শিরোনাম
লামায় ৮ মণ্ডপে দুর্গাপূজা, চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি
প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১১:৪৯
লামায় ৮ মণ্ডপে দুর্গাপূজা, চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি
লামা প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব শ্রী শ্রী সার্বজনীন শারদ উৎসব বা দুর্গাপূজা। ২৫ সেপ্টেম্বর মহাপঞ্চমীর মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এই পূজা।


এবার বান্দরবানের লামা উপজেলার একটি পৌরসভা ও সাতটি ইউনিয়নের ৮টি মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে দুর্গাপূজা। এর মধ্যে পৌর এলাকায় দুটি, লামা সদর ইউনিয়নে একটি, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে চারটি, আজিজনগর ইউনিয়নে একটি মণ্ডপে পূর্জা অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে মণ্ডপগুলোতে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। এখন চলছে রং তুলি ও সাজ সজ্জার কাজ। উৎসবকে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পালন করতে মণ্ডপগুলোতে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।


লামা উপজেলা দুর্গাপূজা উদযাপন পরিষদের কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজয় আইচ বলেন, এ বছর মা দুর্গা আসছেন নৌকায় চড়ে, আর গমন করবেন ঘোড়ায় চড়ে। মাকে বরণ করার জন্য উপজেলার প্রতিটি পূজা মণ্ডপের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। প্রতিমা তৈরি করতে আমরা প্রায় সাড়ে ৭ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করেছি। গত বছর সরকারিভাবে ৫০০ কেজি চাউল বরাদ্দ পাওয়া গেলেও এবারে এখনো কোনো বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।


তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় দুর্গা উৎসব হবে লামা কেন্দ্রীয় হরি মন্দির মণ্ডপে। হাজারো মানুষের সমাগম হবে আমাদের এই মন্দিরে, তাই সব কিছু মাথায় রেখে সুষ্ঠুভাবে উৎসব পালনের জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে।


পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাবুল কান্তি দাশ বলেন, আমরা প্রতিবারের মতো সামাজিক রূপে প্রতিমাকে তৈরি করেছি। আমাদের কাজ প্রায় শেষ মুহূর্তে, বাকি আছে প্রতিমাকে রং করা আর কিছু সাজসজ্জার কাজ। প্রতিবারের মতো এবারও নবমীর দিন প্রসাদ বিতরণ করা হবে।


এদিকে লামা সদর ইউনিয়নের মেরাখোলা হরি মন্দিরের দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সাধন চন্দ্র সেন বলেন, আমরা প্রতিবারের মতো এবারও সনাতন ধর্মের নিয়ম অনুসারে প্রতিমা তৈরি করেছি। আমাদের প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ। মন্দিরের সাজসজ্জার আর প্রতিমাকে সাজানোর কাজ বাকি রয়েছে। আশা করছি সার্বজনীন এই উৎসব সুষ্ঠুভাবে উদ্যাপন করতে পারবো।


একই কথা জানালেন, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের গুলিস্তান বাজার, ইয়াংছা, পাগলির আগা, কমিউনিটি সেন্টার, আজিজনগর ইউনিয়নের তেলুনিয়া ও পৌরসভার চম্পাতলী মণ্ডপ কমিটির সদস্যরা।


লামা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন জানান, দুর্গাপূজা হচ্ছে সর্বজনীন উৎসব। এটি যদিও হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুষ্ঠান, তবে উৎসব হচ্ছে সকলের। বিভিন্ন সম্প্রদায় ও জাতির বসবাস, সকলে মিলে প্রতিবছর আমরা সুষ্ঠুভাবে এই উৎসব উদযাপন করে আসছি। তাই আশা করি এবারও আমরা সকলে মিলেমিশে এ উৎসব উদ্যাপন করতে পারবো।


এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিনওয়ান নু বলেন, প্রতি বছরের মতো এ বছরও সরকারিভাবে দুর্গাপুজা উৎসব পালনের জন্য বরাদ্দ প্রদান করা হবে। তবে এখনো বরাদ্দ আসেনি। বরাদ্দের জন্য ইতিমধ্যে মণ্ডপগুলোর তালিকা ও আবেদন জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ সাপেক্ষে অনুদান প্রদান করা হবে মণ্ডপগুলোতে।


এছাড়া উৎসব যেন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পালন করতে পারে সেজন্য মণ্ডপগুলোতে নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত আইনশৃঙখলা সভায় থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।


বিবার্তা/আরমান/প্লাবন

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com