গৎবাঁধা কিছু বলয় নিয়ে ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র ঐক্য' করা হয়েছে : ইরান
প্রকাশ : ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ২৩:১৫
গৎবাঁধা কিছু বলয় নিয়ে ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র ঐক্য' করা হয়েছে : ইরান
মোহাম্মদ ইলিয়াস
প্রিন্ট অ-অ+

‘বাংলাদেশে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের ইতিহাস অনেক বড়। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন ছাত্ররা করেছে, মহান মুক্তিযুদ্ধে ছাত্ররা অনেক ভূমিকা রেখেছে। '৯০ সালে স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র ঐক্য হয়েছে, অনেক ছাত্রনেতারা সেসময় ঐক্যবদ্ধভাবে দাবি নিয়ে কাজ করেছে। '৯৮ সালে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য গঠন করেছিলাম। সেখানে ছাত্রদল-ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ অনেক ছাত্র সংগঠন ছিল। আমরা ভেবেছিলাম ছাত্রদলের নেতৃত্বে সমস্ত ছাত্র সংগঠনকে নিয়ে একটি প্ল্যাটফর্ম গড়ে উঠবে। কিন্তু আমরা দেখেছি সেই প্রত্যাশা পূরণের ছাত্রদল সফল হয়নি। অনেক ছাত্র সংগঠন এই প্লাটফর্মের বাইরে আছে। এমনকি বিএনপির সাথে আন্দোলনরত অনেক ছাত্র সংগঠনকে রাখা হয়নি। গৎবাঁধা কিছু বলয়কে নিয়ে ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র ঐক্য' গঠন করা হয়েছে।’


কথাগুলো বলেছেন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান। তিনি লেবার পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই রাজনীতিবিদ বিবার্তার সাথে একান্ত আলাপচারিতায় দেশের সাম্প্রতিক রাজনীতির নানা বিষয়ে কথা বলেছেন। তার সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বিবার্তার নিজস্ব প্রতিবেদক মোহাম্মদ ইলিয়াস।


বিবার্তা: দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আপনার মূল্যায়ন জানতে চাই?


মোস্তাফিজুর রহমান ইরান: দেশ আজ চরম ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ক্রমান্বয়ে দুর্নীতি, লুটপাট, অর্থপাচার এবং দলীয়করণের মাধ্যমে দেশের সর্বস্তরে দুর্নীতিকে ক্যান্সারের মতো বিস্তার ঘটিয়েছে। এখন দুর্নীতি মহামারি আকার ধারণ করেছে।


আমরা দেখেছি উন্নয়ন ও মেগা প্রকল্পের নামে মেগা লুট হয়েছে, পুকুর চুরি হয়েছে, সাগর চুরি হয়েছে। সে টাকা বিভিন্ন দেশে পাচার করেছে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাকর্মী এবং সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।


আমরা গণমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি যুক্তরাষ্ট্রে অসংখ্য বাড়ির মালিক আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রী ও সরকারি কর্মকর্তারা। মালয়েশিয়াতে সেকেন্ড হোম তৈরি করা হয়েছে। এসবের সাথে সরকারি লোকজন জড়িত বলেই তা প্রকাশ করা হচ্ছে না। এ কারণেই সরকার এ বিষয়গুলো এড়িয়ে চলছেন।


আজকে দেশের অর্থনীতির এতটাই দুরাবস্থা হয়েছে, দ্রব্যমূল্য আকাশচুম্বী। মুদ্রাস্ফীতির কারণে টাকার মান তলানিতে ঠেকেছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষকে নিয়ে চিন্তা করার মত সময় সরকারের নেই। তারা তাদের অবৈধ ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য ব্যস্ত। তারা বিরোধী দলকে দমন করার জন্য ব্যস্ত।


বিবার্তা: মার্কিন ভিসা নীতি আমলে নিচ্ছে না সরকার। এদিকে বিরোধী দলের আন্দোলনেও গতি নেই। এই পরিস্থিতিতে বিরোধী দলগুলোর পরবর্তী অবস্থান কী হবে?


মোস্তাফিজুর রহমান ইরান: মার্কিন ভিসানীতি মার্কিনদের একটি পদক্ষেপ। আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন করছি। বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই, ভোটাধিকার নেই, দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার নেই।


বাংলাদেশ একটি অকার্যকর রাষ্ট্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। যার কারণে তারা (আমেরিকা) বাংলাদেশসহ বিভিন্ন অগণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকে ভ্রমণসহ বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকে। আমি মনে করি তাদের (আমেরিকা) রুটিন ওয়ার্ক এবং এ সরকারের বিভিন্ন অপকর্মের জন্য ভিসা নীতি এসেছে।


আর সরকারের এমপি-মন্ত্রীরা এটাকে যে পাত্তা দিচ্ছে না; এতেই বোঝা যায় তাদের ওপর অনেক বেশি প্রভাব পড়েছে। আওয়ামী লীগ যা বলে তা করে না এবং যা করে তা বলে না। আজকে এমপি মন্ত্রীরা যে সকল কথাবার্তা বলছে- এটা তাদের নেতাকর্মীদের ভয় কাটানোর জন্য বলছে।


মূলত তারা এখন ভিসা নীতি দেখে যথেষ্ট ভীত-সন্ত্রস্ত। এজন্য অসংখ্য মানুষের অর্থ দণ্ড হবে, আমেরিকায় যেতে পারবে না। এছাড়া বিভিন্ন দেশেও যেতে পারবে না। ওখানে যারা বসবাস করছে তাদের ভিসা ক্যান্সেল হবে, বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।


বিবার্তা: বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বিদেশে চিকিৎসাই নিশ্চিত করতে পারছে না বিএনপি। তাহলে সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি কীভাবে আদায় করবে বলে আপনি মনে করছেন?


