সাক্ষাতকার
আগামী বছরে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সেশনজট মুক্ত হবে: উপাচার্য
প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০২৩, ১৭:৩৫
আগামী বছরে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সেশনজট মুক্ত হবে: উপাচার্য
মহিউদ্দিন রাসেল
প্রিন্ট অ-অ+

ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ফাজিল (স্নাতক) কোর্সের ২০২১ সালের তিন বর্ষের (প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয়) পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। সোমবার, ১৬ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে পরীক্ষা শেষের মাত্র ৪৫ দিনের মধ্যে এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়। যা অতীতে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে কখনো হয়নি। বিগত সময়ে ৬ মাস বা তারও বেশি সময় লাগতো ফলাফল প্রকাশে। ফলে নানামুখী উদ্যোগে ৪৫ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশের ঘটনা কুড়িয়েছে প্রশংসা।



এই বিষয়ে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ আব্দুর রশীদ বলেছেন, আমরা ৪৫ দিনের মাথায় ফাজিল প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের ফলাফল দিতে পেরেছি। এটা সফলভাবে করতে পারায় আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় যে বিষয়টা ছিল, সেটা সকলের আন্তরিক সহযোগিতা। আগে কেন এটা সম্ভব হয়নি, সেটা আমি বলতে পারবো না। কিন্তু আমরা পেরেছি আর ভবিষ্যতেও আমাদের এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সেশনজট আছে, ইতোমধ্যে সেটা দূরীকরণে আমরা এটাকে ক্র্যাশ প্রোগ্রামের আওতায় নিয়ে এসেছি। ২০২১ সনের পরীক্ষা হলেও ২০২২ ও ২০২৩ সনের পরীক্ষা দুটো আমাদের নিতে হবে। আশা করি, আগামী এক বছরের মধ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয় সেশনজট মুক্ত হবে, ইনশাআল্লাহ।


৪৫ দিনের মধ্যে ফাজিল ৩ বর্ষের ফলাফল প্রকাশের বিষয়ে জানতে চাইলে বিবার্তা২৪ডটনেটকে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন। আলাপে তিনি ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশনজট দূরীকরণে তার পরিকল্পনাসহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বছিলায় অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যালয়ে গিয়ে নানা বিষয়ে তার সাথে আলাপ করেছেন বিবার্তা প্রতিবেদক মহিউদ্দিন রাসেল।


ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশনজট সৃষ্টি হওয়ার বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ আব্দুর রশীদ বলেন, করোনার সময়কালে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো রিকভারি প্ল্যান করেছে। এমনকি আমি নিজেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন গুগল ফর্মে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিয়েছি, তাদের খাতা দেখেছি, নম্বর দেয়াসহ নানা কাজ করেছি। ফলে ওখানে সেশনজট হয় নাই। কিন্তু ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনাকালে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয় নাই। এই কারণসহ আরও নানান কারণে এখানে সেশনজট হয়েছে। শুধু তাই নয়, একটা সময় ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার অধীনে ছিল মাদরাসাগুলো। ওইখান থেকে উত্তরাধিকার সূত্রেও কিছু সেশনজট পেয়েছে।


সেশনজট দূরীকরণে উদ্যোগ নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আমি দেখলাম আমাদের সন্তানতুল্য শিক্ষার্থীদের জীবন থেকে ২/৩ বছর চলে যাচ্ছে। এটা তো খুবই খারাপ বিষয়। আর এই বিষয়টি মাথায় নিয়ে পরীক্ষাসহ অন্যান্য দফতরে যারা কাজ করে, তাদের নিয়ে বারবার মিটিং করা হয়েছে। তাদেরকে বলেছি- এই সমস্যা সমাধানে আপনারা সহযোগিতা করেন। অনলাইনেও জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে একাধিকবার মাদরাসার অধ্যক্ষদের সাথে আমরা কথা বলেছি। তাদের পরামর্শ দিয়েছি, সহযোগিতা চেয়েছি। এই সহযোগিতার পাশাপাশি আমরাও চিন্তা করতে থাকলাম, ধারবাহিকভাবে মিটিং করতে থাকলাম। আমাদের জিজ্ঞাসা ছিল, কীভাবে কোন জায়গায় কী সমস্যার কারণে- এটা হচ্ছে? এরপর পরীক্ষার রুটিন দিয়ে দিলাম। দ্রুত কীভাবে মোডারেশন করা যায় সেই বিষয়েও ব্যবস্থা নিলাম, প্রশ্ন কীভাবে দ্রুত পাওয়া যায় সেই বিষয়েও কাজ করলাম। আবার বিজি (বাংলাদেশ গভর্মেন্ট) প্রেসে স্লট নেওয়াটা খুব কঠিন। কারণ সরকারি প্রকাশনা হওয়ায় তারা নানা কাজে ব্যস্ত থাকে। এরপরেও সেখানে স্লট নেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা সহযোগিতা চাইলাম, পেলামও।


