কচুরিপানার কারণে বন্ধ পাঁচ জেলার নৌ চলাচল
প্রকাশ : ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩:২৪
কচুরিপানার কারণে বন্ধ পাঁচ জেলার নৌ চলাচল
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

গোপালগঞ্জে মধুমতী নদীতে একটি সেতুর নিচে কচুরিপানা জমে আছে। এতে ১৫ দিন ধরে বাগেরহাট, পিরোজপুর, নড়াইল, বরিশাল ও খুলনা জেলার সঙ্গে নৌ চলাচল বন্ধ রয়েছে।


মধুমতী নদী দিয়ে গোপালগঞ্জের সঙ্গে এই পাঁচ জেলার নৌ যোগাযোগ রয়েছে। এসব নৌযানে খাদ্য, নির্মাণসামগ্রী, জ্বালানি, কৃষিপণ্যসহ প্রয়োজনীয় সব পণ্য পরিবহন করা হয়। সদর উপজেলার উরফি ইউনিয়নের মানিকহার সেতুর নিচে কচুরিপানা জমা হয়েছে।


এর উপর দিয়ে কোনো নৌযান চলাচল করতে পারছে না। এতে বাগেরহাট, পিরোজপুর, নড়াইল, বরিশাল ও খুলনার সঙ্গে নৌ চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। গত ১৫ দিন ধরে এ অবস্থা চলছে। কচুরিপানা পরিষ্কার করে নৌ চলাচল সচল করতে স্থানীয়রা দাবি জানিয়েছেন।


মানিকহার সেতু এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, মধুমতী নদীর মধ্যে ৬ ভাগে ৩৬টি পিলারের ওপর দাঁড়িয়ে আছে মানিকহার সেতু। প্রতিটি ভাগে ছয়টি ফাঁকা পিলার রয়েছে। পিলারের ফাঁকে ফাঁকে কচুরিপানা ঢুকে আটকে গেছে। এতে নদীজুড়ে কচুরিপানা বিস্তৃতি লাভ করেছে। নদীর প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকায় এখন শুধু কচুরিপানা। চলাচল করতে না পেরে নদীতে নোঙর করে আছে অসংখ্য নৌকা, ট্রলার ও কার্গো।


উরফি ইউপি চেয়ারম্যান মনির গাজী বলেন, মধুমতী নদী দিয়ে প্রতিদিন অন্তত ২০০ নৌকা, ট্রলার, কার্গোসহ বিভিন্ন ধরনের নৌযান চলাচল করে। ১৫ দিন আগে মানিকহার সেতুর নিচে পিলারের সঙ্গে কচুরিপানার আটকে জমতে থাকে। ধীরে ধীরে পুরো নদী কচুরিপানা দখল করে নিয়েছে। কচুরিপানার ওপর দিয়ে নৌযান চলাচল করতে পারছে না। এতে পণ্য পরিবহন ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। সেতুর ক্ষতি হচ্ছে। জনস্বার্থে কচুরিপানা অপসারণ করে নৌ চলাচলের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি দাবি জানান। বিষয়টি ভিডিও করে গোপালগঞ্জ সদরের ইউএনওকে পাঠানো হয়। তিনি বুধবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।


সেতুসংলগ্ন মানিকহার হাটে বসে কথা হয় বরিশালের সবজি চারা ব্যবসায়ী শাওন মোল্লার (৩৫) সঙ্গে। তিনি বলেন, বরিশাল ও পিরোজপুর থেকে নৌকায় লাউ, কুমড়া, শিম, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপিসহ সবজির চারা এনে গোপালগঞ্জে বিক্রি করেন। এখন শীতের সবজির চারা বিক্রির পুরো মৌসুম চলছে। কিন্তু কচুরিপানার কারণে নৌকা গোপালগঞ্জ শহর ও আশপাশের গ্রামের হাটবাজারে নিতে পারছেন না। এতে ব্যবসার মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। তিনি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান চান।


উরফি গ্রামের গাজী ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, এ নদী দিয়ে কৃষিপণ্য, নির্মাণসামগ্রী কম খরচে পরিবহন করতে পারেন। কিন্তু নদীতে কচুরিপানা জমে থাকায় পণ্য বাজারজাত করতে পারছেন না।


পানি উন্নয়ন বোর্ডের গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী রিফাত জামিল বলেন, বিষয়টি তিনি লিখিতভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। কচুরিপানা অপসারণে ৬-৭ লাখ টাকার প্রয়োজন। টাকা বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করতে পারবেন। কাজ শুরুর ৭-৮ দিনের মধ্যে কচুরিপানা অপসারণ করা সম্ভব হবে।


বিবার্তা/শান্ত/জেএইচ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com