নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর আট থানার পৃথক আট মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদসহ ১১০ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
৩১ ডিসেম্বর, রবিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
দশ বছর আগে ধানমন্ডি থানার মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব, জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদসহ আটজনের পৃথক দুই ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালত এ রায় দেন।
পাশাপাশি তাদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে একসঙ্গে সাজা চলবে বিধায় তাদের দুই বছরের কারাভোগ করতে হবে। দণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন- ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, বিএনপির হারুন অর রশিদ, ওবায়দুল হক, শহীদুল ইসলাম হীরা ও ইব্রাহিম।
২০১৩ সালের ১ ডিসেম্বর বিএনপি-জামায়াত জোটের হরতাল অবরোধ চলাকালে রাজধানীর ধানমন্ডি থানার সাত মসজিদ রোডে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা বেআইনি সমাবেশ করেন ও একটি যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগ করেন। এ ঘটনায় ধানমন্ডি থানার এসআই আব্দুল্লাহ আল মামুন ফরাজী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। ২০১৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। মামলার বিচার চলাকালে ১৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ছয়জনের সাক্ষ্য নেন আদালত।
২০১৫ সালের জানুয়ারিতে খিলক্ষেত থানায় দায়ের করা একটি নাশকতার মামলায় বিএনপির ১০ নেতাকর্মীকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মইনুল ইসলাম এ রায় দেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন ফজলুল হক ফজলু, জহির উদ্দিন বাবু, সালাউদ্দিন দর্জি, মো. শিশির, দেলোয়ার হোসেন, তুহিন, মাহফুজুর রহমান সজিব, আনিস, হাবিব উল্লাহ ও আনোয়ার।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা একটি নাশকতার মামলায় ৯ জনকে দুই বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মইনুল ইসলাম এই রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সাঈদ আহমেদ রানা, সাইদুর রহমান লিটন, মো. সুজন, আলমগীর, রজ্জব আলী পিন্টু, মোল্লা জজ, মামুন, আশরাফুল আমিন ও আনোয়ারুল আজিম।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে কামরাঙ্গীরচর থানায় দায়ের করা মামলায় ১২ আসামিকে দণ্ডবিধির ৩টি ধারায় সাড়ে চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে একসঙ্গে সাজা চলবে বিধায় তাদের দুই বছরের কারাভোগ করতে হবে। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জাবেদ, মোহাম্মদ সায়েম, মোহাম্মদ নাঈম, গাফফার, দেলোয়ার হোসেন, শামীম কবীর হোসেন ওরফে মুলা কবীর, সোহেল আরমান জামাল ওরফে ভূত জামাল, টাঁকি বাবু, মো. দুলাল ও বক্সার বাবু।
২০১২ সালে শাহবাগ থানায় দায়ের করা এক মামলায় ২৬ বিএনপি নেতা কর্মীকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেন এই রায় দেন। ২০১২ সালের জুলাইতে মতিঝিল থানায় দায়ের করা মামলায় ১৮ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শান্তা আক্তার এ রায় দেন।
এছাড়া ২০১০ সালের হাজারীবাগ থানার মামলায় ২২ জামায়াত নেতাকর্মীর তিন বছরের কারাদণ্ড ও ২০১৭ সালের শাহজাহানপুর থানার মামলায় বিএনপির পাঁচ নেতাকর্মীর ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]