মোস্তাফিজুর রহমান ইরান: বিএনপি নেতাকর্মীরা তাদের নেত্রীকে মুক্ত করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে যাচ্ছে। বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক দল। তারা গণতান্ত্রিক উপায়ে সমস্ত নিয়ম-নীতি মেনে প্রতিবাদসহ বিভিন্নভাবে তাদের দাবি আদায়ের জন্য চেষ্টা করছে।


বর্তমান সরকার হচ্ছে একটি ফ্যাসিবাদী সরকার। ফ্যাসিবাদ কখনো গণতান্ত্রিক দাবির তোয়াক্কা করে না। বিএনপি জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলনে যায়নি এটা খুব ভালো করেছে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তারা তাদের দাবি আদায় করতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি।


বিবার্তা: যুগপৎ আন্দোলনের চূড়ান্ত কর্মসূচি সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরে গিয়েছে, এখন শোনা যাচ্ছে নভেম্বরে হবে। তাহলে কি ঈদের পরে আন্দোলন সেই দিকেই হাঁটছে বিএনপি?


মোস্তাফিজুর রহমান ইরান: মার্চ মাস থেকে যুগপৎ আন্দোলন শুরু হয়েছে। এর আগে আমরা ২০ দলীয় জোটে একত্রে কাজ করেছি। গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করেছি। আমাদের দাবি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন। নির্বাচনের জন্য একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবি করেছি। সেই দাবিতে আমাদের যুগপৎ আন্দোলন চলছে।


আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস যথা সময়েই চূড়ান্ত আন্দোলন হবে এবং গণবিস্ফোরণ ঘটবে।


মাস বা তারিখ দিয়ে আন্দোলন হয় না। আন্দোলনের চূড়ান্ত সীমায় আমরা রয়েছি। এখান থেকে পিছ’পা হওয়ার সুযোগ নেই। আমাদেরকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।


আমি বলবো, আমাদের যে সকল নেতাকর্মী রয়েছে বিএনপি থেকে শুরু করে সমস্ত গণতন্ত্রকামী শক্তি হচ্ছে আমাদের নেতাকর্মী। তারা উন্মুখ হয়ে রয়েছেন সামনের কর্মসূচি কী হবে এবং সেই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে জনগণের যে কাঙ্ক্ষিত দাবি নির্দলীয় সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন তা পূরণ করতে পারবো ইনশাল্লাহ।


বিবার্তা: বিএনপি'র একটি অংশ নির্বাচনে যাওয়ার জন্য আগ্রহ দেখাচ্ছে- বিষয়টি কিভাবে দেখছেন?


মোস্তাফিজুর রহমান: বিএনপি প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে নির্বাচনমুখী দল। সেই হিসেবে আমি মনে করি বিএনপি নির্বাচনে যাবে।


তারা তো বলেছেন, নির্দলীয় সরকার হলেই নির্বাচনে যাবে। আমি মনে করি বিএনপির যেমন আন্দোলনের প্রস্তুতি রয়েছে, তেমন নির্বাচনে যাওয়ারও প্রস্তুতি রয়েছে। সংবিধান মোতাবেক যে নির্বাচন, সেটা খুবই নিকটে।


বিএনপি শুধু আন্দোলনের ছক করছে সেটা নয়, বিএনপি নির্বাচনের ছকও করেছে- একটা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে।


বিবার্তা: যুগপৎ আন্দোলন নিয়ে জামায়াতের সাথে বিএনপির আলোচনা হয় কি না?


মোস্তাফিজুর রহমান ইরান: জামায়াত-বিএনপির সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। জামায়াত এবং বিএনপি চার দলীয় জোটেও ছিল। এখন বিএনপি-জামায়াতকে আন্দোলনে সম্পৃক্ত করবে কি না এই প্রশ্নটা বিএনপি এবং জামায়াতকে করলে ভালো হয়।


আমি মনে করি বিএনপির যে ভিশন, যে উদ্দেশ্য, জাতির সাথে যে কমিটমেন্ট, বিএনপি মহাসচিব বলেছিলেন সমস্ত ব্যক্তি এবং দলকে তারা আন্দোলনে সম্পৃক্ত করতে চান। তারেক রহমান বলেছিলেন দল-মত নির্বিশেষে যারাই এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে রয়েছেন তাদের সকলকে এই আন্দোলনে শামিল করবেন।


