গোপালগঞ্জে দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রতিমা শিল্পী ও আয়োজকরা ব্যস্ত
প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯:১৬
গোপালগঞ্জে দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রতিমা শিল্পী ও আয়োজকরা ব্যস্ত
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

আর কিছুদিন পর শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। পূজা উপলক্ষে গোপালগঞ্জের মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। তাইতো প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পী ও আয়োজকেরা।


আর এরই মধ্যে শিল্পীদের নিপুন হাতের ছোঁয়ায় পূর্ণতা পাচ্ছে দৃষ্টিনন্দন এসব প্রতিমা। অনেক মণ্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হলেও অপেক্ষায় রয়েছে রঙের জন্য। মন্দিরে মন্দিরে সিসি ক্যামেরা বসানোর ব্যবস্থা সহ আইশৃঙ্খলা রক্ষায় সচেষ্ট কর্তৃপক্ষ। দেবীর আগমনকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন পরেই ঢাকের বাদ্য আর উলুধ্বনিতে মুখরিত হবে পাড়া-মহল্লা। এবার দেবী কৈলাশ থেকে মর্তে আসবেন গজে (হাতি) করে, আবার কৈলাশে ফিরে যাবেন দোলায় (পালকি) করে।


পূজা মন্ডপের আয়োজক ভজন সাহা ও নাড়ু গোপাল জানান, আগামী ২১ সেপ্টেম্বর মহালয়ার মধ্যদিয়ে শুরু হবে হিন্দু ধর্মাবলম্বিদের শারদিয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। আর ২৮ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠী পুজার মাধ্যমে পুজা শুরু। ২ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মাধ্যমে শেষ হবে দেবী দুর্গার আরাধনা। তাইতো দুয়ারে কড়া নাড়ছে দেবী দুর্গার আগমনী বার্তা।


শিল্পীর শৈল্পিক ছোঁয়ায় যেন জীবন্ত হয়ে উঠছে মন্ডপের প্রতিটি প্রতিমা।দুর্গা পূজাকে সামনে রেখে মন্ডপে মন্ডপে প্রতিমা তৈরীর কাজে ব্যস্ত রয়েছেন তারা।প্রতিমা গড়ার জন্য এখন খড় আর কাঁদামাটির মিশ্রণে দুর্গার পূর্ণ অবয়ব দিয়ে যাচ্ছেন একাগ্র চিত্তে।মন্দিরে মন্দিরে ব্যস্ত মা দুর্গা লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশের প্রতিমা গড়তে। ব্যস্ততার এ চিত্র চোখে পড়ে শহর ও গ্রামের সব পুজা মন্ডপে।এরপর চলবে রং এর কাজ।


পঞ্চানন পাল ও অমিতোষ পাল জানান, আদি পেশা টিকিয়ে রাখতেই কাজ করছেন শিল্পীরা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সব প্রতিমা গড়ার লক্ষ্যে কর্মব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তারা।প্রতিটি প্রতিমা গড়তে যে খরচ, তা পান না বলে জানান প্রতিমা শিল্পীরা।


বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় সিকদার জানান, সাম্প্রদায়ীক সম্প্রতির এ জেলায় সব ধর্ম-বর্নের মানুষের সহযোগীতায় এবছর আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়েই দুর্গোৎসব পালন করা হবে। তিনি বলেন, ইতেমধ্যে জেলা প্রশাসনের সাথে বিভিন্ন মন্দির কমিটির সভাপতি/সাধারন সম্পাদকদের সাথে প্রশাসনের আনুষ্ঠানিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।আইন-শৃংখলা সঠিক রাখতে সকলকে একসাথে কাজ করার কথা বলা হয়েছে।


জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, এ বছর জেলার পাঁচ উপজেলায় ১২শ’ ৮৫ টি মন্দিরে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। দূর্গাপূজা অনুষ্ঠানটি যাতে শান্তিপূর্নভাবে সনাতন হিন্দু ধর্মবলম্বীরা পালন করতে পারে তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।


বিবার্তা/শান্ত/এসএস

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com