শিরোনাম
বেনাপোলে ভারতীয় পুলিশের ঈদ-বাণিজ্য
প্রকাশ : ২৫ জুন ২০১৭, ০৯:৪১
বেনাপোলে ভারতীয় পুলিশের ঈদ-বাণিজ্য
যশোর প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

প্রতিবারের মতো এবারও ঈদের ছুটির শুরুতেই ভারতগামী যাত্রীদের ঢল নেমেছে যশোরের বেনাপোল চেকপোস্টে। তবে ঈদের এই বিশেষ সুযোগ বাড়তি পয়সা কামানোর সুযোগ তৈরি করে নিয়েছে ভারতীয় পুলিশ। তারা যাত্রীপ্রতি চারশ থেকে পাঁচশ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।


অবশ্য ভারতগামী যাত্রীদের সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন দুই দেশের চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন ও কাস্টম কর্মকর্তারা। ইমিগ্রেশন আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে লেগে যাচ্ছে ৪-৫ ঘণ্টা। ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। তবে যাত্রীরা সবাই পর্যটক নন।


জানা গেছে, ঈদের ছুটির শুরু থেকেই প্রতিদিন বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাচ্ছেন পাঁচ থেকে ছয় হাজার যাত্রী। কেউ চিকিৎসা করাতে, কেউ বেড়াতে, কেউ বা যাচ্ছেন নাড়ির টানে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা করতে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা এসব যাত্রী ভারতে যাওয়ার সময় বেনাপোল চেকপোস্টে ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভারতে ঢুকতেই নো-ম্যান্সল্যান্ড এলাকায় ভারতীয় পুলিশ চেকিংয়ের নামে লাইনে দাঁড় করিয়ে তাদের পাসপোর্ট দেখছে, ব্যাগ তল্লাশি করছে দীর্ঘক্ষণ ধরে।


দীর্ঘ লাইনে থাকা যাত্রীদের পাসপোর্টের ঠিকানা, ভিসার মেয়াদ, ভারতে কোথায় অবস্থান করবেন- এসব নানা প্রশ্ন করে হয়রানি করছে ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ। ভারতে প্রবেশের একটি মাত্র পকেট গেটে একজন পুলিশ দাঁড়িয়ে থেকে চেকিংয়ের নামে যাত্রীদের নানাভাবে হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হয়রানির শিকার যাত্রীরা কেউ কেউ শিশু ও রোগীদের নিয়ে ভারতে না গিয়ে ফিরে আসছেন নিজ ঠিকানায়।


যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, ভারতীয় পুলিশের একটি সিন্ডিকেট চক্র (ভারতীয় লেবার নামে পরিচিত) যাত্রীদের কাছ থেকে জনপ্রতি ৪শ/৫শ টাকা নিয়ে বিশেষ ব্যবস্থায় লাইনের পাস দিয়ে ভারতে প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছে। ফলে লাইনে থাকা যাত্রীদের ভারতে প্রবেশ করতে অনেক বিলম্ব হচ্ছে। যাত্রীদের অনেকে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ক্লান্ত হয়ে মাটিতে বসে পড়ছেন।


অভিযোগে জানা গেছে, বাংলাদেশে একটি পাসপোর্টে সিল দিতে যে সময় লাগে সেখানে ভারতে লাগছে দীর্ঘক্ষণ। প্রতিদিন যে সব যাত্রী ভারতে ঢোকার জন্য নো-ম্যান্স ল্যান্ড এলাকায় সকাল ৮টার দিকে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন তারা দুপুরে ভারতে প্রবেশ করছেন। নো-ম্যান্স ল্যান্ড এলাকায় কোনো যাত্রী ছাউনি না থাকায় রোদে গরমে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন নারী, শিশু ও রোগাক্রান্ত যাত্রীরা।


বিবার্তা/জিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com