আগে ফলাফল প্রকাশে দীর্ঘসূত্রিতার বিষয়ে তিনি বলেন, রেজাল্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রিতা কেন হয়? সেটা নিয়ে আমরা ভাবলাম। এর প্রথম কারণ হলো- পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর খাতা বিতরণ শুরু হয়। সেখানে দেখলাম দেড় মাস সময় চলে যায়। এরপর প্রথম পরীক্ষক, দ্বিতীয় পরীক্ষকের কাছে যে খাতা পাঠান, সেখানে খাতা ডাকে যেতে এক সপ্তাহ আর আসতে এক সপ্তাহ, আবার আরেক পরীক্ষকের কাছে যেতে এক সপ্তাহ আর আসতে এক সপ্তাহ অর্থাৎ এখানে একটা মাস অতিরিক্ত খরচ হয়। আমরা চিন্তা করলাম- পরীক্ষকদের নির্ধারিত সময় আমরা কমাব না, তারা শান্তিমতো খাতা দেখুক। কিন্তু খাতা যাওয়া-আসার গ্যাপগুলো কীভাবে পূরণ করতে পারি? সেটা আমাদের ভাবাল। পরীক্ষার খাতাগুলো এক জায়গায় আসলে অনেকে ভুলভাবে পাঠায়! সব খাতার প্যাকেটগুলো এক জায়গায় সিরিয়াল করে কোড নম্বর অনুযায়ী এগুলোকে সাজাতে হয়। আর সাজাবার পরে এগুলোকে বিতরণ করতে হয়। এখানে প্রচুর পরিমাণ লেবার ও গোডাউনের প্রয়োজন হয়।


ড. মুহাম্মাদ আব্দুর রশীদ বলেন, একটা বিষয় আমি চিন্তা করলাম, আমার প্রথম পরীক্ষাটা হয়ে গেল। নিশ্চয় ওই দিনের মধ্যে তারা খাতা ডাকে দিবেন, এটা আইন। আর এটা দিলেও ঐ খাতাটা আসতে সর্বোচ্চ ৭/১০ দিন লাগবে। কিন্তু আমি যাতে ১১তম দিনে খাতাটা বিতরণ করতে পারি সেজন্য সংশ্লিষ্ট পরীক্ষকদের আসতে বললাম। তাদেরকে এটাও বললাম, আমাদের যেহেতু ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চলছে, আপনারা কষ্ট করে একটু আসেন। এই উদ্যোগ নেওয়ায় আমার সুবিধা হয়েছে, পরীক্ষা শেষ হয়ে যেদিন খাতা পেয়েছি, পরের দিন ঐটা বিতরণ করে দিয়েছি। এক্ষেত্রে শেষ পরীক্ষা হওয়ার ১১ দিনের মধ্যে খাতা বিতরণ শেষ।


এক্ষেত্রে প্রথম পরীক্ষকের কাছে যাওয়া ৭ দিন, ওইখান থেকে আবার ৭ দিন, এই সময়টাকে আমি ম্যানেজ করেছি আর নির্দেশনা দিয়েছি এক পরীক্ষক খাতা আরেকজনকে পৌঁছে দেবেন অথবা অপরজন নিয়ে নেবেন অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকট সমাধানের জন্য আপনারা একটু কষ্ট করেন। এভাবে এখানের সময়টুকু আমরা কমাতে পেরেছি।


নির্দিষ্ট একটা বিষয়ের নম্বর পাওয়ার সাথে সাথে সেটার কাজ করা হয়েছে জানিয়ে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, পরীক্ষার যে খাতার নম্বর পাওয়া যাচ্ছে সেটা স্ক্যান করে রেজাল্ট শিট তৈরি করতেছিলাম সাথে সাথে। আগে সমস্ত কিছু আসবার পরে এই কাজ শুরু হত। কিন্তু আমাদের পরিকল্পনা ছিল, যেটা পাওয়া যাচ্ছে সেটাকে আমরা সার্ভারে নিয়ে রাখি। এভাবে রাত ১টা/ দেড়টা পর্যন্ত আমাদের স্ক্যান চলত অর্থাৎ এটা আজকেই আসছে, আর আজকেই আমরা এটার স্ক্যান শেষ করতে চেয়েছি। আর এই কার্যক্রমগুলো সফলভাবে করতে পারার কারণে যে কাজে আমাদের আগে সময় লাগত ৬ মাস, সেটা এখন ৪৫ দিনে করা সম্ভব হয়েছে। আর এটা সম্ভব হয়েছে পরীক্ষা শাখাসহ সংশ্লিষ্ট যারা আছেন তাদের পরিশ্রম ও কষ্টের ফলে। আমি হয়তো তাদের নেতৃত্ব ও দিক নির্দেশনা দিয়েছি। কিন্তু কন্ট্রোলার মহোদয়সহ পরীক্ষা সেকশনে যারা আছেন, পরীক্ষকগণ, প্রশ্নকর্তা, বিজি প্রেসসহ সংশ্লিষ্ট সবাই সহযোগিতা করেছেন বলে এটা সম্ভব হয়েছে।


ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটা দ্বীনি প্রতিষ্ঠান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের উপহার দিয়েছেন। এর আগে এই বিষয়ে আলেম-ওলামাদের শত বছরের দাবি থাকলেও কেউ পূরণ করেননি। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা এটি পূরণ করেছেন। এজন্য তাঁকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। কিন্তু তিনি যে দীর্ঘদিনের কাঙিক্ষত দাবি পূরণ করেছেন, সেই বিশ্ববিদ্যালয় কি শুধু নামেই হবে? কখনোই না! এটি যেন পূর্ণাঙ্গ, আধুনিক, যুগোপযোগী, অসাম্প্রদায়িক, শান্তিপ্রিয় এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ জাতি গড়তে সহায়তা করতে পারে- সেটাই আমাদের স্বপ্ন। আর এই কাজটা ত্বরান্বিত করার জন্য আমরা চেষ্টা করছি।


প্রধানমন্ত্রীও হয়তো এতো কম সময়ে রেজাল্ট দেওয়ার বিষয়ে শুনেছেন এবং খুশিও হয়েছেন। ভবিষ্যতে আমরা যাতে এভাবে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে সাজিয়ে উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারি, তাহলে সেটা শুধু আমাদের জন্য নয়, বরং পুরো জাতির জন্য ভালো উদাহরণ হবে। এক্ষেত্রে যেটা দরকার সেটা হলো সকলের একনিষ্ঠতা। কারণ একটি রশির যেখানটায় ছেঁড়া থাকে, শক্তি সেখানটায় দুর্বল থাকে। অতএব, সকলের সমান অংশগ্রহণ ও আন্তরিকতার মাধ্যমে এই কাজটি সম্ভব। ৪৫ দিনে রেজাল্ট দেওয়া এই কারণে সম্ভব হয়েছে। আশা করি এই সহযোগিতার ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। আর এভাবেই যদি সবাই সহযোগিতা করেন, তাহলে কোন সেশনজট থাকবে না। আগামী এক বছরের মধ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয় সেশনজট মুক্ত হবে। তখন আমাদের প্রায় ৩ লক্ষ শিক্ষার্থীকে সেশনজটের কবলে পড়ে তাদের মূল্যবান সময়টা আর নষ্ট হবে না। কিন্তু কেউ যদি নিজের সাথে নিজে প্রতারণা করেন অর্থাৎ নিজের কাজটা না করেন, তাহলে সেটি আর করা সম্ভব নয়।


সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে ড. মুহাম্মাদ আব্দুর রশীদ বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে এই রেজাল্ট দিতে পারায় আমি সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। ভবিষ্যতে আমরা আমাদের সন্তানদের জীবন থেকে মূল্যবান সময় নষ্ট হতে দেবো না, এটাই লক্ষ্য। আর সেই চেষ্টাটা আমাদের আছে। একইসাথে মাদরাসাগুলোকেও বলা আছে পরীক্ষা হওয়ার পর দিন থেকে আপনারা পরবর্তী ক্লাস শুরু করে দিবেন। রেজাল্ট ও ভর্তি হওয়ার প্রক্রিয়া চলবে। কিন্তু ওরা তো অধিকাংশই পাস করবে। কিছু হয়তো ঝরে যাবে। আর ঝরে পড়ার কারণ হচ্ছে ক্লাসে না আসা। এক্ষেত্রে শিক্ষকদের বলেছি, আপনারা কোর্স ঐভাবে করবেন, প্রয়োজনে বেশি ক্লাস নেবেন। ক্লাস টাইমের বাহিরেও প্রয়োজনে অনলাইনে ক্লাস নিবেন অর্থাৎ দ্রুত কোর্সগুলো শেষ করবেন মানসম্মতভাবে। এভাবেই আমাদের কাজ চলছে। আর আমি মনে করি সকল অধ্যক্ষ, মাদরাসার সাথে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ গণমাধ্যমও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিবাচকতা বয়ে আনতে ভূমিকা রাখছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজাল্ট ৪৫ দিনে দিতে পারায় খবর প্রচারিত হলে এটার তো একটা পজিটিভ প্রভাব পড়েছে। যেটা ধরে রাখতে সকলের সহযোগিতা আশা করছি। আমরা আমাদের মেধা-মননশীলতা দিয়ে নিজেদের দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করছি।


উল্লেখ্য, অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ আব্দুর রশীদকে মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে ৫ এপ্রিল তিনি এই পদে যোগদান করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের এই অধ্যাপক নিজ বিভাগের চেয়ারম্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট মেম্বার, ঢাবির কবি জসীম উদ্‌দীন হলের প্রভোস্ট, ড. সিরাজুল হক গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালকসহ বিভিন্ন দায়িত্ব সফলতার সাথে পালন করেছেন। শুধু তাই নয়, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিও।


বিবার্তা/রাসেল/রোমেল/এমজে

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com