যশোর সদর উপজেলায় পতেঙ্গালী-মালঞ্চি গ্রামের মধ্যবর্তী রাস্তা থেকে শনিবার সকালে উদ্ধার হওয়া তরুণীর লাশের পরিচয় মিলেছে। তার নাম পার্বতী রায় (২৪)। তিনি যশোরের মণিরামপুর উপজেলার শ্যামকুড় গ্রামের অধীর রায়ের মেয়ে।
পার্বতী রায়ের মা যমুনা রায় শহরের বেসরকারি কুইন্স হাসপাতালে চাকরি করেন। তার পিতামাতা বর্তমানে যশোর শহরের আরএন রোড এলাকায় নতুন বাজারের পেছনে মতিয়ারের বাড়ির ভাড়াটিয়া। অভিজিৎ নামে ৭ বছরের একটি ছেলে রয়েছে পাবর্তীর। তার স্বামী মহিতোষ ভারতে থাকায় পিতামাতার সাথে থাকতেন তিনি।
অধীর রায় জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিরব ওরফে রাব্বি নামে একজন দীপাবলিতে পুজো দেখার কথা বলে শহরের সুধীর বাবুর কাঠগোলার মোড় থেকে মোটরসাইকেলে করে পার্বতীকে নিয়ে যায়। পরে দুপুরে পুলিশ খবর দিলে মর্গে মেয়ের লাশ দেখি।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা যায় পাবর্তীর স্বামী মহিতোষ ভারতে থাকার সুযোগে তিনি নিরব নামে ওই ছেলেটির সাথে প্রেমজ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তারা দুজনে বিয়ে করেছেন বলে এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে নিরব পালাতক। নিরব ওরফে রাব্বি সদরের মাজদিয়া এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
যশোর কোতোয়ালি থানার এসআই মোকলেসুজ্জামান জানান, এলাকাবাসীর মাধ্যমে কোতোয়ালি থানার পুলিশ জানতে পারে, পতেঙ্গালি-মালঞ্চি রাস্তার মধ্যবর্তীস্থানে মুসার বান্দাল নামকস্থানে ইটের সলিংয়ের উপর একটি নারীর গলাকাটা লাশ পড়ে রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে দুপুরে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। বিকেলে অধীর রায় ও যমুনা রায় হাসপাতালে এসে অজ্ঞাত লাশটি তাদের মেয়ে পার্বতী বলে নিশ্চিত করেন।
এসআই মোকলেসুজ্জামান আরো জানান, এলাকাটি ফাঁকা। এ সুযোগে সেখানে হত্যা করতে পারে। অথবা অন্য স্থানে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে যেতে পারে। এজন্য ওই যুবক নিরবকে খুঁজছে পুলিশ। তাকে পেলে হত্যার মূল রহস্য জানা যাবে।
এক প্রশ্নের জবাবে ওই এসআই জানান, নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে কিনা সেটা চিকিৎসকের রিপোর্টের পরই নিশ্চিত হওয়া যাবে।
বিবার্তা/তুহিন/কাফী
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]