কয়েকদিনের একটানা ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রাঙ্গণের অধিকাংশ স্থানে অতিরিক্ত জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার সকাল থেকেই একটানা বৃষ্টিপাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় ঢাবির ছাত্রশিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি), কলাভবন সংলগ্ন অপরাজেয় বাংলা ভাস্কর্যের সমুখের রাস্তা, রেজিস্ট্রার ভবন সংলগ্ন মল চত্বর, মাস্টারদা সূর্যসেন হলের প্রবেশপথ এবং শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র সংলগ্ন দোয়েল চত্বরগামী সড়কসহ ঢাবির অধিকাংশ এলাকায় অতিরিক্ত পানি জমে যাওয়ার ফলে তৈরি হয়েছে তীব্র জলাবদ্ধতা। এতে ঢাবির আবাসিক ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা তাদের নিয়মিত ক্লাসে অংশগ্রহণে পড়েছেন দুর্বিপাকে।
এ বিষয়ে ঢাবির বিজয় একাত্তর হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আবদুর রহিম বিবার্তাকে বলেন, বৃষ্টি আমার কাছে খুব প্রিয় অনুষঙ্গ হলেও অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের জন্য কয়েকদিন ধরে নিয়মিত ক্লাসে অংশগ্রহণে খুব সমস্যায় পড়েছি। তাছাড়া আজকাল কিছুটা বৃষ্টি হলেই আমাদের ক্যাম্পাসের মল চত্ত্বর এলাকা, কলাভবনের সামনের সড়ক ও টিএসসির ডাস (ঢাকা ইউনিভার্সিটি স্ন্যাকস) এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে শিক্ষার্থীর ক্যাম্পাসে বৃষ্টির ছাতা নিয়ে চলাফেরা করাতেও অসুবিধার অন্ত থাকেনা। আশা করি কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের এই সমস্যা দূর করতে যথাযথ পদক্ষেপ নিবেন।
ঢাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অনাবাসিক শিক্ষার্থী মুনওয়ার রাইয়ান বিবার্তাকে বলেন, ক্যাম্পাসে বৃষ্টি উপভোগের বিষয় হলেও অতিরিক্ত জলাবদ্ধতা ও একটানা বর্ষণের ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য বৃষ্টি এখন বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের ক্লাসে আসতে সমস্যায় পড়তে হয়। এতে গুরুত্বপূর্ণ ক্লাসে নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত না হতে পেরে অনেক শিক্ষার্থীই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাছাড়া বৃষ্টির সময়ে ঢাবির খেলার মাঠে ফুটবল খেলার পরিবর্তে এখন সাঁতার প্র্যাকটিসের মত অবস্থা দাঁড়িয়েছে বলে জানান ঢাবির এই শিক্ষার্থী।
ঢাবির সূর্যসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সোহেল আকন্দ বিবার্তাকে বলেন, গত কয়েকদিনে লাগাতার বৃষ্টির ফলে আমাদের হল (সূর্যসেন হল) গেইট থেকে শুরু করে ভিসি চত্বর (স্মৃতি চিরন্তন চত্বর) পর্যন্ত রাস্তাটি প্রায় ডুবে গেছে এতে আমাদের অনেক ক্লাসে যাওয়া, টিউশন বা অন্যকোন কাজে বাইরে বের হতে সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া এরকম জলাবদ্ধতার ফলে মশার প্রজনন বেড়ে গিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়ার মত মশাবাহিত বিভিন্ন রোগ ঢাবির আবাসিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রাদুর্ভাব ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ঢাবির এ শিক্ষার্থী।
ঢাবি ক্যাম্পাসে জলাবদ্ধতা সমস্যা দূরীকরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগ সম্পর্কে জানার জন্য উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিককে মুঠোফোনে কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
এছাড়া ঢাবির ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর এম আমজাদ আলীকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
বিবার্তা/আরাফাত/জিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]