শেষ রক্ষা হলো না সুনামগঞ্জের শনির হাওরের ঝালখালি বাঁধটির। টানা ২২ দিন নির্ঘুম রাত পার করে পালাক্রমে কৃষক ও এলাকাবাসীর স্বেচ্ছাশ্রমে রক্ষা পাওয়া বাঁধটির তিন জায়গা ভেঙে গেছে। সেখান দিয়ে ঢুকতে শুরু করেছে অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি।
রবিবার ভোরের দিকে বাঁধের লালুর গোয়ালা, আহাম্মক খালী, রাধাপুর নামে তিনটি জায়গা দিয়ে পানি ঢুকতে শুরু করে। এলাকাবাসী ও কৃষকরা সেখানে সংস্কারের কাজ করছেন। তাহেরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বাঁধের ভাঙনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৩০ মার্চ থেকে অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের একের পর এক হাওরে পানি ঢুকে ফসল তলিয়ে যায়। রক্ষা পায় শনির হাওর। টানা ২২ দিন তিনটি উপজেলার হাওরপারের ৪০ গ্রামের মানুষের স্বেচ্ছাশ্রমে রক্ষা পেয়েছিল বাঁধটি।
চলতি বছর সুনামগঞ্জ জেলায় দুই লাখ ২৩ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছিল। প্রশাসন বলছে, ৮২ শতাংশ ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কৃষকরা বলছেন ৯০ শতাংশ। এ অবস্থায় রক্ষা পেয়েছিল শনির হাওর। এটি ‘ধানের খনি’ বলে কৃষকমহলে পরিচিত। এবার ২২ হাজার একর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে।
তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর ও জামালগঞ্জ উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের ৪০টি গ্রামের মানুষের জমি আছে শনির হাওরে। প্রায় ২২ হাজার একর জমির মধ্যে তাহিরপুরের বাসিন্দা কৃষকের জমি আছে প্রায় ১৬ হাজার একর।
বিবার্তা/আছিয়া/নিশি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]