শিরোনাম
প্রসাধনীর দোকানে এখন উপচেপড়া ভিড়
প্রকাশ : ২৪ জুন ২০১৭, ১৮:৪৭
প্রসাধনীর দোকানে এখন উপচেপড়া ভিড়
যশোর প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

পবিত্র ঈদুল ফিতরের আর মাত্র দুই-একদিন বাকি। শেষ মুহূর্তে যশোরের প্রসাধনীর দোকানগুলোতে তরুণীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। যাদের শাড়ি, থ্রি পিসসহ পোশাক কেনা শেষ, তারা নতুন পোশাকের সাথে মিলিয়ে নেইল পলিশ, চুড়ি, কানের দুল, মালা, ক্লিপ, লিপস্টিক ও কাজলসহ বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী সামগ্রী কিনছেন।


মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চ বিত্ত পরিবারের তরুণীরা সাজসজ্জার সামগ্রী কিনতে এক দোকান থেকে আরেক দোকানে ছোটাছুটি করছেন।


পোশাকের রুচিশীলতা আর সৌন্দর্যের পূর্ণতা পায় সাজসজ্জায়। তাই পোশাকের সাথে সাজসজ্জার উপকরণ কেনাকাটার জন্য অনেকে আলাদা করে সময় বের করে নেন।


ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবারের ঈদে নামি-দামি ব্রান্ডের প্রসাধনী সামগ্রীর চাহিদা বেশি।
যশোরের প্রসাধনী সামগ্রীর বাজারের মধ্যে ফেন্সি ও ভোলা সাহা মার্কেট অন্যতম। এছাড়া রয়েছে সিটি প্লাজা ও জেস টাওয়ার। আর ঈদ উপলক্ষে ফুটপাতে বসেছে ভ্রাম্যমাণ দোকান। নিম্নবিত্তের মানুষ ফুটপাত থেকে কিনছেন কসমেটিকস সামগ্রী।


যশোর সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী আনিকা বলেন, আমি ঈদের পোশাকের সঙ্গে ম্যাচিং করে প্রতিবারই কসমেটিকস ও ইমিটেশনের গহনা কিনে থাকি। এবারও কিনতে এসেছি। তবে বাজারে প্রচুর ভিড়। ইচ্ছা থাকলেও খুব বেশি দেখে শুনে কেনার সুযোগ নেই। তারপরও ঈদ বলে কথা, পোশাকের সাথে কসমেটিকস না কিনলে চলবে না।


ফেন্সি মার্কেটের মিথিলা কসমেটিকসের মালিক রাসেল আহম্মেদ বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার ঈদে বিক্রি ভালো। শেষের কদিন কাস্টমারের চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হবে।


বিক্রয়কর্মী মিলন রহমান বলেন, ভারতীয় সিরিয়ালের নামে নামকরণ করা কোনো কসমেটিকস বাজারে আসেনি এবার। তরুণীরা বিদেশি নামকরা ব্রান্ডের কসমেটিকস ও প্রসাধনী কিনছেন বেশি। তরুণীরা এখন অনেক ফ্যাশন সচেতন। যে কারণে পোশাকের সাথে মিলিয়ে একের অধিক কসমেটিকস কিনছেন অনেকে।


তবে মান এবং চাহিদা অনুসারে বিভিন্ন জায়গায় প্রসাধনী এবং কসমেটিকসের দামের তারতম্য লক্ষ্য করা গেছে। ক্রেতারা তাদের চাহিদা এবং সাধ্য অনুযায়ী জিনিসগুলো কিনে নিচ্ছেন। প্রসাধনীর চাহিদা সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে বডি স্প্রে, ফেস পাউডার, শ্যাম্পু ও লোশন উলে­খযোগ্য।


সাজগোজের অন্যান্য অনুসঙ্গের মধ্যে রয়েছে- কানের ঝুমকা, আংটি, বেবি ব্যাগ, শাড়ির পিন, সাইট ক্লিপ ও নেইল পালিশ উলে­খযোগ্য।


আধুনিক সময়ে এখন অনেকেই বাটা মেহেদি তৈরি করতে চান না। হাতের নাগালেই পাওয়া যায় নানা রকমের মেহেদি। টিউব বা কোণ আকারের এই মেহেদিগুলো হাত এবং পায়ে মেহেদির সাজকে আকর্ষণীয় করে তোলে। তাই ঈদের বাজারে তালিকার অন্যতম পদ হিসেবে মেহেদির চাহিদা অনেক বেশি।


যশোরের বাজারে বিভিন্ন নামের মেহেদি পাওয়া যাচ্ছে ৪০ টাকা থেকে দেড়শ’ টাকায়। নেল পলিশ ৮০ টাকা থেকে সাড়ে ৩শ’, দেশি ৩০ টাকা থেকে ১২০ টাকা, চুড়ি ৫০ টাকা থেকে ৩শ’, কানের দুল ৬০ টাকা থেকে ৪শ’, মালা ৩০ টাকা থেকে ২শ’, ক্লিপ ২০ টাকা থেকে ৯০ টাকা , লিপস্টিক ৮০ টাকা থেকে সাড়ে ৪শ’ ও কালারিং কাজল ৪০ টাকা থেকে ৩শ’, কানের ঝুমকা ৭০ টাকা থেকে ২শ’, আংটি ৩০ টাকা থেকে ২শ’, বেবি ব্যাগ ৩০ টাকা থেকে ১শ’, শাড়ির পিন ২০ টাকা থেকে ৭০ টাকা। তাছাড়া প্রকার ভেদে বডি স্প্রের দাম দেড়শ টাকা থেকে ১ হাজার, ফেস পাউডার ৭০ টাকা থেকে ৪শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।


বিবার্তা/তুহিন/কাফী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com