রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সাবেক দাতা সদস্য মুশতাক আহমেদ ও অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে ছাত্রী ধর্ষণ ও প্রলোভনের অভিযোগের মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তাগণ। এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সুপারিশে না-রাজি আবেদন করতে আদালতে হাজির হয়েছেন ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা সাইফুল ইসলাম।
১৪ নভেম্বর, মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টায় আদালতে হাজির হয়ে মামলার বাদী সাইফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, কি কারণে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে, তা জানতে আদালতে প্রতিবেদনের কপি নিতে এসেছি। আমাদের আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে এই প্রতিবেদনের বিপরীতে আদালতে না-রাজি আবেদন দেওয়া হবে।
মামলাটি গুলশান থানার। যেখানে মুশতাকের নিজস্ব ফ্ল্যাট রয়েছে। এ ছাড়া তিনি রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী। ফলে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে।
এদিকে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, মুশতাক আহমেদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ও অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীর সহযোগিতার অভিযোগটি প্রাথমিকভাবে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। ওই মামলায় তথ্যগত ভুল রয়েছে।
এর আগে গত ১ আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীনের আদালতে কলেজ ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে এ মামলা করেন। বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) অভিযোগটি মামলার এজাহার হিসেবে নেওয়ার আদেশ দেন আদালত।
এজাহারে বলা হয়, ভুক্তভোগী মতিঝিল আইডিয়ালের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। অভিযুক্ত মুশতাক নানা অজুহাতে ওই ছাত্রীকে অধ্যক্ষের কক্ষে ডেকে আনতেন। একপর্যায়ে ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হলে ভুক্তভোগীকে জোর করে তুলে নিয়ে বিয়ে করেন এবং পরিবারকে ঢাকা ছাড়ার হুমকি দেন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করা হলেও কলেজের অধ্যক্ষ কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে মুশতাক ও ভুক্তভোগীকে এক কক্ষে বন্ধ করে সময় ও সঙ্গ দিতে বলেন।
বিবার্তা/এলএ/রোমেল/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]