
রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যার পরপরই কিছু লোক জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলা চালায়। তারা কার্যালয়ের বিভিন্ন অংশে ভাঙচুর করে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়।
জাতীয় পার্টির কার্যালয় ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এসময় কার্যালয়ের ভেতরে থাকা আসবাবপত্রে আগুন দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, গণঅধিকারের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হামলার ঘটনার দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে সংহতি সমাবেশ করে দলটির নেতাকর্মীরা। পরে তারা পল্টনে নিজেদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দিকে রওনা দেন। এরপরই জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
এর আগে, গত শনিবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ওইদিন সোয়া ৬টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে আসেন গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতির ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। বিক্ষোভ মিছিল শেষে পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপে তারা। এসময় দলীয় কয়েকজন নেতাকর্মীকে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করতেও দেখা যায়।
এতে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হতেই কিছু নেতাকর্মী পেছন দিক থেকে এসে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে স্লোগান দিয়ে ভাঙচুর ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে শুরু করে। সেময় পুলিশ সদস্যরা রমনা থানার দিকে কিছুটা পিছু হটে। এসময় জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের নিচে একটি স্টোররুমের গেট ভেঙে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারশেল ও জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। এতে বিক্ষোভকারীরা পিছু হটলে পুলিশ আগুন নিভিয়ে ফেলে।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল করিম ভূঁইয়া অভিযোগ করেন, গণঅধিকার পরিষদ ব্যানার সহকারে মিছিল নিয়ে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে। তারা জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধের দাবিতে স্লোগান দিতে দিতে আগুন দেয়।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধ চায়, কেন আমরা নির্বাচনে অংশ নিয়েছি এই কারণে? তাহলে যারা ছাত্রলীগ করেছে তারা এখন এনসিপি করেছে। তাহলে তাদের আগে নিষিদ্ধ হওয়া দরকার। কারণ তারা তো সরাসরি ছাত্রলীগ করেছে।
রেজাউল করিম ভূঁইয়া আরও বলেন, বিএনপিসহ ৩২ দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে, তাহলে তাদেরও নিষিদ্ধ হওয়া দরকার। আসলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে জাতীয় পার্টি একটা অবস্থানে দাঁড়িয়েছে, আগামীতে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমরা বিরোধী দল হব। এই কারণে নির্বাচন পেছাতে এগুলো করা হচ্ছে।
জানতে চাইলে রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম বলেন, তারা এসে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল। পুলিশ তাদের সরিয়ে দিয়েছে, জলকামান দিয়ে আগুন নিভিয়ে দিয়েছে। এখন আপাতত কোনো সমস্যা নেই।
এদিকে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
বিবার্তা/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]