আমার বিশ্বাস ইতোমধ্যে সমস্ত দলগুলোকে একত্রিত করেছেন এবং বাকিগুলোকেও করবেন। প্রথমত জনগণের মধ্যে অস্থা তৈরি করতে হবে। জনগণ যখন বুঝতে পারবে এই সরকারকে নামানোর মত শক্তি রাজনৈতিক ব্যক্তিরা তৈরি করতে পেরেছি- তখন আমাদের সাথে জনগণের সম্পৃক্ততা বেড়ে যাবে। জনগণের সাথে রাজনৈতিক নেতাদের সম্পৃক্ততা যখন রাজপথে ঘটবে তখনই বিপ্লব হবে। আমরা সেই বিপ্লবের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।


আমার বিশ্বাস বিএনপি কাউকেই আন্দোলনের বাইরে রাখবে না। সবার সম্পৃক্ততার মাধ্যমে একটি গণঅভ্যুত্থানের সৃষ্টি হবে, একটি গণজাগরণের সৃষ্টি হবে। আমার বিশ্বাস অক্টোবর মাস রাজনীতির জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট হবে। এই অক্টোবরে বাংলাদেশে একটি নতুন সূর্য দেখতে পাবে ইনশাআল্লাহ। যে সূর্যের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ নিঃশ্বাস ফেলবে এবং বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখবে। এদেশের যে সংকট আমার বিশ্বাস আন্দোলনের মাধ্যমে এই সংকট নিরসন হবে।


বিবার্তা: ১৫ ছাত্র সংগঠনের নতুন জোট ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র ঐক্য’কে কিভাবে দেখছেন?


মোস্তাফিজুর রহমান ইরান: বাংলাদেশের সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের ইতিহাস অনেক বড়। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন ছাত্ররা করেছে, মহান মুক্তিযুদ্ধে ছাত্ররা অনেক ভূমিকা রেখেছে। '৯০ সালে স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্র ঐক্য হয়েছে, অনেক ছাত্রনেতারা সেসময় ঐক্যবদ্ধভাবে দাবি নিয়ে কাজ করেছে। '৯৮ সালে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য গঠন করেছিলাম। সেখানে ছাত্রদল-ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ অনেক ছাত্র সংগঠন ছিল।


আমরা ভেবেছিলাম, ছাত্রদলের নেতৃত্বে সমস্ত ছাত্র সংগঠনকে নিয়ে একটি প্ল্যাটফর্ম গঠিত হবে। কিন্তু আমরা দেখেছি সেই প্রত্যাশা পূরণের ছাত্রদল সফল হয়নি। অনেক ছাত্র সংগঠন এই প্লাটফর্মের বাইরে রয়েছে। এমনকি বিএনপির সাথে আন্দোলনরত অনেক ছাত্র সংগঠনকে রাখা হয়নি। কেন রাখা হয়নি, এর সঠিক কারণ এখনো জানতে পারিনি।


দেখেছি যে সকল ছাত্র সংগঠনের তেমন কোন অবস্থান নেই, তারা তাদের অবস্থানকে তুলে ধরার জন্য ছাত্রদলকে ব্যবহার করছে। আমি মনে করি প্রতিনিধিত্বশীল ছাত্রসংগঠন বলতে যা বোঝায় যদি সবাইকে নেওয়া যেত তাহলে ছাত্র সমাজের মনোবল আরো চাঙ্গা হতো।


দেশব্যাপী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তুলে আমাদের দাবিকে ত্বরান্বিত করতে পারতাম। তারপরও আমি আশাবাদী ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র ঐক্য’ করেছে এখানে সমস্ত ছাত্র সংগঠনগুলোকে তারা সম্পৃক্ত করবে। এখানে বেছে বেছে কিছু ছাত্র সংগঠনকে নেওয়া হয়েছে- এই কাজটি সঠিক হয়নি। আমাদের ছাত্র মিশনসহ আরো অনেক বড় বড় ছাত্র সংগঠনকে বাদ রাখা হয়েছে। আমার ধারণা কোনো জায়গা থেকে প্রভাবিত হওয়ার কারণে এমন হয়েছে।


বিবার্তা: অতীতের ছাত্র ঐক্যের সাথে জোট ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র ঐক্য'-এর পার্থক্য কোথায়?


মোস্তাফিজুর রহমান ইরান: গৎবাঁধা কিছু বলয়কে নিয়ে ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র ঐক্য' গঠন করা হয়েছে। তৎকালীন ছাত্র ঐক্য ছিল বিরোধী সকল ছাত্র সংগঠন নিয়ে। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রলীগ-ছাত্রদলসহ সকলেই ছিল। এছাড়া ৯৮ সালে দেখেছি ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, জাতীয় ছাত্র সমাজসহ আমরা সকলেই ছিলাম। সরকার বিরোধী আন্দোলন করে এরকম অসংখ্য ছাত্র সংগঠনকে রেখে ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র ঐক্য' করা হয়েছে। এটা নাম সর্বস্ব ছাত্র ঐক্য গঠন হয়েছে।


বিবার্তা: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।


মোস্তাফিজুর রহমান ইরান: আপনাকে এবং বিবার্তাকেও অনেক ধন্যবাদ।


বিবার্তা/এমই/এসবি/রোমেল

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com