১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জেনে আসছি সেই ছোটবেলা থেকে। যাঁদের নাম মুখস্ত করেছি, তাঁদের কাজ সম্পর্কে সামান্যই জানি।
জহির রায়হানকে চিনেছি চলচ্চিত্র দেখে এবং বই পড়ে। শহীদুল্লাহ কায়সারকে চিনেছি বই পড়ে। মুনীর চৌধুরীর রক্তাক্ত বাংলা পাঠ্য হিসেবেই পড়েছি স্কুল-কলেজে। কবর পড়েছি বাসার সংগ্রহশালা থেকে। সাংবাদিক সেলিনা পারভীনের ওপর একটি স্মারকগ্রন্থ আর প্রিয় শামীম আপার শিলালিপি চলচ্চিত্র থেকে মোটামুটি জেনেছি। সুরস্রষ্টা আলতাফ মাহমুদের অবিস্মরণীয় 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো'র সুরটুকুই জানি শুধু। অন্যসব গান শুনে থাকলেও সেসব যে তাঁর সুর, এমনভাবে পরিচিত নই।
এই চার-পাঁচ জনের বাইরে আমি আর কারো কাজের সাথে পরিচিত নই। আলীম চৌধুরী চোখের ডাক্তার ছিলেন, ফজলে রাব্বি ডাক্তার ছিলেন - তথ্য হিসেবে জানি কেবল। গোবিন্দ চন্দ্র দেব-এর দেবতাসুলভ সরল-সাদা চরিত্র সম্পর্কে পড়েছি, শুনেছি কিন্তু তাঁর দার্শনিক চিন্তার স্বরূপ সম্পর্কে আমার পড়াশুনা নেই। জানি না জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতার কাজ নিয়েও।
আমাদের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের কাজ সম্পর্কে তথ্য জানা যেমন জরুরি, তেমনি তাঁদের মূল কাজ পড়াও কর্তব্য; আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে ধারণা রাখার জন্যই। জানি না, এই কাজ কতোটা হয়েছে। এই না-জানার জন্য লজ্জিত।
এ সম্পর্কিত বইগুলো সংগ্রহ করতে আগ্রহী। অনেকের কাছেই সুলুক-সন্ধান থাকা সম্ভব। জানালে উপকৃত হবো। শিল্পী-সাহিত্যিক-দার্শনিক-বুদ্ধিজীবীদের একদিন সরকারীভাবে স্মরণ করার গুরুত্ব কম নয়। কিন্তু তাঁদের কাজও শহীদ তালিকায় না রেখে জীবন্ত রাখা বোধহয় বেশি দরকার।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মৎসর্গের প্রতি অসীম শ্রদ্ধা।
কাবেরী গায়েনের ফেসবুক থেকে
বিবার্তা/মৌসুমী/হুমায়ুন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]