উত্তরপ্রদেশের উন্নয়নের জন্য বাইরের লোকের কোনো দরকার নেই। এরাজ্যের তরুণ-তরুণীদের মধ্যেই নেতা হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। তারাই এরাজ্যের উন্নয়নে কাজ করবেন। দীর্ঘদিন পর রাজনীতির ময়দানে নেমেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এভাবে ‘বহিরাগত’ বলে অভিহিত করেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের রায়বেরিলিতে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে প্রিয়াঙ্কা এ কথা বলেন।
প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন বারাণসী আমাকে দত্তক নিয়েছে এবং আমি একজন সন্তানের মতো, আমি বারাণসীর উন্নয়ন করতে চাই। কিন্তু আমি জানতে চাই যে উত্তরপ্রদেশের উন্নয়নের জন্য বাইরের কোনো মানুষের দরকার আছে কি? বা কোনো দত্তক পুত্রের প্রয়োজন আছে কি?’
সভায় উপস্থিত কয়েক হাজার মানুষের সামনে প্রিয়াঙ্কা প্রশ্ন করেন ‘আপনারা কি ধরনের নেতা পছন্দ করবেন? যিনি তার প্রতিশ্রুতি পালন করতে পারেন না, নাকি যিনি রাজ্যের মানুষের জন্য কাজ করবেন? বাইরের কোনো নেতাকে এখানে দরকার নেই। এরাজ্যের প্রতিটি তরুণ-তরুণীদের মধ্যেই নেতা হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। তারা প্রত্যেকেই রাজ্যের উন্নয়নের কাজ করবেন এবং যে কোন উপায়ে এটা হবে কারণ এটা হল রাহুলজি এবং অখিলেশজির ইচ্ছা’।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে নিজেকে এই রাজ্যটির দত্তক পুত্র বলে দাবি করেন মোদি। ভগবান কৃষ্ণের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কৃষ্ণ উত্তরপ্রদেশে জন্মগ্রহণ করে গুজরাটকে তার কর্মভূমি করেছিলেন। আর আমি গুজরাটে জন্মগ্রহণ করেছি এবং উত্তরপ্রদেশ আমাকে দত্তক নিয়েছে। এই রাজ্য আমার বাবা-মা। আমি তেমন ছেলে না যে বাবা-মায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করব। আপনারা আমাকে দত্তক নিয়েছেন। আপনাদের জন্য কাজ করা আমার কর্তব্য’।
এই মুহুর্তে উত্তরপ্রদেশে বিধানসভার নির্বাচন চলছে। মোট সাত দফার মধ্যে ইতিমধ্যেই দুইটি পর্বের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। কিন্তু প্রচারে অংশ নেয়ার চেয়ে নির্বাচনী রণকৌশল নিয়েই বেশি ব্যস্ত ছিলেন প্রিয়াঙ্কা। এবারের নির্বাচনে রাজ্যটির শাসকদল সমাজবাদী পার্টি (এসপি)-এর সঙ্গে কংগ্রেসের জোট গড়ার ক্ষেত্রেও প্রিয়াঙ্কার বড় ভূমিকা ছিল। তবে দলের একাংশের দাবি এবং রাজ্যের অল্পবয়সী ভোটারদের কাছে টানতেই এই প্রথম নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিলেন প্রিয়াঙ্কা। প্রিয়াঙ্কার সঙ্গেই ছিলেন ভাই কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধীও।
কেন্দ্রীয় সরকারের নোট বাতিল ইস্যু নিয়েও ভাইয়ের মতো এদিন প্রিয়াঙ্কাও মোদিকে নিশানা করেন। তিনি বলেন, গত ৮ নভেম্বর নোট বাতিলের পর থেকেই দেশের গরিব ও কৃষকরা প্রচণ্ড সমস্যার মধ্যে পড়েছেন। এর ফলে ৮৬ জন সাধারণ মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীকে টার্গেট করেন রাহুল গান্ধীও। মোদির বিরুদ্ধে ফাঁকা প্রতিশ্রুতি দেয়ার অভিযোগ তুলে রাহুল বলেন, ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে মোদিজি বারাণসীর জন্য একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এর মধ্যে গঙ্গা ও গঙ্গার ঘাট পরিস্কার, রিং রোড নির্মাণ, ফ্রি ওয়াই-ফাই, ভোজপুরি ফিল্ম সিটি নির্মান- আরও কত কি! কিন্তু আপনি (মোদি) তার একটাও পূরণ করতে পারেননি’।
বিবার্তা/ডিডি/পলাশ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]