কলকাতায় আটক বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লা বাংলা টিমের (এবিটি) দুই সদস্য ও স্থানীয় এক অস্ত্র ব্যবসায়ীকে ১৪ দিনের রিমান্ড দিয়েছে কলকাতার আদালত।

বুধবার কলকাতার ব্যাংকশাল আদালতে তোলা হলে অভিযুক্তদের আগামী ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিমান্ডের নির্দেশ দেয় আদালতের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্য অর্ণব ঘোষাল। এবিটি’র দুই সদস্য হলেন সামসেদ মিঞা (২৬) ওরফে তানভির এবং রিয়াজুল ইসলাম (২৫) ওরফে সুমন। এরা দুই জনই বাংলাদেশের বাসিন্দা। অন্যদিকে অভিযুক্ত অস্ত্র ব্যাবসায়ী মনতোষ দে’র (৪৬) বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলায়।

মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা স্টেশন থেকে এই তিনজনকে আটক করে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। তাদের কাছ থেকে ল্যাপটপ, পেনড্রাইভ, অস্ত্র, জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার নানা পুস্তিকা, বিস্ফোরক তৈরির বই উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা হয় বেশ কিছু অস্ত্রও।

এদিন আদালতে অভিযুক্তদের রিমান্ডের জন্য আবেদন জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিযুষ কান্তি মন্ডল। আদালতে তিনি জানান দুই বাংলাদেশির কাছ থেকে আল-কায়েদা সম্পর্কিত নানা নথি ও পুস্তিকা উদ্ধার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ভুয়া ভারতীয় আধার কার্ডও পাওয়া যায়। এরা অস্ত্র কেনাবেচার জন্য কলকাতা স্টেশনে মিলিত হয়েছিল। আটক তিনজনের বিরুদ্ধেই অস্ত্র আইন, প্রতারণা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদেরকে জেরা করে আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ পাওয়া যেতে পারে।

যদিও অভিযুক্তদের আইনজীবী কে. কে. তিওয়ারি এদিন আদালতের কাছে তিন জনেরই জামিনের আবেদন করে বলেন বাংলাদেশিদের কাছ থেকে যে নথি পাওয়া গেছে তার থেকে এটা প্রমাণিত হয় না যে তারা আল-কায়েদার সঙ্গে যুক্ত এবং মনতোষ দে’র কাছ থেকেও কোন অস্ত্র পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেন তিওয়ারি।

দুই পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শুনে অভিযুক্তদের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়ে পুলিশি রিমান্ডের নির্দেশ দেন আদালত।

এব্যাপারে বুধবার এসটিএফ’র ডেপুটি কমিশনার মুরলীধর শর্মা জানান ‘অভিযুক্ত তিনজনকেই বুধবার নগর দায়রা আদালতে তোলা হয়। আদালত তাদের আগামী ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিশি রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন’।

বিবার্তা/ডিডি/সোহাগ