শিরোনাম
জবির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বৃহস্পতিবার, ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবের আমেজ
প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০১৬, ১৪:৪১
জবির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বৃহস্পতিবার, ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবের আমেজ
জবি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

আগামীকাল বৃহস্পতিবার ভোরের সূর্য উঠার সাথে সাথেই বয়সে আরো একটি বছর বড় হয়ে যাবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। হ্যাঁ, ২০ অক্টোবর- ২০১৬; ১১ বছরে পা দিতে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।

 

পুরান ঢাকার সদরঘাটে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়টি ঢাকা তথা সমগ্র বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বিদ্যাপীঠ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে এর যাত্রার ইতিহাসটা বেশ পুরনো। ১৮৫৮ সালে ‘ঢাকা ব্রাহ্ম স্কুল’ নামে আত্মপ্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি। ১৮৭২ সালে এর নাম বদলে জগন্নাথ স্কুল করা হয়। বালিয়াটির জমিদার কিশোরীলাল রায় চৌধুরী তার বাবার নামে জগন্নাথ স্কুল নামকরণ করেন। উল্লেখ্য, কিশোরীলাল রায় শিক্ষা বিস্তারে আগ্রহী ছিলেন।

 

১৮৮৪ সালে এটি একটি দ্বিতীয় শ্রেণীর কলেজে ও ১৯০৮ সালে প্রথম শ্রেণীর কলেজে পরিণত হয়। সেসময় এটিই ছিল ঢাকার উচ্চ শিক্ষার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা শুরু হলে জগন্নাথ কলেজের স্নাতক কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রির শিক্ষার্থী, শিক্ষক, গ্রন্থাগারের বই পুস্তক, জার্নাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার সাজাতে জগন্নাথ কলেজ গ্রন্থাগারের ৫০ ভাগ বই দান করা হয়।

 

জগন্নাথ কলেজে আইএ, আইএসসি, বিএ (পাস) শ্রেণী ছাড়াও ইংরেজি, দর্শন ও সংস্কৃতি অনার্স এবং ইংরেজিতে মাস্টার্স চালু করা হলেও ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর তা বন্ধ করে দেয়া হয় এবং ইন্টারমিডিয়েট কলেজে অবনমিত করা হয়।

 

এরপর মহান মুক্তিযুদ্ধের অসংখ্য স্মৃতি বিজড়িত জগন্নাথ কলেজটি ২০০৫ সালে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন- ২০০৫ পাশ হওয়ার মাধ্যমে আজকের পূর্ণাঙ্গ স্বায়ত্ত্বশাসিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ নেয়। একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের যা যা সুযোগ সুবিধা থাকার কথা; তার অনেক কিছুই নেই এখানে। তবুও বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫ হাজার ছাত্রছাত্রী আর এক হাজার শিক্ষকের একমাত্র ভরসার স্থান এই জবি ক্যাম্পাস।

 

আগামীকাল ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নতুন রুপে সেজে উঠেছে সমগ্র জবি ক্যাম্পাস, এখন চলছে শেষ মুহূর্তের সকল প্রস্তুতি ও নিরাপত্তার কাজ।

 

 

শিক্ষার্থীদের সাথে আনন্দে যোগ দেবেন শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরাও। এদিন (বৃহস্পতিবার) সকাল ৯টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের নেতৃত্বে একটি শোভাযাত্রা বের হবে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ব্যানার নিয়ে অংশ নেবে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা কর্মচারীরা।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে শোভাযাত্রা নিয়ে পুরান ঢাকার রায় সাহেব বাজার ঘুরে আবার ক্যাম্পাসে ফিরবেন তারা। এরপর কেক কেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জন্মদিন’ উদযাপন করা হবে। শিক্ষার্থীদের নাচে-গানে, লাঠি খেলা আর রঙ উৎসবে মেতে ওঠবে পুরো ক্যাম্পাস।

 

এ বিষয়ে উপাচার্য মীজানুর রহমান বলেন, ‘এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মধ্য দিয়ে আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বমানের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই। শুরুতে চারটি অনুষদে ২৩টি বিভাগ নিয়ে যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে ৭টি অনুষদে ৩৬টি বিভাগ রয়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে।’

 

এদিকে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, জবি মাতাতে আসবেন জনপ্রিয় সংঙ্গীতশিল্পী নগর বাউল ব্যান্ড- জেমস, শিরোনামহীন। এছাড়াও জনপ্রিয় কিছু নতুন শিল্পীদের নিয়ে আয়োজন করা হয়েছে কনসার্ট।

 

প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ পরিচয়পত্র ছাড়া বহিরাগত কেউ কনসার্টে প্রবেশের অনুমতি পাবে না।

 

বিবার্তা/আদনান/নিশি

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com