প্রক্সি দিতে এসে জাবিতে আটক ২
প্রকাশ : ১৯ জুন ২০২৩, ১৯:৩৭
প্রক্সি দিতে এসে জাবিতে আটক ২
জাবি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২২-২৩ সেশনের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে আটক হয়েছে দুই জন। সোমবার (১৯ জুন) 'বি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে দুটো পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে তাদের আটক করা হয়।


অভিযুক্তরা হলেন- সোহেল রানা (২৮) ও মোস্তাফিজুর রহমান শাকিল (২৩)।


তৃতীয় শিফটের সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা চলাকালে 'স্কুল এন্ড কলেজ' কেন্দ্র থেকে সোহেল ও চতুর্থ শিফটের একই ইউনিটের পরীক্ষা চলাকালে 'বিজনেস স্টাডিজ' কেন্দ্র থেকে মোস্তাফিজুরকে আটক করা হয়।


আটককৃতদের একজন সোহেল রানা নিজেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে দাবি করেন। অপরদিকে মোস্তাফিজুর রহমান নিজেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী দাবি করেন।


জানা যায়, নাজমুল হক নামে এক পরীক্ষার্থীর প্রক্সি দিতে আসেন সোহেল রানা। স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে তৃতীয় শিফটের বি ইউনিটের পরীক্ষা চলাকালে তাকে দেখে সন্দেহ হলে দায়িত্বরত শিক্ষকরা মা-বাবার নাম জিজ্ঞাসা করেন। এসময় তিনি সঠিকভাবে তার মা-বাবার নাম বলতে পারেননি। এছাড়া প্রবেশ পত্রের ছবির সাথে তার মিল পাওয়া যায়নি। পরে প্রক্টরিয়াল বডিকে খবর দিয়ে এনে তাদের হাতে তুলে দেন কক্ষের দায়িত্বরত শিক্ষকরা।


অপরদিকে মোস্তাফিজুর রহমান মুইন, তাজদীদ মাহি নামে এক পরীক্ষার্থীর প্রক্সি দিতে আসেন। বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ কেন্দ্রে চতুর্থ শিফটের বি ইউনিটের পরীক্ষা চলাকালে তাকেও সন্দেহ করেন দায়িত্বরত শিক্ষকরা। এসময় প্রবেশপত্রের ছবির সাথে বাস্তবের মিল না থাকায় দায়িত্বরত শিক্ষকরা প্রক্টরিয়াল বডিকে খবর দেন।


আটককৃতদের জিজ্ঞাদাবাদের পর দুজনই অন্যের হয়ে পরীক্ষা দিতে আসার বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান ও প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন। এছাড়া সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবেও অভিযুক্তরা বিষয়টি স্বীকার করেন।


অভিযুক্ত সোহেল রানা বলেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা শেষ করে চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছি। এর আগে কখনও প্রক্সি দেয়নি। এলাকার স্থানীয় বড়ভাই ইমরান ইমনের মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে এখানে এসেছি। শুনেছি ইমরান ইমন নাজমুল হকের ফুফাতো ভাই।’


অপর অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমান শাকিল বলেন, 'জামালপুরের হাসানুজ্জামান নামের এক ব্যক্তির মাধ্যম হয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছি। প্রতি ইউনিটের পরীক্ষার জন্য ৪০ হাজার টাকায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছি।'


বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার প্রদান সুদীপ্ত শাহীন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দুই অভিযুক্তই তাদের অপরাধের কথা শিকার করেছে। এদের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান তার সাথে থাকা কয়েকজনকে ধরিয়ে দিতে চাইলে আমরা কেন্দ্রে খুজতে যাই। তবে সেখানে গিয়ে আর কাউকে পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারটিও এখন সুইচ অফ দেখাচ্ছে।


এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে দুজনই পরীক্ষায় জালিয়াতির কথা স্বীকার করেন। তারা এখন আমাদের জিম্মায় আছেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত এসেছেন। অপরাধের মাত্রা বিবেচনা করে তারা অভিযুক্তকে শাস্তি দিবেন।’


বিবার্তা/আয়েশা/এমজে

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com