
অবরুদ্ধ গাজামুখী আন্তর্জাতিক নৌবহর সুমুদ ফ্লোটিলার ত্রাণ বহনকারী একমাত্র নৌযানটিও ভূমধ্যসাগরে ইসরাইলি বাহিনীর হাতে আটক হয়েছে।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকালে ইসরাইলি বাহিনী জোর করে ওই জাহাজে উঠে পড়ছে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
পোলিশ পতাকাবাহী ম্যারিনেট নামের জাহাজটির ক্রু সংখ্যা ছয়জন বলে জানা গেছে। এটি ছিল গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার ৪৪টি নৌযানের মধ্যে গাজার দিকে যেতে থাকা সবশেষ জাহাজ ম্যারিনেট। খবর আল জাজিরা’র।
এর আগে বুধবার স্থানীয় সময় রাত থেকেই সুমুদ ফ্লোটিলার নৌযানগুলোতে অভিযান শুরু করে ইসরাইল। আটক করা হয় দুই শতাধিক যাত্রীকে। তাদের সবাইকে ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলের কেটজিওট কারাগারে রাখা হয়।
আটকদের মধ্যে সুইডিশ পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও আছেন।
আটক হওয়ার আগে সময় করা একটি ভিডিওতে গ্রেটা বলেন, ‘ইসরাইলি বাহিনী আমাকে জোরপূর্বক আটক করেছে এবং ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমাকে ইসরাইলে নিয়ে আসা হয়েছে। আমাদের উদ্যোগ মানবিক, অহিংস ও আন্তর্জাতিক আইনের মধ্যেই ছিল। দয়া করে আমার দেশের সরকারকে বলুন যেন তারা আমার এবং অন্যদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি করে।’
জর্ডান-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘রয়া নিউজ’র এক প্রতিবেদন মতে, এর আগে যাত্রার শুরুতে গ্রেটা বলেছিলেন, আমি ইসরায়েলকে ভয় পাই না। আমি এমন এক পৃথিবীকে ভয় পাই যেখানে মানবতার বোধশক্তি সম্পূর্ণরূপে হারিয়ে গেছে।
ইসরাইলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, নৌবহরের যাত্রীরা সক্রিয় যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করছেন এবং বৈধ অবরোধ লঙ্ঘন করছেন। আটকদের ইউরোপে পাঠানো হবে বলেও জানানো হয়। তেল আবিবের এমন পদক্ষেপে তুরস্ক, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও কুয়েতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নিন্দা জানিয়েছে। তবে ইতালি প্রশাসন বলছে, এই জাহাজভরা ত্রাণে কোনো প্রভাব পড়বে না উপত্যকাবাসীর।
বিবার্তা/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]