
ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোতে হামলার ঘটনার রাতে পুলিশ কেন নিস্ক্রিয় ভূমিকায় ছিল সেই ব্যাখ্যা দিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) এস এন মো. নজরুল ইসলাম।
‘মব ভায়োলেন্স’ ঠেকাতে ডিএমপি কতটা সক্ষম- এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, আমরা সক্ষম। সব সময় সব ঘটনা আমরা কার্ভ করতে পারব- বিষয়টা এরকম না। কারওয়ান বাজারের যে ঘটনাটা, ওখানে যে অবস্থা ছিল, এইটার অন্তরালে আরও কিছু বিষয় আছে। আমরা যদি ওখানে অ্যাকশনে যেতাম, তাহলে গুলি হতো, দুই-চারজন মারা যেত।
তিনি বলেছেন, ওই রাতে পুলিশের ‘অ্যাকশনে’ নামতে না পারার কারণ হল, তাতে হতাহতের ঘটনা ঘটত। মানুষের জীবনের কোনো ক্ষতি হয়নি-এটাকেই তারা অর্জন হিসেবে দেখেন বলে মন্তব্য করেছেন অতিরিক্ত কমিশনার নজরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, "যে কারণে ওখানে আমরা অ্যাকশনে যেতে পারি নাই, কোনো হিউম্যান লাইফের কোনো অ্যাক্সিডেন্ট হয় নাই। এইটা আমি বলব যে, এই এত বড় একটা ইনসিডেন্টের আমাদের এচিভমেন্ট। যে কোনো ধরনের ক্যাজুয়ালটি ছাড়া এটাকে ট্যাকল দেওয়া গেছে।”
‘সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি পূরণ করা হয়ত সম্ভব’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “কিন্তু একটা হিউম্যান লাইফ যখন লস্ট হয়, এটা কোনো কিছুর বিনিময়ে আর ফিরায় আনা সম্ভব না। যে কারণে আমরা ওখানে অ্যাকশনে যাই নাই।"
২২ ডিসেম্বর, সোমবার রাজধানীতে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছিলেন অতিরিক্ত কমিশনার নজরুল ইসলাম। সেখানে সাংবাদিকদের সামনে তিনি প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলার ঘটনায় ১৭ জনকে গ্রেপ্তারের তথ্য দেন।
নজরুল ইসলাম বলেন, “হামলার ভিডিও বিশ্লেষণ করে এখন পর্যন্ত ৩১ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হল।”
গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. নাইম, মো. আকাশ আহমেদ সাগর, মো. আব্দুল আহাদ, মো বিপ্লব, মো. নজরুল ইসলাম মিনহাজ, মো. জাহাঙ্গীর, মো. সোহেল রানা, মো. হাসান, রাসেল ওরফে শাকিল, মো. আব্দুল বারেক শেখ আলামিন, রাশেদুল ইসলাম, সোহেল রানা, শফিকুল ইসলাম, মো. প্রান্ত ওরফে ফয়সাল আহমেদ প্রান্ত, আবুল কাসেম, রাজু হোসাইন ও মো. সাইদুর রহমান।
গ্রেপ্তারদের রাজনৈতিক পরিচয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত কমিশনার নজরুল ইসলাম বলেন, "রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা আমি খুঁজতে চাচ্ছি না, এরা দুষ্কৃতিকারী। তারা আইন ভঙ্গ করছে। আইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছে। বাংলাদেশের প্রচলিত যে আইন, যে বিচার ব্যবস্থা, সে বিচার ব্যবস্থায় তাদের বিচার নিশ্চিত করা হবে। সে যে দলেরই হোক, যে মতেরই হোক।”
'মব ভায়োলেন্স' ঠেকাতে ডিএমপি কতটা সক্ষম, প্রশ্নের জবাবে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, "আমরা সক্ষম। সবসময় সব ঘটনা আমরা কার্ভ করতে পারব, বিষয়টা এরকম না। কারওয়ান বাজারের যে ঘটনাটা, ওখানে যে অবস্থা ছিল, এইটার অন্তরালে আরো কিছু বিষয় আছে। আমরা যদি ওখানে অ্যাকশনে যেতাম তাহলে গুলি হতো, দুই-চারজন মারা যেত।”
পুলিশের ওপর হামলা হলে এই বাহিনীকে নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া ‘সম্ভব না’ বলে মন্তব্য করেছেন অতিরিক্ত কমিশনার নজরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, "পাল্টা তারা পুলিশ ফোর্সের ওপর আক্রমণ করত। আমরা জানি না যে, তাদের মনের ভিতরে কী ছিল। যদি পুলিশের দুই চারজন সদস্য আবার সেদিন নিহত হইত, তাহলে আপনারা জানেন যে, পুলিশ জাস্ট এক বছর আগে বিরাট ট্রমা থেকে...আমরা তাদেরকে এই পর্যায়ে নিয়ে আসছি, সামনে ইলেকশন। এই পুলিশের যদি আবার নতুন করে ক্যাজুয়ালটি হয়, এই পুলিশটাকে দিয়ে আমি সামনে আগাইতে পারব না।"
