বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে নিশাণবাড়ীয়া ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আলম মৃধার বিরুদ্ধে বয়স্ক ভাতা নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। তিনি ভাতাভোগী মঞ্জু রানী মণ্ডল (৭৮) নামের এক বিধবা মহিলাকে নিখোঁজ দেখিয়ে তাঁর স্থলে অপর এক মহিলার নাম অন্তর্ভুক্ত করেন।
রবিবার সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে দেয়া এক লিখিত অভিযোগ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নিশাণবাড়ীয়া ইউনিয়নের হোগলপাতি গ্রামের মৃত. গৌরঙ্গ চন্দ্র মণ্ডলের স্ত্রী মঞ্জু রানী মণ্ডল ২০০৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে তালিকাভুক্ত হয়ে বয়স্ক ভাতা টাকা উত্তোলন করে আসছিলেন। গত ৩০ জুন তিনি ভাতার টাকা উত্তোলন করতে ব্যাংকে গিয়ে জানতে পারেন উমাজুরি গ্রামের মৃত. নাজেম আলীর স্ত্রী জরিনা বেগম তার (মঞ্জু রানী) নামের ৩ হাজার টাকা উত্তোলন করে নিয়ে গেছে। আর দীর্ঘদিন নিখোঁজ থাকায় তার বইটি বাতিল হয়ে গেছে।
মঞ্জু রানীর অভিযোগ, তিনি তার নিজের বাড়িতে বসবাস করে আসলেও অর্থের বিনিময় ও নিজ গ্রামের জরিনা বেগমের নাম বয়স্ক ভাতার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার অসৎ উদ্দেশ্যে ইউপি সদস্য মো. আলম মৃধা মোরেলগঞ্জ থানায় তার বিরুদ্ধে নিখোঁজের ডাইরি করেন। জিডি নং-৫৯১।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আলম মৃধা বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের দেয়া প্রত্যয়নপত্রের ওপর ভিত্তি করেই তিনি নিখোঁজের ডাইরি করেন।
ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বাচ্চু জানান, ভুলবশত এমনটি হয়েছে। বইয়ের প্রকৃত ভাতাভোগী মঞ্জু রানীর অভিযোগ তারা গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে রেজুলেশন করে তার নাম বহাল রাখা হবে।
উপজেলা সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা মঞ্জুরুল হাসান বলেন, মঞ্জু রানীকে তার বইটি ফিরিয়ে দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
বিবার্তা/রাজু/আমিরুল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]