থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। রবিবার সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বাস, মাইক্রো, প্রাইভেটকার, লঞ্চ ও মোটরসাইকেল যোগে তরুণ-তরুণীসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ সৈকতে জড়ো হতে শুরু করেছে। কেউ কেউ রং ঢংয়ে সেলফি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিচ্ছেন। শীতের হিমেল হাওয়া গোধূলি লগ্নে বছরের শেষ সূর্যাস্তকে বিদায় আর নতুন বছরের প্রভাতে সূর্যোদয়কে স্বাগত জানাতে সৈকতে মিলন ঘটেছে লাখো পর্যটকের। আবাসিক সংকট, অতিরিক্তি ভাড়া আর খাবারের মূল্য বেশি রাখা নিয়ে অনেকের অসন্তোষ থাকলেও কুয়কাটার নিরাপত্তা আর আতিথেয়তায় মুগ্ধ পর্যটকরা।

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে নানা বয়সী পর্যটকদের আগমনে রাখাইন মার্কেট, ঝিনুকের দোকান, খাবারঘর, চটপটির দোকানসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চলছে কেনাকাটার ধুম। ইংরেজি নববর্ষকে বরণ করতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসা ভ্রমণপিপাসু পর্যটকদের উম্মাদনায় পুরো সৈকত জুড়ে আনন্দময় পরিবেশ বিরাজ করছে। হোটেল-মোটেলগুলো বুকিং রয়েছে। সৈকত লাঘোয়া নারিকেল বাগান, ইকোপার্ক, ইলিশপার্ক, জাতীয় উদ্যান, শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধবিহার, সীমা বৌদ্ধবিহার, সুন্দরবনের পূর্বাঞ্চল খ্যাত ফাতরার বনাঞ্চল, ফকির হাট, গঙ্গামতি, কাউয়ার চর, লেম্বুর চর, শুটকি পল্লী ও কুয়াকাটার জিরো পয়েন্টে শিশু-কিশোর তরুণ-তরুণীসহ নানা বয়সী পর্যটকদের পদচারনায় এখন মুখরিত। এদিকে পর্যটক ও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি মহিপুর থানা পুলিশের বিভিন্ন পয়েন্টে টহল রয়েছে।

ঢাকার ব্যবসায়ী আরিফ আহসান জানান, দু’দিন আগে আমরা কুয়াকাটা এসেছি। এ স্থানটি দেখার মতো। এখানেই আমরা থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করব। ওম্মে তামিমা বিথি জানান, সৈকতে আন্দন উল্লাস করে বন্ধুদের সাথে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদাযাপন করব।

কুয়াকাটা হোটেল ঢেউয়ের পরিচালক আণোয়ার হোসেন আনু জানান, রেকর্ড সংখ্যক পর্যকদের আগমন ঘটেছে। তাবে বেশির ভাগ পর্যটক ছিলো শিক্ষা সফরে আসা।

কুয়াকাটা ইলিশ পার্কের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক রুমান ইমতিয়াজ তুষার জানান, বছরকে বিদায় জানাতে দেশ-বিদেশের পর্যটকরা সৈকতে জমায়েত হয়েছে। এই দিনে ইলিশ পার্কটি সৃষ্টি হয়েছে। তাই আমরা পার্কের ভিতরে কেক কেটে বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। এছাড়া পর্যটকদের জন্য বিশেষ ছাড়ও রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম জানান, থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটক এখানে এসেছে। দর্শনীয় স্থানসহ পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণে টুরিস্ট পুলিশ ও নৌ-পুলিশের পক্ষ থেকে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেয়া হচ্ছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

বিবার্তা/উত্তম/সোহাগ