শিরোনাম
রাবিতে শিক্ষককে পেটালো ছাত্র!
প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২২:০৫
রাবিতে শিক্ষককে পেটালো ছাত্র!
মারধরের শিকার প্রফেসর মোহা. হাছানাত আলী
রাবি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ইন্সস্টিউট অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) শিক্ষককে মারধর করেছে এমবি-এ ডে ৯ম ব্যাচের ছাত্র নাহিদ হয়দার।


সোমবার দুপুরে আইবিএ-ভবনে ওই শিক্ষকের চেম্বারে ইন্টার্নশিপ রিপোর্ট জমা দেয়া নিয়ে তর্কতর্কির এক পর্যায়ে শিক্ষককে এলোপাথাড়ি মারধর করা হয়। পরে ওই শিক্ষার্থীকে মতিহার থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়। মারধরের শিকার আইবিএর শিক্ষক প্রফেসর মোহা. হাছানাত আলী।


প্রফেসর মোহা. হাছানাত আলী বলেন, নাহিদ হয়দার নামের শিক্ষার্থীর রবিবার ইন্টার্নশিপ পেপার জমা দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওইদিন সে আসেনি। কোনো রকম যোগাযোগও করেনি। পরে আজকে (সোমবার) লাস্ট ডেট থাকায় দুপুর ১টার দিকে হঠাৎ করে ফোন দিয়ে জমা দেয়ার কথা জানায়। তখন আমি শহরে কাজে থাকায় তাকে ঘণ্টাখানেক পরে আসতে বলি। কিন্তু তাৎক্ষণিক তার পেপার জমা নিতে হবে বলে বারবার ফোন দিতে থাকে। আমি কাজে ব্যস্ত থাকায় তার ফোন রিসিভ করতে পারিনি। এসময় সে প্রক্টর দপ্তরে গিয়ে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে যে, আমি তার পেপার জমা নিচ্ছি না।


পরে দুপুর আড়াইটার দিকে চেম্বার থেকে ক্লাস নেয়ার জন্য বের হচ্ছিলাম, তখন সে এসে বলে আমার রিপোর্ট জমা নিতে হবে। এসময় আমি তাকে সাড়ে ৩টার আসতে বললে সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার মুখে, বুকে, কানে এলাপাথাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকে।


আহত প্রফেসর হাছানাত আলী বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।


এদিকে এঘটনায় জরুরি একাডেমিক সভার মিটিংয়ে বসেন আইবিএ শিক্ষকবৃন্দ।


এদিকে হামলাকারী শিক্ষার্থী নাহিদ হায়দারের ভাষ্য, আজ লাস্ট ডেট হওয়ায় রিপোর্টটি জমা দিতে চাইছিলাম। কিন্তু তিনি জমা নিতে চাচ্ছিলেন না। পরে তার সাথে দেখা করে রিপোর্টটি জমা দিতে চাইলে উল্টো-পাল্টা কথা বলেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। যার কারণে আমি তাকে মারধর করি।


জরুরি সভায় তিনটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে। প্রথমত তার ইন্টার্নশিপ কার্যক্রম স্থগিত, দ্বিতীয়ত, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রেজিস্ট্রারকে লিখিতভাবে বলা হবে এবং তার অপরাধ তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।


মতিহার থানার ওসি মেহেদী হাসান বলেন, প্রক্টর স্যার এক শিক্ষার্থীকে আমাদের কাছে দিয়েছেন। বর্তমানে সে থানা পুলিশের হেফাজতে আছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেবে আমরা তা বস্তবায়ন করবো।


বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. লুৎফর রহমান বলেন, এঘটনার পরে আমরা তাৎক্ষণিক সেখানে যাই এবং তাকে পুলিশে দিই। পুলিশ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।


বিবার্তা/নাঈম/কাফী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com