শিরোনাম
ঢাবি সিনেটের ভিসি নির্বাচনের সভায় ‘বাধা নেই’
প্রকাশ : ২৬ জুলাই ২০১৭, ১৬:১৯
ঢাবি সিনেটের ভিসি নির্বাচনের সভায় ‘বাধা নেই’
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভিসি প্যানেল মনোনয়নের জন্য আগামী ২৯ জুলাই অনুষ্ঠেয় সিনেটের বিশেষ সভা স্থগিত করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। এ রায়ের ফলে সিনেট সভা করতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

 

হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এ আদেশ দেন এবং বিষয়টি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য ৩০ জুলাই দিন ধার্য করেন।

 

আদালতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শুনানি করেন আব্দুল মতিন খসরু ও এ এফ এম মেজবাহ উদ্দিন। আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ ও মোস্তাফিজুর রহমান। 

 

রায় শেষে মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘চেম্বার আদালতের এ আদেশের ফলে ২৯ জুলাইয়ের ডাকা সিনেট সভা করতে বাধা নেই।’

 

রেজিস্ট্রার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্ধারণ না করে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের জন্য ডাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের সভা গত সোমবার স্থগিত করে রুল জারি করেন বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি এম. ফারুক। সেই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আদেশ ১৯৭৩ সালে ২০(১) ধারা অনুযায়ী সিনেট গঠন না করে ২৯ জুলাই ডাকা সভা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না তা রুলে জানতে চান আদালত।

 

উল্লেখ্য, ১৬ জুলাই ঢাবির রেজিস্ট্রার সিনেট সভার জন্য একটি চিঠি দেন। এতে বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ, ১৯৭৩ এর ২১(২) ধারার অর্পিত ক্ষমতাবলে উপাচার্য ২৯ জুলাই বিকাল ৪টায় সিনেটের বিশেষ সভা আহ্বান করেছেন। ওই বিশেষ সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ ১৯৭৩, ১১(১) ধারা অনুযায়ী চ্যান্সেলর কর্তৃক ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগের জন্য তিনজনের একটি প্যানেল মনোনয়ন করা হবে। ভাইস চ্যান্সেলরের প্যানেলে যাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রস্তাব করা হবে, নাম প্রস্তাবকালে তাদের লিখিত সম্মতি সিনেট চেয়ারম্যানের নিকট পেশ করতে হবে। উক্ত সভায় উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করছি।’

 

হাইকোর্টের রুলসহ আদেশের পর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আমাতুল করিম জানান, আবেদনকারীদের দাবি রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটের অনেক প্রতিনিধির পদ খালি। তাই এ নির্বাচন না দিয়ে সিনেট সভা ডেকে উপাচার্য প্যানেল মনোনয়ন করা ঠিক নয়।

 

এ কারণে ১৬ জুলাইয়ের এ চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৫ জন শিক্ষক হাইকোর্টে রিট করেন। আবেদনকারী শিক্ষকরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. আব্দুস সামাদ, অধ্যাপক সাদেকা হালিম, অধ্যাপক একেএম গোলাম রব্বানী, অধ্যাপক হারুনুর রশীদ খান, অধ্যাপক সিতেশ চন্দ্র বাচার, অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, অধ্যাপক হুমায়ুন আক্তার, অধ্যাপক মো. আসাদুজ্জামান, অধ্যাপক এমরান কবীর চৌধুরী, অধ্যাপক কে এম সাইফুল আলম খান, সহযোগী অধ্যাপক মো. হুমায়ন কবির, সহকারী অধ্যাপক মো. আব্দুর রহিম, রেজিস্ট্রার্ড গ্র্যাজুয়েট ঢাকার এ কে এম আতিকুর রহমান, ফরিদপুরের আব্দুল জব্বার মিয়া ও বরিশালের আনোয়ার হোসেন। 

 

বিবার্তা/আছিয়া/নিশি

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com