সেদিন তাহলে পুলিশ কোনো অ্যাকশনেই যায়নি? সাংবাদিকের এই প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম বলেন, "অ্যাকশনে গেছি, যতটুকু আমরা প্রয়োজন মনে করছি, যতটুকু আমাদের অবস্থা ছিল সেটা। অ্যাকশন যেটা সর্বোচ্চ, গুলি করা পর্যন্ত যেতে পারতাম। কিন্তু আমরা ওইটা অ্যাভোয়েড করার চেষ্টা করছি। কারণ যে পরিমাণ ওখানে জনবল ছিল, পাবলিক ছিল চার-পাঁচ হাজারের মত। এখানে আমার ৫০-১০০ জন ফোর্স নিয়ে অ্যাকশনে গেলে আমার পুলিশের এবং পাবলিকের বোথ সাইডে ক্যাজুয়ালিটি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল।”
পুলিশের এই কর্মকর্তার ভাষ্য, পরিস্থিতি বিবেচনায় 'স্থান-কাল পাত্র ভেদে' পুলিশ অ্যাকশনে যায়, ইচ্ছে করলেই সব জায়গায় ‘ফায়ার ওপেন করতে পারে না, এটা করা উচিতও না’।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. নাইম, মো. আকাশ আহমেদ সাগর, মো. আব্দুল আহাদ, মো বিপ্লব, মো. নজরুল ইসলাম মিনহাজ, মো. জাহাঙ্গীর, মো. সোহেল রানা, মো. হাসান, রাসেল ওরফে শাকিল, মো. আব্দুল বারেক শেখ আলামিন, রাশেদুল ইসলাম, সোহেল রানা, শফিকুল ইসলাম, মো. প্রান্ত ওরফে ফয়সাল আহমেদ প্রান্ত, আবুল কাসেম, রাজু হোসাইন ও মো. সাইদুর রহমান।
গ্রেপ্তারদের রাজনৈতিক পরিচয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত কমিশনার নজরুল ইসলাম বলেন, "রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা আমি খুঁজতে চাচ্ছি না, এরা দুষ্কৃতিকারী। তারা আইন ভঙ্গ করছে। আইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছে। বাংলাদেশের প্রচলিত যে আইন, যে বিচার ব্যবস্থা, সে বিচার ব্যবস্থায় তাদের বিচার নিশ্চিত করা হবে। সে যে দলেরই হোক, যে মতেরই হোক।”
পুলিশের ওপর হামলা হলে এই বাহিনীকে নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া ‘সম্ভব না’ বলে মন্তব্য করেছেন অতিরিক্ত কমিশনার নজরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, "পাল্টা তারা পুলিশ ফোর্সের ওপর আক্রমণ করত। আমরা জানি না যে, তাদের মনের ভিতরে কী ছিল। যদি পুলিশের দুই চারজন সদস্য আবার সেদিন নিহত হইত, তাহলে আপনারা জানেন যে, পুলিশ জাস্ট এক বছর আগে বিরাট ট্রমা থেকে...আমরা তাদেরকে এই পর্যায়ে নিয়ে আসছি, সামনে ইলেকশন। এই পুলিশের যদি আবার নতুন করে ক্যাজুয়ালটি হয়, এই পুলিশটাকে দিয়ে আমি সামনে আগাইতে পারব না।"
সেদিন তাহলে পুলিশ কোনো অ্যাকশনেই যায়নি? সাংবাদিকের এই প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম বলেন, "অ্যাকশনে গেছি, যতটুকু আমরা প্রয়োজন মনে করছি, যতটুকু আমাদের অবস্থা ছিল সেটা। অ্যাকশন যেটা সর্বোচ্চ, গুলি করা পর্যন্ত যেতে পারতাম। কিন্তু আমরা ওইটা অ্যাভোয়েড করার চেষ্টা করছি। কারণ যে পরিমাণ ওখানে জনবল ছিল, পাবলিক ছিল চার-পাঁচ হাজারের মত। এখানে আমার ৫০-১০০ জন ফোর্স নিয়ে অ্যাকশনে গেলে আমার পুলিশের এবং পাবলিকের বোথ সাইডে ক্যাজুয়ালিটি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল।”
পুলিশের এই কর্মকর্তার ভাষ্য, পরিস্থিতি বিবেচনায় 'স্থান-কাল পাত্র ভেদে' পুলিশ অ্যাকশনে যায়, ইচ্ছে করলেই সব জায়গায় ‘ফায়ার ওপেন করতে পারে না, এটা করা উচিতও না’।
বিবার্তা/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]