে ফুটে উঠেছে তা বাঙালি জাতির জন্য অনুকরণীয়। নজরুল ইসলামের চিন্তা যত বিশ্বজনীন হবে বাঙালি জাতিসত্তার সমন্বয়ী মনোভাব তত পরিচিতি পাবে বিশ্বে।
আলোচনার পরপরই শুরু হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। নজরুল সংগীত, আবৃত্তি ও নৃত্যে মুগ্ধ হয়ে শ্রোতারা যেন একসময় ফিরে যান কবির কাব্যজগতের গভীরতায়। শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় উঠে আসে ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’, ‘বিদ্রোহী’, ‘চল চল চল’-এর মতো কালজয়ী সৃষ্টির আবেদন।
বিবার্তা/মৃত্যুঞ্জয়/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]