শিরোনাম
রোগীর পেটে গজ-ব্যান্ডেজ, তদন্ত কমিটি গঠন
প্রকাশ : ২৫ জুলাই ২০১৭, ২৩:৪১
রোগীর পেটে গজ-ব্যান্ডেজ, তদন্ত কমিটি গঠন
শেরপুর প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

শেরপুরে আল্ট্রাসোনোগ্রাফের মাধ্যমে এক প্রসূতির পেটের ভেতর গজ-ব্যান্ডেজ পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার বিকেলে শেরপুরের সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডা. সেলিম মিয়া এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পত্র পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় জেলা হাসপাতালের আরএমওসহ তিন চিকিৎসককে নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।


অভিযোগপত্রের সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ জুলাই শ্রীবরদী উপজেলার টেংগরপাড়া গ্রামের মোস্তাক আহাম্মেদ বাবু নামে এক ব্যক্তি তার গর্ভবতী স্ত্রী ফারজানা ইয়াছমিন লাবনীকে (২০) শহরের নারায়ণপুর এলাকার জেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। ওইদিন জেলা হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট গাইনী ডা. মায়া হোড় গর্ভবতী ওই নারীর সিজার করান। এরপর থেকেই রোগীর জরায়ু দিয়ে রক্তপাত ও ব্যথা শুরু হয়। বাড়ি যাওয়ার পর অবস্থার পরিবর্তন না হলে, গত ১৭ জুলাই পুনরায় ডা. মায়া হোড়ের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় আল্ট্রাসোনোগ্রাফ করে প্রসূতির পেটে গজ-ব্যান্ডেজের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। ফলে পুনরায় অপারেশন করে গজ-ব্যান্ডেজ অপসারণ করার হয়। এরপর বাড়িতে গেলে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। ফলে ১৮ জুলাই তাকে শহরের উত্তরা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


এ ব্যাপারে ক্লিনিকের মালিক জায়েদুর রশিদ শ্যামল বলেন, আমরা ক্লিনিকের পক্ষ থেকে সিজারের জন্য চিকিৎসককে যা-যা দরকার সবকিছু দিয়েছি। কোনো অবহেলা করা হয়নি। রোগীর পেটে কিছু ছিলো কি নেই তার দায় আমাদের নয়।


অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. মায়া হোড় বলেন, রোগীর পেটে কোনো গজ-ব্যান্ডেজ ছিলো না। ঘটনাটি উদ্দেশ্যমূলক। আমাকে ফাঁসানোর জন্য এসব বলা হচ্ছে।


শেরপুরের সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডা. সেলিম মিয়া বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত করতে জেলা হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তাসহ তিন কর্মকর্তাকে নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


বিবার্তা/সানী/মোয়াজ্জেম

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com