শিরোনাম
বুড়িগঙ্গার ওপারে জবির হল পাবার আশ্বাস
প্রকাশ : ২৫ আগস্ট ২০১৬, ১৩:২১
বুড়িগঙ্গার ওপারে জবির হল পাবার আশ্বাস
প্রিন্ট অ-অ+
হলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের কয়েকদিনের আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ১০ তলাবিশিষ্ট হল নির্মাণের প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নে সরকারের আশ্বাস পাওয়ার কথা জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যাতলয়ের উপাচার্য অধ্যােপক মীজানুর রহমান।


শিক্ষার্থীরা পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের জায়গাটি চাইলেও এই হলটি পাচ্ছে বুড়িগঙ্গার ওপারে কেরানীগঞ্জে। গত সাত বছর ধরে হলের দাবি জানিয়ে এলেও তা পায়নি পুরান ঢাকার এই উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।


এর মধ্যেি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে কেরানীগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ছাত্রদের জন্যত ১০ তলা একটি আবাসিক হল নির্মাণের প্রকল্প নেয়া হলেও তাতে গতি আসছিল না।


এর মধ্যেহ নাজিমউদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জে সরিয়ে নেয়ার পর ওই স্থানটি হলের জন্য চেয়ে ধর্মঘট ডেকে রাজপথে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা।


শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষও হয় গত কয়েকদিনে। বুধবার রাজপথে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মধ্যেঙই সচিবালয়ে বিশ্ববিদ্যামলয়টির উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।


ওই বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী ১০ তলা ওই হল নির্মাণে প্রকল্পটি এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার কথা জানান বলে জানিয়েছেন অধ্যাটপক মীজানুর।


উপাচার্য বিকালে তার বাড়িতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘পৌনে ৩০০ কোটি টাকার অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পটি দ্বিতীয়বার সংশোধিত হয়ে এখন একনেকে অনুমোদনের জন্য যাচ্ছে। এ প্রকল্পটি আগে ১২৬ কোটি টাকার ছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তা সংশোধন করে বাজেট বাড়ানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে শিক্ষামন্ত্রীকে অতিদ্রুত প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদনের জন্য তুলতে নির্দেশ দিয়েছেন। একনেকে অনুমোদন হলে দ্রুত এ প্রকল্পের কাজ শেষ করা যাবে।’


প্রস্তাবিত এই প্রকল্পের অধীনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ভবন ভেঙে ২০ তলাবিশিষ্ট একাডেমিক ভবন তৈরির ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৬ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এছাড়া ১০ তলাবিশিষ্ট হল নির্মাণে ৬৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকা ব্যয় হবে।


অধ্যাশপক মীজানুর বলেন, ‘প্রায় ২৫ বিঘা জমি ক্রয় করেছি আমরা কেরানীগঞ্জে। উঁচু নিচু জায়াগার ভূমি উন্নয়নে ৯ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ওখানে পুকুর থাকতে হবে, সেজন্যট ৫৬ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।’


১০ তলার ভিত নিয়ে প্রাথমিকভাবে হলটি ৫ তলা এবং ২০ তলার ভিত নিয়ে একাডেমিক ভবন ১০ তলা হওয়ার কথা থাকলেও প্রধানমন্ত্রী তা পূর্ণাঙ্গ করে তুলতে বলেছেন বলে জানান তিনি।


তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, কাজ বাকি রাখা যাবে না; সম্পূর্ণ করতে হবে। সেজন্য এখন হল হবে ১০ তলা, আর একাডেমিক ভবন হবে ২০ তলা। আর এজন্য টাকাও বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে প্রকল্পের।’


কারাগারের পরিত্য‘ক্ত জমিটির জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আবেদন করলেও তাতে সরকারের সাড়া এখনও মেলেনি।


জগন্নাথের নির্মাণাধীন বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব ছাত্রী হল এবং নতুন একাডেমিক ভবনের উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ নিয়ে দীর্ঘসূত্রতার অভিযোগ রয়েছে।


ছাত্রী হলের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘ওই জায়গাটি ছিল দখল করা, দুবার সরকারি দলের অফিস ভেঙে কাজ শুরু করতে হয়েছে। ইতিমধ্যে সাড়ে ৮ কোটি টাকার কাজ হয়েছে। ৫ সেপ্টেম্বরের দিকে হলটির ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শুরু হবে। তখন দ্রুত কাজ শেষ করা যাবে।’


এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পূর্বাচল প্রকল্পে ৫০ একর জায়গা পেতে ১৫ লাখ টাকা জামানত দিয়েছে বলে জানান তিনি।


বিবার্তা/আদনান/জিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com